বিশ্ব নদী দিবস
যেভাবে বাংলাদেশে বিশ্ব নদী দিবস

শাহেরীন আরাফাত
প্রকাশ: ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২২ | ১২:০০
দেশের সাধারণ মানুষের অনেকেই এখন জানে- 'বিশ্ব নদী দিবস' পালিত হয় সেপ্টেম্বর মাসের শেষ রোববার। তবে দিবসটি হুট করেই চলে আসেনি। এর পেছনে রয়েছে নদীর প্রতি অকৃত্রিম ভালোবাসার এক গল্প। দিবসটির সূচনা হয়েছিল কানাডার ব্রিটিশ কলাম্বিয়া রাজ্যে আশির দশকের গোড়ায়। ১৯৮০ সালের সেপ্টেম্বর মাসের শেষ রোববার, সাপ্তাহিক ছুটির দিন ব্রিটিশ কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের এক তরুণ শিক্ষক এবং নদীপ্রেমিক মার্ক অ্যাঞ্জেলো তাঁর কিছু ছাত্রছাত্রী ও বন্ধুকে নিয়ে একটি নদীতে 'ক্লিন আপ' বা পরিচ্ছন্নতা অভিযান চালান। নদীটি রাফটিংয়ের (খরস্রোতা নদীতে বৈঠা চালিয়ে যাওয়া) জন্য জনপ্রিয় ছিল; কিন্তু যাঁরা অংশ নিতেন তাঁদের খাবারের প্যাকেট, রাফটিংয়ের যন্ত্রাংশ, বিনোদন উপকরণ প্রভৃতি নদীটিতেই ফেলা হতো। মার্ক অ্যাঞ্জেলোরা সেগুলো পরিস্কার করেন। তখনও তাঁরা হয়তো জানতেন না, একটি ইতিহাস তৈরি হতে যাচ্ছে।
পরের বছরগুলোয় দিবসটি উদযাপন ক্রমেই ছড়িয়ে পড়তে থাকে; ব্রিটিশ কলাম্বিয়া রাজ্য হয়ে ক্রমে পুরো কানাডা, নর্থ আমেরিকা, সাউথ আমেরিকা, ইউরোপ অস্ট্রেলিয়া। ২০০৫ সালে এসে জাতিসংঘ দিবসটি সমর্থন করে এবং ২০১৫ সাল পর্যন্ত 'ওয়াটার ফর লাইফ ডিকেড' কর্মসূচির অংশ করে নেয়। তিনিই প্রতিষ্ঠিত হন দিবসটির জাতিসংঘ চেয়ার হিসেবে।
বাংলাদেশে বিশ্ব নদী দিবসের সূচনা পর্বের ইতিহাসও নদীর প্রতি ভালোবাসা, দায়বদ্ধতারই এক আখ্যান। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের একটি অনানুষ্ঠানিক সংগঠন 'রিভার লাভিং পিপল'। ২০০৯ সালের দিকের কথা। ততদিনে ওই সংগঠনটি 'রিভারাইন পিপল' নাম নিয়েছে। মূলত ফেসবুকের একটি গ্রুপকে কেন্দ্র করে চলছিল অ্যাক্টিভিটিজ। অনলাইন গ্রুপটি কীভাবে অফলাইনে সক্রিয় করা যায়, সেই প্রচেষ্টা চলছে। সবাই একমত- অফলাইনে বসা দরকার। কিন্তু কোন দিন? তখন তাঁরা জানতে পারেন বিশ্ব নদী দিবসের কথা। মূলত আমেরিকা, ইউরোপ, অস্ট্রেলিয়ায় তা পালিত হয়। দিবসটির প্রতিষ্ঠাতা মার্ক অ্যাঞ্জেলোর নাম জেনে গুগলে সার্চ দিয়ে বের করা হলো তাঁর ই-মেইল ঠিকানা। তরুণ নদীকর্মীরা মেইল করলেন। লিখলেন, 'আমরা, বাংলাদেশের একটি তরুণ নদীকর্মী গোষ্ঠী পরের বছর বিশ্ব নদী দিবস পালন করতে চাই।' ফিরতি ই-মেইলে খুবই উৎসাহ দিলেন, অনুপ্রেরণামূলক কথা বললেন মার্ক অ্যাঞ্জেলো। এদিকে রিভারাইন পিপল শেষ পর্যন্ত সিদ্ধান্ত নেয়- ২০১০ সালের সেপ্টেম্বরে তারা বিশ্ব নদী দিবস পালন করবে এবং প্রথমবারের