ঢাকা শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫

লাশ হচ্ছে অনেকে, তবুও কেন এভারেস্টে যায় মানুষ

লাশ হচ্ছে অনেকে, তবুও কেন এভারেস্টে যায় মানুষ

ছবি: সিএনএন

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০৪ মে ২০২৪ | ২২:২০

এভারেস্ট জয় মানে অসাধারণ কিছু। বিশ্বের সর্বোচ্চ শৃঙ্গে আরোহণ আর নিজ দেশের পতাকা উড়িয়ে ইতিহাস গড়তে চান অনেকেই। কিন্তু এ যাত্রা যেন এক মহাযাত্রা। প্রয়োজন হয় দীর্ঘ প্রশিক্ষণের। প্রশিক্ষণ নিয়েও বা ক’জন সফল হন? ইতিহাস গড়তে গিয়ে এখন পর্যন্ত অনেকেই ফিরেছেন লাশ হয়ে, আবার অনেকের মৃতদেহটিও হয়েছে তুষার সমাধি।

তথ্য বলছে, ২০২৩ সালে এভারেস্টের চূড়ায় আরোহণ করতে গিয়ে মৃত্যু হয়েছে অন্তত ১৮ জনের। এর মধ্যে পাঁচজনের লাশই পাওয়া যায়নি। এমন দুঃসাহসিক আর প্রাণঘাতী জেনেও শত শত মানুষ কেন নেপালের এভারেস্টে যায়?

প্রায় এক বছর কন্ডিশনিং করার পর গত বছর সফলভাবে এভারেস্টের চূড়ায় আরোহণ করতে সক্ষম হন ট্রমা সার্জন জ্যাকব উইসেল। তিনি বলেন, ‘আপনি যদি কাউকে নিয়ে যান এবং এভারেস্টের উচ্চ শিবিরে পৌঁছান, এমনকি চূড়ায় না পৌঁছালেও আরোহণকারী সম্ভবত ১০ থেকে ১৫ মিনিটের মধ্যে কোমায় চলে যাবে। তারা এক ঘণ্টার মধ্যে মারা যাবে। কারণ তাদের শরীর অক্সিজেনের মাত্রার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।’ 

২০১৪ সালে এভারেস্টের চূড়ায় উঠে আসা পর্বতারোহী প্রশিক্ষক অ্যালান আর্নেটের মতে, ‘চলতি বছর প্রায় ৩০০ জনকে এভারেস্টে আরোহণের অনুমতি দিয়েছে নেপাল সরকার। এটি গত বছরের তুলনায় কম। কারণ হিসেবে তিনি মনে করেন, আরোহণে আগ্রহীরা যাতে বুঝতে পারে, মাউন্ট এভারেস্ট একটি বিপজ্জনক পর্বত।’

অ্যালান বলেন, ‘এভারেস্ট খুব বেশি পরিমাণে বাণিজ্যিকীকরণ হয়ে গেছে। আপনি মৃতদেহের ওপর দিয়ে পা ফেলছেন। বাস্তবতা হলো, এই আরোহণে মর্যাদা আছে, সফল হওয়ার আনন্দ অনেক। আর এ কারণেই আমরা পর্বতে আরোহণ করি।’ 

আরও পড়ুন

×