ঢাকা শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫

দিনবদলে 'ফুটন্ত কিশোর ক্লাব'

দিনবদলে 'ফুটন্ত কিশোর ক্লাব'

ঈদ উপহার বিতরণের পর পথশিশুদের সঙ্গে ফুটন্ত কিশোর ক্লাবের স্বেচ্ছাসেবকরা

রুবেল মিয়া নাহিদ

প্রকাশ: ১৪ জানুয়ারি ২০২৩ | ১৮:০০ | আপডেট: ১৫ জানুয়ারি ২০২৩ | ০৪:১১

সাখাওয়াত হোসেন আদনান। গ্রামের সমবয়সী কয়েক কিশোর-তরুণের সঙ্গে গড়ে তুলেছেন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন 'ফুটন্ত কিশোর ক্লাব'। সমাজের কিশোরদের নিয়ে একটি নেতিবাচক ধারণা থাকলেও এই কিশোররা সেই ধারণার বেড়াজাল ভেঙে দিয়েছে। তাদের ইতিবাচক চিন্তাভাবনায় মুগ্ধ হয়ে একে একে যুক্ত হতে থাকে কিশোর-তরুণরা। বর্তমানে ফুটন্ত কিশোর ক্লাবের স্বেচ্ছাসেবকের সংখ্যা ২৫০ ছাড়িয়ে গেছে। এই কিশোর-তরুণরা হাতে হাত রেখে নারী নির্যাতন, যৌতুক, বাল্যবিয়ে বন্ধের কর্মশালা, কিশোরীদের প্রজনন সুরক্ষা নিশ্চিত করতে স্যানিটারি ন্যাপকিন প্যাড বিতরণ ও সচেতনতামূলক কর্মশালার পাশাপাশি অসহায় মানুষের সেবায় কাজ করে যাচ্ছে। এই স্বেচ্ছাসেবী কিশোর-তরুণরা তাদের বিভিন্ন ব্যতিক্রমী ও সৃজনশীল উদ্যোগ নিয়ে দেশ বদলে দেওয়ার স্বপ্নে কাজ করছে। ক্লাবটির যাত্রা শুরুর পর থেকে বিশেষ পরিকল্পনার মাধ্যমে ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নিয়ে সমাজের পিছিয়ে পড়া মানুষের মৌলিক অধিকার সুনিশ্চিতকরণে কাজ করে যাচ্ছে ক্লাবের সদস্যরা।

এ ছাড়াও রাস্তার ভবঘুরে মানুষের মধ্যে রান্না করা খাবার বিতরণ, এতিম শিশুদের জন্য শিশুভোজ আয়োজন, দরিদ্র শিক্ষার্থীদের শিক্ষা উপকরণ বিতরণ, শীতার্ত মানুষের মধ্যে শীতবস্ত্র বিতরণ, বন্যাকবলিতদের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ, নির্যাতিত মানুষের জন্য ফ্রি আইনি সহায়তা, রক্তের গ্রুপ নির্ণয় ক্যাম্পেইন, সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধের জন্য লিফলেট বিতরণসহ আরও নানা ব্যতিক্রমী কার্যক্রম করে যাচ্ছে ফুটন্ত কিশোর ক্লাব। তাদের ব্যতিক্রমী উদ্যোগগুলোর মধ্যে বেশ আলোচিত উদ্যোগ হচ্ছে 'লজ্জা নয়, সচেতনতায় বাঁচি' নামে প্রজেক্টটি।

এই প্রজেক্টের মাধ্যমে প্রত্যন্ত অঞ্চলের নারীদের পিরিয়ড বিষয়ে সচেতন করতে কর্মশালার আয়োজন করে প্রায় এক হাজার নারীকে প্রশিক্ষণ দিয়েছে এবং স্যানিটারি ন্যাপকিন প্যাড বিতরণ করছে বিনামূল্যে ক্লাবটি। কর্মশালায় অংশ নিয়ে নারীরা শিখছেন- সমাজে মাসিক বিষয়টি ট্যাবু নয় বরং মাসিক বিষয়ে সচেতন হলে সুস্থ থাকা যায় ও বিভিন্ন ভয়াবহ রোগ থেকে বাঁচা যায়। সংগঠনের কার্যক্রম সম্পর্কে জানতে চাইলে এর প্রতিষ্ঠাতা সাখাওয়াত হোসেন আদনান বলেন, 'এই সামাজিক কাজের সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরণা পেয়েছি বাবার কাছ থেকে। আমরা আসলে নিজেদের দায়বদ্ধতার জায়গা থেকে দেশের মানুষের কল্যাণে কাজ করছি। দেশের ৬৪ জেলার তরুণদের স্বেচ্ছাসেবামূলক কাজের সুযোগ করে দিতে চাই এই সংগঠনের মাধ্যমে।' 

আরও পড়ুন

×