সব বাধা পেরিয়ে এগিয়ে যেতে চাই

--
প্রকাশ: ২৫ ডিসেম্বর ২০২২ | ১২:০০ | আপডেট: ২৫ ডিসেম্বর ২০২২ | ২১:২৬
জাকিয়া সুলতানা
শিক্ষার্থী, আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ
দিন গড়িয়ে মাস, মাস গড়িয়ে শেষ হতে যাচ্ছে বছর। প্রাপ্তিত-অপ্রাপ্তির দোলাচলে কালের আবর্তে মহাকালের গর্ভে হারিয়ে যাচ্ছে বিগত বছরটি। নতুন বছর মানেই নতুন স্বপ্ন, নতুন পথচলা, নতুন প্রত্যাশা। নতুন ভোর নিয়ে আসুক ২০২৩ এই কামনা করি। প্রাণের ক্যাম্পাস কোলাহলে মেতে উঠুক তার চিরচেনা মুখগুলো নিয়ে। বিগত বছরগুলোর ভুলগুলো থেকে প্রাপ্ত শিক্ষা কাজে লাগিয়ে তৈরি হোক নতুন অধ্যায়। করোনার কারণে যদি সেশনজটের মধ্যে পড়তে হয়, সে ক্ষেত্রে চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা শিথিল করা যেতে পারে। টেকসই উন্নয়নের জন্য শিক্ষা ও গবেষণায় বরাদ্দ বৃদ্ধি এবং গবেষকদের অধিক প্রণোদনা প্রদান করতে হবে। জাতি হিসেবে আমাদের গৌরব করার মতো ইতিহাস রয়েছে। বাঙালি চেতনা লালন করে জাতিকে ভালো কিছু উপহার দেওয়াই শিক্ষার্থীদের দায়িত্ব। এখন সবাই পুরোনো বছরের প্রত্যাশা প্রাপ্তির হিসাব মেলাতে ব্যস্ত। একই সঙ্গে নতুন বছরের পরিকল্পনাও করছে কেমন কাটবে আগামী বছর। নতুন বছরে প্রত্যাশা থাকবে- জীবনের সব জীর্ণশীর্ণতা কাটিয়ে উঠুক সবাই। জাতি হিসেবে বাংলাদেশ সব সংকট কাটিয়ে উঠুক, ক্যাম্পাসগুলো শিক্ষার্থীদের পদচারণায় প্রাণবন্ত থাকুক সবসময়।
সাজেদুল ইসলাম
শিক্ষার্থী, সরকারি তিতুমীর কলেজ
নতুন বছরের ভোর আলোয় উজ্জ্বল হবে, সব ক্ষেত্রে সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশ বজায় থাকবে, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক শৃঙ্খলা ফিরে আসবে, সামাজিক বন্ধন হবে অটুট, এসবই একান্ত প্রত্যাশা। বর্তমান সরকারের ভাবনায় রাখতে হবে এ প্রজন্মের চাওয়া। তরুণদের প্রত্যাশা যদি প্রাপ্তিতে পরিণত হয়, তবে দেশটা হবে অনেক সুন্দর এবং গোছানো। মাতৃভূমিকে বন্ধু ভেবে সবাইকে দায়বদ্ধতা নিয়ে কাজ করা উচিত। নতুন বছরে তারুণ্য জেগে উঠুক নবউদ্যমে। আমরা দেখতে চাই ভালো কাজে নিয়োজিত থাকুক তারুণ্য। করোনা স্বাভাবিক জীবনযাপন অনেকটা পরিবর্তন করে দিয়েছে। সবকিছুই নতুন করে চিন্তা করতে হচ্ছে। আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা নিয়েও নতুন করে ভাবতে হবে। বাস্তবতা যত বৈরী হোক তরুণ প্রজন্মকে ধৈর্য ধরে তা মোকাবিলা করতে হবে। নতুন বছরে শিক্ষাক্ষেত্রে আরও উন্নয়ন দেখতে চাই। পুরোনোর বিষাদকে বিদায় ও নতুনকে শুভেচ্ছা জানিয়ে আগমন ঘটেছে নতুন একটি বছর। প্রত্যাশা, ২০২৩ সাল মনুষ্যত্বের জন্য শুভ সংবাদ নিয়ে আসবে। বিগত বছরের ক্ষতগুলোকে সারিয়ে নিয়ে বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে বরণ করতে চাই নতুনকে। আমাদের বিশ্বাস, সব বাধা পেরিয়ে আমরা একদিন এগিয়ে যাব।
মারিয়াহ্ গাজী
শিক্ষার্থী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
মাদক ও দুর্নীতিমুক্ত সমাজ, তরুণবান্ধব পরিবেশ, কর্মসংস্থান, শিক্ষার মানের উন্নয়ন চাই নতুন বছরে। দেশকে উন্নতির পথে এগিয়ে নেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় সব বিষয়ই পূরণ হবে এ প্রত্যাশা করি। নতুন বছরে সড়কে নিরাপত্তা বাড়ুক। সড়কে আর কোনো শিক্ষার্থীর প্রাণ ঝরে না পড়ুক। আমরা সুন্দর একটা আগামী চাই। সুন্দর আগামী মানেই আমাদের ভালোভাবে বাঁচা। আর ভালোভাবে বাঁচতে পারা মানেই একে অন্যের জন্য কিছু করতে পারা। আর আমরা যখন একে অপরের জন্য কিছু করতে পারব, তখন এমনিতেই আমাদের দেশ এগিয়ে যাবে। বর্তমান বিশ্বে শিক্ষিত গ্র্যাজুয়েটদের চাহিদার তুলনায় কর্মসংস্থানের সুযোগ খুবই অপ্রতুল; যা অর্থনৈতিক ও সামাজিক অবক্ষয়ের চালক। বেকারমুক্ত বাংলাদেশই হতে পারে ২০২৩ সালের চালিকাশক্তি, যা দেশকে অনেকদূর এগিয়ে নিয়ে যাবে। মানুষ সব সময় আশাবাদী। বিগত বছরের ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে নতুন বছরে নতুনভাবে শুরুর পরিকল্পনা থাকে সবার। পৃথিবীব্যাপী বৈষম্য ও নানা অস্থিরতা আমাদের ভাবিয়ে তোলে বারবার। বিশ্বব্যাপী হানাহানি বন্ধ হোক। সব সমস্যা দূর হয়ে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে আসুক, সবার মুখে হাসি ফুটুক।