ঢাকা শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫

নারী শ্রমিকের মজুরি বৈষম্য

নারীবান্ধব সমাজ গড়ার পথে

নারীবান্ধব সমাজ গড়ার পথে

ফারাহ্‌ কবির

প্রকাশ: ২৯ এপ্রিল ২০২৩ | ১৮:০০

নারীর অধিকার আদায়ের সংগ্রামে অনেক কিছুই অর্জন সম্ভব হয়েছে। আজ এমন কোনো কাজের ক্ষেত্র নেই, যেখানে নারীর পদচারণা নেই। তবে এখনও আমাদের সমাজে পুরুষের সমান কাজ করেও কম মজুরি পান নারীরা। অপ্রাতিষ্ঠানিক শ্রমে তা যেন এক অলিখিত দলিল। অথচ সমাজের প্রকৃত উন্নয়নের জন্য নারীর শ্রমের ন্যায্য মজুরি অন্যতম পূর্বশর্ত। নারী শ্রমিকের মজুরি বৈষম্য নিয়ে বিশিষ্টজন উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। গ্রন্থনা শাহেরীন আরাফাত


বাংলাদেশে স্বাধীনতা-পরবর্তী সময় থেকে মে দিবস পালিত হয়ে আসছে। তবে আজও যথাযথভাবে এই দিবস দ্বারা উপকৃত হচ্ছেন না অনেক শ্রেণির মানুষ, বিশেষত নারীরা। দৈনিক আট ঘণ্টা কাজের দাবি নিয়ে আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবসের সূচনা হলেও প্রতিদিন হাজারও গৃহিণী ঘণ্টার হিসাব ছাড়াই প্রতিনিয়ত সংসারের কাজ করে যাচ্ছেন। তাঁদের এই কাজের কোনো স্বীকৃতি নেই, অধিকার প্রতিষ্ঠা হওয়া তো অনেক দূরের কথা। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী নারীদের ঘরের এই কাজকে স্বীকৃতি এবং যথাযথ মর্যাদা দেওয়ার লক্ষ্যে জিডিপিতে আওতাভুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন, যা অত্যন্ত আশাব্যঞ্জক। এমনি আরেক উপেক্ষিত পেশা হলো নারী কৃষিজীবীদের পেশা। একশনএইড প্রথম থেকেই নারী কৃষকদের স্বীকৃতি এবং অধিকার প্রতিষ্ঠায় কাজ করে আসছে। আমরা অ্যাডভোকেসি করেছি কৃষি নীতিমালায় নারী কৃষকদের সংযুক্তির জন্য। বর্তমান নীতিমালায় নারী কৃষকদের উল্লেখ থাকলেও বাস্তবায়নে অনেক সীমাবদ্ধতা দেখা যায়। নারী কৃষক নিজেও জানেন না, তাঁর কী কী অধিকার রয়েছে। তাঁদের স্বীকৃতি আদায় ও সচেতনতা বৃদ্ধিতে ক্যাম্পেইন বাড়াতে হবে। নিতে হবে সরকারি-বেসরকারি সব পর্যায় থেকে উদ্যোগ। নীতিমালা প্রণয়ন বা আইন সংশোধন এবং বাস্তবায়নে মনিটরিংয়ের ব্যবস্থা করতে হবে। কৃষক তালিকা হালনাগাদ, সুদমুক্ত  ঋণ, বর্ধিত কৃষি প্রণোদনা, দুর্যোগ বীমা এবং নারীবান্ধব বাজার ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে হবে। মে দিবসের সার্থকতা কখনোই নারীকে বাদ দিয়ে উপলব্ধি করা সম্ভব নয়। নারী-পুরুষ উভয় লিঙ্গের শ্রমিকদের ঘরে-বাইরে সব কর্মক্ষেত্রে সমান এবং যথাযথ অধিকার নিশ্চিত করার দায়িত্ব আমাদের সবার।
কান্ট্রি ডিরেক্টর, একশনএইড বাংলাদেশ

আরও পড়ুন

×