ঢাকা শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫

শীর্ষ ধনী ইলন মাস্ক

শীর্ষ ধনী ইলন মাস্ক

ফাইল ছবি

আসাদুজ্জামান

প্রকাশ: ০৮ মে ২০২২ | ১২:০০ | আপডেট: ০৮ মে ২০২২ | ২২:৫০

৪৪ বিলিয়ন ডলারে টুইটার কিনে নেওয়ার খবরে বিশ্বজুড়ে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছেন বিশ্বখ্যাত ইলেকট্রিক গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান টেসলা ও মহাকাশ গবেষণা প্রতিষ্ঠান স্পেসএক্সের স্বত্বাধিকারী প্রযুক্তি উদ্যোক্তা প্রকৌশলী ইলন রিভ মাস্ক। বহুমুখী অবদানের মাধ্যমে তিনি বিশ্বের তরুণ উদ্যোক্তাদের আইকন হয়ে উঠেছেন।

দক্ষিণ আফ্রিকার প্রিটোরিয়ায় জন্ম নেওয়া মার্কিন উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ী ইলন মাস্কের জন্ম ১৯৭১ সালের ২৮ জুন। তার মা একজন কানাডিয়ান এবং বাবা দক্ষিণ আফ্রিকান। ছোটবেলায়ই তার কম্পিউটারে ঝোঁক তাকে প্রোগ্রামিংয়ে পারদর্শী করে তোলে। মাত্র ১২ বছর বয়সে আবিস্কার করেন নিজের প্রথম কম্পিউটার গেম ব্লাস্টার্স। প্রিটোরিয়া বয়েজ স্কুলে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা শুরু করেন। ১৯৮৮ সালে তিনি ১৭ বছর বয়সে কুইনস বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার উদ্দেশে কানাডা যাওয়ার আগে প্রিটোরিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে দু'বছর অধ্যয়ন করেন। এরপর পেনসিলভানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থানান্তরিত হন এবং সেখান থেকেই অর্থনীতি ও পদার্থবিজ্ঞানে স্নাতক ডিগ্রি আর্জন করেন। পরে জ্বালানি পদার্থবিজ্ঞান নিয়ে পিএইচডি ডিগ্রির জন্য স্যানফার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হলেও শেষ না করে প্রযুক্তির জোয়ারে গা ভাসান। প্রথমেই তিনি জিপ টু নামক অনলাইনভিত্তিক প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন। অনলাইন সিটি গাইড প্রদানের লক্ষ্যে তৈরি এই সফটওয়্যারটি ছিল তার প্রথম প্রয়াস। এটির যাত্রা শুরুর পর থেকেই ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছিল। নিউইয়র্ক টাইমস ও শিকাগো ট্রিবিউনের কাছে তারা তথ্য বিক্রি শুরু করেন। ১৯৯৯ সালে কমপ্যাক কম্পিউটার্সের কাছে ৩০৭ মিলিয়ন ডলারে এটি বিক্রি করেন। মাস্ক ৩০ বছরের আগেই প্রথমবারের মতো মাল্টি মিলিয়নেয়ারের খাতায় নাম লেখান।

একই বছর এক্সডটকম নামে তার প্রতিষ্ঠিত অনলাইনভিত্তিক অর্থ লেনদেনের মাধ্যম 'পেপ্যাল' বর্তমানে বিশ্বে দারুণ জনপ্রিয়। ২০০২ সালে তিনি স্পেসএক্স ও ২০০৩ সালে টেসলা মোটরস প্রতিষ্ঠা করেন। ২০০২ সালে তিনি মার্কিন নাগরিকত্ব লাভ করেন। স্পেসএক্সের মাধ্যমে প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্রে অর্থের বিনিময়ে ভ্রমণে আগ্রহীদের প্রেরণের ঘোষণার মধ্য দিয়ে ২০১২ সালের মে মাসে তিনি শিরোনামে আসেন। ট্রাম্প প্রশাসনের প্রথম দিকে একজন উপদেষ্টা হওয়ার মাধ্যমে ব্যবসায়িক জগতের নেতৃস্থানীয় পর্যায়ে নিয়ে যান। সোলার সিটির চেয়ারম্যান, দি বোরিং কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা, পেপ্যাল, ওপেন এআই, নিউরালিংকের সহপ্রতিষ্ঠাতা তিনি। তিনি হাইপারলুপ নামক উচ্চ গতিসম্পন্ন পরিবহন ব্যবস্থার উদ্ভাবক। ২০১৮ সালে 'ফেলো অব দি রয়্যাল সোসাইটি' এবং একই বছর ফোর্বস সাময়িকীর 'বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাবান ব্যক্তি' এবং ২০১৯ সালে 'আমেরিকার সবচেয়ে উদ্ভাবনী নেতৃত্ব' তালিকায় প্রথম স্থান অধিকার করেন। ফোর্বস সাময়িকীর তালিকা অনুযায়ী, ইলন মাস্ক বর্তমানে পৃথিবীর সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি। তার বর্তমান সম্পদের পরিমাণ প্রায় ২৭৪ বিলিয়ন ডলার।

তার দেখানো পথ ধরেই এখন অনেক তরুণ উদ্যোক্তাই স্বপ্ন দেখেন ইলন মাস্ক হয়ে ওঠার। স্বপ্নবাজ এক মানুষ তিনি। তার হাত ধরেই অনলাইন লেনদেন আজকের অবস্থানে পৌঁছেছে।

আরও পড়ুন

×