ঢাকা শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫

সতর্ক করল বিশ্বব্যাংক

দক্ষিণ এশিয়ায় তরুণদের কাজের সুযোগ বাড়ছে না

দক্ষিণ এশিয়ায় তরুণদের কাজের সুযোগ বাড়ছে না

ছবি: সংগৃহীত

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০২ এপ্রিল ২০২৪ | ২২:২৬

বিশ্বব্যাংক সতর্ক করে বলেছে, ভারতসহ দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো তরুণদের জন্য যথেষ্ট কাজের ক্ষেত্র তৈরি করতে পারছে না, যা ওই অঞ্চলের ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্টকে ঝুঁকির মুখে ফেলেছে। বিশ্বব্যাংক বলছে, আগামী দুই বছরে বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তানসহ দক্ষিণ এশিয়ার অর্থনীতি বিশ্বের যে কোনো অঞ্চলের চেয়ে দ্রুত অগ্রসর হবে। এ প্রবৃদ্ধির হার চলতি অর্থবছরে হবে ৬ শতাংশ;  ২০২৫ সালে তা হবে ৬ দশমিক ১ শতাংশ।

মঙ্গলবার যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে। 

এতে বলা হয়, গত বছর ভারত চীনকে অতিক্রম করে বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল ১৪০ কোটি মানুষের দেশ হয়েছে। ভারতের অর্থনীতি অগ্রসরমান। তবে বিশ্বব্যাংক মনে করে, অঞ্চলটির বেকারত্বের হার বাড়ছে এবং চাকরি ক্ষেত্রে কর্মক্ষম বয়সী মানুষের সংখ্যা কমছে। এটা ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার একটি দেশে তরুণদের জন্য একটি দেশ যথেষ্ট কাজের ক্ষেত্র তৈরি করতে পারছে না বলে ইঙ্গিত করে। দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক বিশ্বব্যাংকের প্রধান অর্থনীতিবিদ ফ্রানজিসকা হনসরজে বলেন, এটা সুযোগের যথার্থ ব্যবহার নয়। এতে ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্টের অপচয় হচ্ছে। 

ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড হচ্ছে, যখন একটি দেশের বেশির ভাগ জনসংখ্যাই কর্মক্ষম বয়সের মাঝে অবস্থান করে। জাতিসংঘের জনসংখ্যা তহবিল (ইউএনএফপি) প্রদত্ত সংজ্ঞা অনুযায়ী, যখন কোনো দেশের কর্মক্ষমহীন মানুষের চেয়ে কর্মক্ষম মানুষের সংখ্যা বেশি থাকে এবং সেটা যখন অর্থনৈতিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখে, তখনই তাকে ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড বলা হয়। এখানে কর্মক্ষম মানুষের বয়স ধরা হয়েছে ১৫ থেকে ৬৪ বছর।

বিশ্বব্যাংক বলছে, গত বছর দক্ষিণ এশিয়ার বেকারত্বের হার ছিল ৫৯ শতাংশ, যেখানে বিশ্বের অগ্রসরমান অন্য বাজারগুলোতে এ হার ৭০ শতাংশ। শুধু দক্ষিণ এশিয়াই এমন একটা অঞ্চল, যেভাবে গত দুই দশকে কর্মক্ষম মানুষের হার কমেছে। অর্থনীতিবিদ ফ্রানজিসকা হনসরজে বলেন, যেসব কর্মী কৃষি ছাড়ছেন, ব্যক্তিমালিকানাধীন কোম্পানিগুলো তাদের প্রক্রিয়াজাতকরণ এবং অন্যান্য সেবায় তাদের কাজে নিয়োগ দিতে পারছে না। 

নারীদের কর্মক্ষেত্রে কম সুযোগ আরেকটি চ্যালেঞ্জ। ভারতসহ দক্ষিণ এশিয়ার অনেক দেশেরই চাকরি করা নারীর সংখ্যা বিশ্বে সর্বনিম্ন, যা ৪০ শতাংশেরও নিচে। ফ্রানজিসকা হনসরজে বলেন, একটি চাকরি উপার্জনের চেয়েও অনেক বেশি কিছু। 

ভারতের জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে বিশ্বব্যাংকের এ প্রতিবেদন এলো। এতে দেশটির বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকার বিব্রত অবস্থায় পড়তে পারে। কারণ, কংগ্রেসসহ বিরোধী দলগুলো নরেন্দ্র মোদি সরকারের বিরুদ্ধে তরুণদের চাকরি দিতে ব্যর্থতার অভিযোগ করে আসছে।


 

আরও পড়ুন

×