শিশুদের আয়োজনে শিশুদের চলচ্চিত্র উৎসব

বিনোদন প্রতিবেদক
প্রকাশ: ৩১ জানুয়ারি ২০২১ | ০৩:৩০
‘ফ্রেমে ফ্রেমে আগামী স্বপ্ন’ স্লোগানে শনিবার থেকে ঢাকায় শুরু হয়েছে ১৪ম 'আন্তর্জাতিক শিশু চলচ্চিত্র উৎসব বাংলাদেশ ২০২১'। ৭ দিনব্যাপী শুরু হওয়া উৎসবটি চলবে আগামি ৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। ৩টি ভেন্যুতে ৩৭টি দেশের ১৭৯টি শিশুতোষ চলচ্চিত্র দেখানো হবে উৎসব জুড়ে।
শনিবার চিলড্রেন’স ফিল্ম সোসাইটি বাংলাদেশ এর আয়োজনে শাহবাগের কেন্দ্রীয় পাবলিক লাইব্রেরি চত্বরে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের ১ম পর্বে উদ্বোধনী সংগীত,পতাকা উত্তোলন জাতীয় সংগীত পায়রা ও বেলুন উড়িয়ে উৎসবটির উদ্বোধন করেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ, এমপি।
মিলনায়তনের বাইরে উদ্বোধনী সংগীত, জাতীয় সংগীত ও পতাকা উত্তোলনের পর শওকত ওসমান মিলনায়তনে ছিল প্রদীপ প্রজ্বলন।
প্রধান অতিথি হিসেবে উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, দেশমাতৃকাকে এগিয়ে নিতে চলচ্চিত্র গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম। আমরা আশাবাদী, এই উৎসব থেকে অনেক প্রতিভা বেরিয়ে আসবে।
শিশুদের এই উৎসব আয়োজন করছে শিশুরাই। বিষয়টিতে নিজের মুগ্ধতার কথা জানান সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ।
অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য দিয়েছে চিলড্রেনস ফিল্ম সোসাইটি বাংলাদেশের অনুষ্ঠান সম্পাদক রায়ীদ মোরশেদ মনন, উৎসবটির বিস্তারিত তুলে ধরেন উত্সব পরিচালক ফারিহা জান্নাত মিম।
রোববার থেকে শাহবাগের কেন্দ্রীয় গণগ্রন্থাগারের শওকত ওসমান মিলনায়তনে ৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত, জাতীয় জাদুঘরের সুফিয়া কামাল মিলনায়তন, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালা মিলনায়তনে ৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বেলা ১১টা, বেলা ২টা, বিকেল ৪টা ও সন্ধ্যা ৬টায়—মোট ৪ বার চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হবে।
প্রতিটি প্রদর্শনীতে একাধিক শিশুতোষ চলচ্চিত্র দেখানো হবে। উৎসবটির সব প্রদর্শনী অভিভাবক, শিশু-কিশোরসহ সবার জন্য উন্মুক্ত। মুখে মাস্ক থাকলেই সেটি প্রদর্শনীর টিকিট হিসেবে গণ্য হবে বলে জানায় আয়োজকরা।
উৎসবটির অন্যতম আকর্ষণীয় বিভাগ হিসেবে থাকছে বাংলাদেশি শিশুদের নির্মিত প্রতিযোগিতা বিভাগ। এই বিভাগে ৬১টি চলচ্চিত্রের মধ্যে নির্বাচিত ১৯টি চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হবে। এই ১৯টি চলচ্চিত্রের ৫টিকে দেওয়া হবে পুরস্কার। পুরস্কারের জন্য গঠিত ৫ সদস্যের জুরিবোর্ডের সবাই শিশু-কিশোর।