ঢাকা শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫

নারী শ্রমিকের মজুরি বৈষম্য

মানবাধিকার নিশ্চিত করতে হবে

মানবাধিকার নিশ্চিত করতে হবে

শামীমা আক্তার

প্রকাশ: ২৯ এপ্রিল ২০২৩ | ১৮:০০

নারীর অধিকার আদায়ের সংগ্রামে অনেক কিছুই অর্জন সম্ভব হয়েছে। আজ এমন কোনো কাজের ক্ষেত্র নেই, যেখানে নারীর পদচারণা নেই। তবে এখনও আমাদের সমাজে পুরুষের সমান কাজ করেও কম মজুরি পান নারীরা। অপ্রাতিষ্ঠানিক শ্রমে তা যেন এক অলিখিত দলিল। অথচ সমাজের প্রকৃত উন্নয়নের জন্য নারীর শ্রমের ন্যায্য মজুরি অন্যতম পূর্বশর্ত। নারী শ্রমিকের মজুরি বৈষম্য নিয়ে বিশিষ্টজন উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। গ্রন্থনা শাহেরীন আরাফাত।

দায়িত্বশীল যে কোনো করপোরেট প্রতিষ্ঠান সব ধরনের মানবাধিকার সমুন্নত ও সুরক্ষিত রেখেই ব্যবসা পরিচালনা করে থাকে। মজুরি বৈষম্য মানবাধিকারের লঙ্ঘন, যা স্বনামধন্য কোনো করপোরেট গোষ্ঠী করে না বা করবে না। ইউনিলিভার বৈশ্বিক নীতি অনুসারে শুধু ন্যূনতম মজুরি নিশ্চিত নয়; বরং ন্যায্য জীবনযাপনের প্রয়োজনীয় মজুরি নিশ্চিত করতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। ২০১৬ সালে এই প্রতিষ্ঠানে ১০ শতাংশ নারী ছিলেন, তবে সুচিন্তিত পরিকল্পনা ও ধারাবাহিক কাজের মাধ্যমে নারীর অংশগ্রহণ ৪৪ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। একই সঙ্গে আমাদের প্রতিষ্ঠানের সর্বোচ্চ পর্যায়ে ৫০ শতাংশ নারীর নেতৃত্ব রয়েছে। তবে এই চিত্র সব জায়গায় এক নয়। ইউনিলিভার নারীর অংশগ্রহণে অনেকখানি এগিয়ে রয়েছে। অন্যান্য প্রতিষ্ঠানে এই সংখ্যা এখনও ২০ শতাংশের আশপাশে। এই সংখ্যা থেকেই বোঝা যায়, আমাদের আরও অনেকখানি পথ পাড়ি দিতে হবে করপোরেট খাতে নারীর সমতা নিশ্চিত করতে।

নারী এখনও সব ক্ষেত্রে সমান মজুরি বা সম্মাননা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন, বিশেষ করে অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে। করপোরেট খাতকে এখন শুধু নিজ নিজ পরিসরে কাজ করার বাইরে তাদের সাপ্লাই চেইনে জড়িত প্রতিষ্ঠানগুলোতেও মজুরি বৈষম্য বিলোপ করতে সক্রিয় ভূমিকা রাখতে হবে। নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দায়িত্বটি রাষ্ট্রকে আরও জোরালোভাবে পালন করতে হবে। মানব ইতিহাস তৈরির জন্মক্ষণ থেকেই নারী এই পৃথিবীর উন্নয়নে সক্রিয় ছিলেন এবং থাকবেন। তাঁর মানবাধিকার নিশ্চিত করতে পারলে এবং অসম বোঝা না চাপিয়ে দিলে নারী তাঁর জায়গা তাঁর দক্ষতা দিয়েই করে নেবেন।

পরিচালক, করপোরেট অ্যাফেয়ার্স
ইউনিলিভার বাংলাদেশ লিমিটেড (ইউবিএল)

আরও পড়ুন

×