মতো অনলাইন থেকে অফলাইনে সাক্ষাৎ হবে। এই অফলাইন সমাবেশ এক ইতিহাসের জন্ম দেয়। বিশ্ব নদী দিবসের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়- 'নদীরা ডাকছে, আমরা সাড়া দেব না?' ২০১৪ সাল থেকে শুরু হয় 'নদীর জন্য পদযাত্রা'। এ কর্মসূচিতে আরও অনেক সংগঠন যুক্ত হলে 'বিশ্ব নদী দিবস উদযাপন পরিষদ, বাংলাদেশ' গঠন করা হয়। এ পরিষদই এখন নদী দিবসের বাংলাদেশ অংশের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করে এবং নদীর জন্য পদযাত্রা আয়োজন করে।
পরের বছরগুলোয় দিবসটি উদযাপন ক্রমেই ছড়িয়ে পড়তে থাকে; ব্রিটিশ কলাম্বিয়া রাজ্য হয়ে ক্রমে পুরো কানাডা, নর্থ আমেরিকা, সাউথ আমেরিকা, ইউরোপ অস্ট্রেলিয়া। ২০০৫ সালে এসে জাতিসংঘ দিবসটি সমর্থন করে এবং ২০১৫ সাল পর্যন্ত 'ওয়াটার ফর লাইফ ডিকেড' কর্মসূচির অংশ করে নেয়। তিনিই প্রতিষ্ঠিত হন দিবসটির জাতিসংঘ চেয়ার হিসেবে।
বাংলাদেশে বিশ্ব নদী দিবসের সূচনা পর্বের ইতিহাসও নদীর প্রতি ভালোবাসা, দায়বদ্ধতারই এক আখ্যান। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের একটি অনানুষ্ঠানিক সংগঠন 'রিভার লাভিং পিপল'। ২০০৯ সালের দিকের কথা। ততদিনে ওই সংগঠনটি 'রিভারাইন পিপল' নাম নিয়েছে। মূলত ফেসবুকের একটি গ্রুপকে কেন্দ্র করে চলছিল অ্যাক্টিভিটিজ। অনলাইন গ্রুপটি কীভাবে অফলাইনে সক্রিয় করা যায়, সেই প্রচেষ্টা চলছে। সবাই একমত- অফলাইনে বসা দরকার। কিন্তু কোন দিন? তখন তাঁরা জানতে পারেন বিশ্ব নদী দিবসের কথা। মূলত আমেরিকা, ইউরোপ, অস্ট্রেলিয়ায় তা পালিত হয়। দিবসটির প্রতিষ্ঠাতা মার্ক অ্যাঞ্জেলোর নাম জেনে গুগলে সার্চ দিয়ে বের করা হলো তাঁর ই-মেইল ঠিকানা। তরুণ নদীকর্মীরা মেইল করলেন। লিখলেন, 'আমরা, বাংলাদেশের একটি তরুণ নদীকর্মী গোষ্ঠী পরের বছর বিশ্ব নদী দিবস পালন করতে চাই।' ফিরতি ই-মেইলে খুবই উৎসাহ দিলেন, অনুপ্রেরণামূলক কথা বললেন মার্ক অ্যাঞ্জেলো। এদিকে রিভারাইন পিপল শেষ পর্যন্ত সিদ্ধান্ত নেয়- ২০১০ সালের সেপ্টেম্বরে তারা বিশ্ব নদী দিবস পালন করবে এবং প্রথমবারের মতো অনলাইন থেকে অফলাইনে সাক্ষাৎ হবে। এই অফলাইন সমাবেশ এক ইতিহাসের জন্ম দেয়। বিশ্ব নদী দিবসের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়- 'নদীরা ডাকছে, আমরা সাড়া দেব না?' ২০১৪ সাল থেকে শুরু হয় 'নদীর জন্য পদযাত্রা'। এ কর্মসূচিতে আরও অনেক সংগঠন যুক্ত হলে 'বিশ্ব নদী দিবস উদযাপন পরিষদ, বাংলাদেশ' গঠন করা হয়। এ পরিষদই এখন নদী দিবসের বাংলাদেশ অংশের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করে এবং নদীর জন্য পদযাত্রা আয়োজন করে।
- বিষয় :
- বিশ্ব নদী দিবস