আন্তর্জাতিক নির্যাতন বিরোধী দিবস
মানসিকতার পরিবর্তন

খুশী কবির, সমন্বয়ক, নিজেরা করি
প্রকাশ: ২৪ জুন ২০২৩ | ১৮:০০
কয়েকটা কারণে পারিবারিক নির্যাতন বাড়ছে। যখন পণ্যের দাম অনেক বেড়ে যায়, অর্থনৈতিক সংকট সামনে আসে, তখন হতাশা কাজ করে। পরিবারের পুরুষ ব্যক্তিটি মনে করেন, আমি হলাম কর্তা, স্ত্রী আমার অধীনস্থ। এ হতাশা থেকে নারী নির্যাতন বাড়ে।
দ্বিতীয়ত, ইন্টারনেটের সহজলভ্যতায় পর্নোগ্রাফিও যে কারও হাতের নাগালে রয়েছে। যারা পর্নোগ্রাফিতে আসক্ত, তারা বেশি পারিবারিক নির্যাতন করে।
তৃতীয়ত, নারীরা এখন অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে যুক্ত হচ্ছেন। ফলে প্রতিবাদ করছেন। প্রতিবাদ করলেই তো চলে আসে নির্যাতন। এখানে ধর্মকে যাঁরা ব্যবহার করেন নিজের স্বার্থে, তাঁরা নারীকে নিচু জাত হিসেবে দেখান। এটা সব ধর্মের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য।
এ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য পুরুষকে আধিপত্যের চিন্তা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। নারীকেও পুরুষের সঙ্গে কাজ করার মানসিকতা থাকতে হবে। আমরা এখন যেসব জায়গায় কাজ করছি, সেখানে পুরুষের চিন্তা-ভাবনা পরিবর্তনের লক্ষ্যে কাজ করছি। পুরুষরা যেন নারীকে সমান মর্যাদা দেন, বাড়ির কাজে অংশগ্রহণ করা, কিশোর-কিশোরীদের মানসিকতায় পরিবর্তন আনা যে, আমরা পরস্পরকে মানুষ হিসেবে দেখব। পুরুষতান্ত্রিক মানসিকতার পরিবর্তন না হলে এ অবস্থা থেকে মুক্তি আসবে না। নারী যেমন পুরুষকে মানুষ হিসেবে দেখবেন, তেমনি পুরুষও নারীকে যৌনবস্তু হিসেবে দেখবেন না। তবেই পরিবর্তন সম্ভব।