সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের পাশে 'আশার সেতু'
-samakal-62f870f405af7.jpg)
খুদে শিক্ষার্থীদের পাঠদান করছেন 'আশার সেতু' সংগঠনের এক স্বেচ্ছাসেবক - ছবি :অনলাইন
রুবেল মিয়া নাহিদ
প্রকাশ: ১৩ আগস্ট ২০২২ | ১২:০০ | আপডেট: ১৩ আগস্ট ২০২২ | ২১:৫০
পদ্মাপাড়ের ছেলে মিনহাজ আহমেদ। ২০১৮ সালে পদ্মায় ভাঙনের কবলে পড়া সর্বহারা শিশুদের বিনামূল্যে পাঠদানের জন্য 'আশার সেতু' নামে স্বেচ্ছাসেবী স্কুল গড়ে তোলেন। সমাজের পিছিয়ে পড়া এসব শিশুকে শিক্ষার জন্য স্কুল প্রতিষ্ঠার পর সে স্কুলে পাঠদানও করেছেন মিনহাজ। তাঁর সঙ্গে যোগ দিয়েছেন স্থানীয় আরও কিছু তরুণ। তাঁরা পাঠদানের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের রাবার, খাতাসহ প্রয়োজনীয় স্কুলসামগ্রী কিনে দিয়েছেন নিজেদের জমানো টাকা দিয়ে। শুধু তাই নয়; শিক্ষার্থীদের শ্রেণিকক্ষের বেঞ্চগুলোও রং করে দিয়েছেন টিফিনের জমানো টাকায়। প্রায় ৫০ জন স্বেচ্ছাসেবী স্কুল পরিচালনার বিভিন্ন দায়িত্ব নিজেদের মধ্যে ভাগ করে নিয়েছেন। এক দল ছোটদের পাঠদান করছে, তো অন্য দল প্রশাসনিক কাজ সামলাচ্ছে। এদিকে পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা দল নিজেদের কাজের পাশাপাশি হোম ভিজিটকারী দলেরও তদারকি করছে। স্কুলের পাশাপাশি এই তরুণ স্বেচ্ছাসেবীরা ২০১৮ সালের জুন থেকে এ পর্যন্ত সহস্রাধিক শিক্ষার্থীকে কম্পিউটার প্রশিক্ষণ দিয়েছেন। সমাজসেবা মন্ত্রণালয়ের রেজিস্ট্রেশন নিয়ে বর্তমানে প্রতিবছর ৩২০ জন শিক্ষার্থীকে বিনামূল্যে কম্পিউটার প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে দক্ষ জনবল তৈরি করে দেশ গড়ার কাজে ভূমিকাও রাখছে এই তরুণদের গড়ে তোলা স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন 'আশার সেতু'।
পদ্মার ভাঙনে পড়া এই পরিবারগুলো করোনাকালে সবচেয়ে বেশি সংকটে পড়ে কোলের শিশুর দুধ কিনতে গিয়ে। আশার সেতু এসব পরিবারের শিশুদের জন্য দুধের ব্যবস্থার উদ্যোগ নিয়ে প্রায় ৫০০ পরিবারের শিশুর মাঝে দুধ বিতরণ করে। এ কার্যক্রম এখনও চলমান রেখে প্রতি মাসে দুধ বিতরণ করে যাচ্ছে সংগঠনটি।
আশার সেতুর আগামী পরিকল্পনা সম্পর্কে জানতে চাইলে সংগঠনের প্রধান মিনাজ আহমেদ বলেন, 'বর্তমান কার্যক্রম পরিচালনার পাশাপাশি ভবিষ্যতে সমাজে দক্ষ জনবল তৈরিতে আরও বেশি কাজ করতে চাই। কেননা, দক্ষ জনবলই আমাদের দারিদ্র্য থেকে মুক্তি দিয়ে সমৃদ্ধ দেশ গড়তে সহায়তা করবে। তাই কম্পিউটার শিক্ষার মতো ইংরেজিতে দক্ষতা অর্জনে দরিদ্র শিশুদের জন্য বিনামূল্যে ইংরেজি শিক্ষা কোর্স চালু করতে যাচ্ছি।' া
- বিষয় :
- আশার সেতু
- সুবিধাবঞ্চিত শিশু