সাক্ষাৎকার
পারিবারিক বিনোদন কেন্দ্রে রূপান্তর হচ্ছে কৃত্রিম মাঠ

শাহাদাত ইবনে আশরাফ সাইমন. প্রতিষ্ঠাতা, ফরচুন স্পোর্টস কমপ্লেক্স
সাক্ষাৎকার নিয়েছেন সারোয়ার সুমন
প্রকাশ: ১১ মে ২০২৪ | ১২:৫৮ | আপডেট: ১১ মে ২০২৪ | ১৩:০১
সমকাল: টার্ফের মাঠ অনেক আগেই শুরু করেছিলেন। এখনকার চিত্রটি কেমন?
শাহাদাত সাইমন: আগের তুলনায় টার্ফের সংখ্যা অনেক বেড়ে গেছে। তাই আগের চেয়ে কমে গেছে বুকিংও। তবে করপোরেট গ্রাহকের সংখ্যা আগের তুলনায় অনেক বেড়েছে। আগে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত মাঠ জমজমাট থাকলেও এখন সন্ধ্যার পরে জমে উঠছে বেশি। এখন নতুন আরেকটি বিষয় লক্ষ্য করছি আমরা। আগে শুধু খেলার উদ্দেশ্যে মানুষ জড়ো হলেও এখন পরিবারের বিনোদন কেন্দ্রেও রূপান্তর হচ্ছে এটি। একসঙ্গে চার-পাঁচটি পরিবারের মানুষ একত্র হয়ে চার-পাঁচ ঘণ্টা সময় এখানে ব্যয় করছে। কেউ খেলছে, কেউ সুইমিং করছে, কেউ জিমে যাচ্ছে, কেউবা আড্ডা দিচ্ছে রেস্টুরেন্টে। ক্লাবে এমন সময় কাটাতে হলে অনেক টাকা খরচ হয়। সে তুলনায় এখানে খরচ অনেক কম।
সমকাল: আপনাদের স্পোর্টস কমপ্লেক্স ঘিরে নতুন কী পরিকল্পনা রয়েছে?
শাহাদাত সাইমন: আমাদের কমপ্লেক্সে ফুটবল, ক্রিকেট, ব্যাডমিন্টন, দাবা, ক্যারমসহ নানা ধরনের খেলার সুযোগ রয়েছে। নতুন করে কিডস জোন
চালু করতে যাচ্ছি। এ ছাড়া পুল বিলিয়ার্ড বোর্ড ও জিম চালু হবে। এক মাসের মধ্যে এই দুটি সেবা নতুন করে যুক্ত হবে।
সমকাল: আপনাদের এখানে কোন খেলার জন্য ঘণ্টাপ্রতি কত দিতে হয়?
শাহাদাত সাইমন: প্রতি ঘণ্টার জন্য দিনের বেলায় দেড় হাজার টাকা ও রাতের বেলায় দুই হাজার টাকা ভাড়া নির্ধারিত আছে। সাতজনের দুটি দল এক ঘণ্টা ফুটবল খেলতে পারবে। একই ভাড়ায় খেলতে পারবে ক্রিকেটও। এ ছাড়া ব্যাডমিন্টনের জন্য ঘণ্টাপ্রতি ৬০০ টাকা, সুইমিং পুলে ৩০০ টাকা নেওয়া হচ্ছে।
সমকাল: কত টাকা বিনিয়োগ করে কী পরিমাণ আয় হচ্ছে আপনাদের?
শাহাদাত সাইমন: ৪০ কাঠা জায়গার ওপর প্রায় তিন কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছি আমরা। এখন গড়ে প্রতিদিন ৩০-৪০ হাজার টাকা আয় হচ্ছে।
নতুন সেবা যুক্ত হলে আমাদের এই আয়ের পরিমাণ আরও বাড়বে।
- বিষয় :
- বিনোদন কেন্দ্র