অ্যালার্জির বিভিন্ন কারণ

ডা. গোবিন্দ চন্দ্র দাস
প্রকাশ: ০৬ জানুয়ারি ২০২৩ | ১৮:০০ | আপডেট: ০৭ জানুয়ারি ২০২৩ | ০৫:১৯
অ্যালার্জি, অ্যাজমা হয়তোবা নির্মূল করা সম্ভব হয় না, তবে সচেতন থাকলে ওষুধ ছাড়াই শুধু নিয়মতান্ত্রিকভাবে জীবনযাপনের মাধ্যমে এ রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। এসব রোগীকে চলাফেরা, ওঠাবসা, খাবার সব বিষয়ে সচেতন থাকতে হয়।
যেসব নিয়ম মেনে চলবেন
- কার্পেট ব্যবহার না করা।
- ধূমপান পরিহার করা।
- বাসায় কোনো প্রকার পোষা প্রাণী না রাখা।
- মশার কয়েল বা স্প্রে করার সময় নিরাপদ দূরত্বে অবস্থান করা।
- ধুলাবালি ও ঘর ঝাড়ু দেওয়ার সময় নাকে-মুখে মাস্ক, তোয়ালে বা গামছা ব্যবহার করা।
- পুরোনো বইপত্র অন্য কাউকে দিয়ে পরিস্কার করে নেওয়া।
-টিভি, মশারি স্ট্যান্ড, সিলিং ফ্যানের ওপর জমে থাকা ধুলাবালি সপ্তাহে অন্তত একবার পরিস্কার করা।
- বাস, মোটরগাড়ি বা যানবাহনের ধোঁয়া থেকে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখা।
-শীতের সময় শীতবস্ত্র ধুয়ে বা রোদে দিয়ে ব্যবহার শুরু করা।
-লেপ-কাঁথা ভালো করে রোদে শুকিয়ে ব্যবহার করা।
--উলেন কাপড়ের পরিবর্তে সুতি বা জিন্সের কাপড় ব্যবহার করা।
-পুরোনো বাক্সবন্দি জামাকাপড় ধুয়ে রোদে ভালো করে শুকিয়ে ইস্ত্রি করে ব্যবহার করা।
- যে কোনো স্যাঁতসেঁতে স্থান
এড়িয়ে চলা।
-ঘাসের সংস্পর্শ যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলা।
- ফুল বা পারফিউমের ঘ্রাণ না নেওয়া।
- রান্না করার সময় মসলার ঝাঁজাল গন্ধ এড়াতে মাস্ক বা গামছা ব্যবহার করা।
- ফ্রিজে রাখা খাবার ভালো করে গরম করে গ্রহণ করা।
- ঘরে ধূপ ব্যবহার না করা।
- ব্যবহূত বিছানার চাদর, বালিশের কভার এবং মশারি সপ্তাহে একবার ধুয়ে ফেলা।
- ঘর থেকে ছারপোকা, তেলাপোকা চিরতরে নির্মূল করা।
-ঠান্ডা পানি এবং খাবার পরিহার করা।
যেসব খাবার পরিহার করা উচিত
-মাছ- ইলিশ, চিংড়ি, বোয়াল, পুঁটি; মাংস- গরুর মাংস, দুধ; ডিম- হাঁসের ডিম (সাদা অংশ); শাকসবজি- মিষ্টিকুমড়া, কচু, বেগুন, পুঁইশাক এবং মসুর ডাল; ফল- আপেল, কলা ও চকলেট, বাদাম।
শ্বাসকষ্টের জন্য ব্যায়াম
প্রতিদিন সকালে ও বিকেলে মুক্ত পরিবেশে ১০ মিনিট শ্বাসের ব্যায়াম করা।
জোরে জোরে শ্বাস টানা ও ফেলার অভ্যাস করা।
শ্বাস গ্রহণের পর প্রায় ১৫ সেকেন্ড শ্বাস ধরে রাখার অভ্যাস করা।
দুই ঠোঁট শিস দেওয়ার ভঙ্গিতে এনে ধীরে ধীরে মুখ দিয়ে শ্বাস ত্যাগ করা।
[বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক]
- বিষয় :
- অ্যালার্জি
- অ্যাজমা
- শ্বাসকষ্ট