কারাগারে বাগদাদির স্ত্রীর স্মৃতিকথা

ছবি: বিবিসি
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ১০ জুন ২০২৪ | ২০:১৩
ইরাকের রাজধানী বাগদাদের একটি কারাগারে বন্দি আছেন ইসলামিক স্টেটের (আইএস) সাবেক প্রধান আবু বকর আল-বাগদাদির স্ত্রী উম্মে হুদাইফা। সেখানে নির্জন কোণে বসে বিবিসিকে বিশেষ সাক্ষাৎকার দিয়েছেন তিনি। জানিয়েছেন নিজের গল্প, স্বামী-সন্তান-সংসারের গল্প। উঠে এসেছে আইএসের বিভিন্ন কার্যক্রমের কথাও।
হুদাইফা জানান, তিনি আবু বকর আল-বাগদাদির প্রথম স্ত্রী। যদিও দাবি করেছেন, স্বামী যে আইএসের প্রধান, সেটা তিনি জানতেন না। বলেন, ২০১৪ সালের গ্রীষ্মে স্বামী ও সন্তানদের নিয়ে সিরিয়ার রাকা শহরে বসবাস করতাম। স্বামী বাড়িতে কম থাকতেন। বিভিন্ন জায়গায় অবস্থান করতেন। ২০০৭ সালের পর থেকে আমি মোবাইল ফোনের মতো কোনো প্রযুক্তি ব্যবহার করিনি। তখন বাসায় একটি টেলিভিশন ছিল। আমি মাঝেমধ্যে লুকিয়ে সেটা চালু করতাম, দেখতাম।
একদিন একজনকে বাড়িতে পাঠান হুদাইফার স্বামী। ওই ব্যক্তি এসে জানান, দুই ছেলেকে নিয়ে যেতে বলেছেন আবু বকর আল-বাগদাদি। শিশু দুটিকে ইউফ্রেতিস নদীতে সাঁতার শেখানো হবে। নিয়ে যাওয়ার কদিন পর টেলিভিশনে একটি ফুটেজ দেখে চমকে ওঠেন হুদাইফা।
তিনি দেখেন, ইরাকের উত্তরাঞ্চলের মসুলের আল-নুরি মসজিদ থেকে বক্তব্য দিচ্ছেন তাঁর স্বামী। সেখানে নিজেকে আইএস খিলাফতের প্রধান হিসেবে পরিচয় দেন। অবাক করা বিষয়, তাঁর দুই ছেলেও মসুলে ছিল। তাঁর স্বামী কোনো জঙ্গিগোষ্ঠীর সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছেন কিনা, সেটা নিয়ে সন্দেহ করতেন তিনি। এ জন্য বাসায় ফিরে গোসলে ঢুকলে বা ঘুমিয়ে গেলে স্বামীর পোশাক ও পকেট পরীক্ষা করতেন তিনি। কিন্তু কখনোই সন্দেহজনক কিছু পাননি।
বাগদাদের কারাগারে থাকা হুদাইফার বিরুদ্ধে আইএসের সম্পৃক্ততা, সংগঠনটির সন্ত্রাসবাদী কাজে জড়িত থাকার তদন্ত করা হচ্ছে। তবে আইএসের নির্মম কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করেন তিনি। বরং নিজেকে একজন ভুক্তভোগী হিসেবে চিহ্নিত করার চেষ্টা করেন। তবে আইএস সদস্যদের দ্বারা অপহরণ ও ধর্ষণের শিকার ইয়াজিদিদের করা মামলায় হুদাইফার বিরুদ্ধে অপহৃত মেয়ে ও নারীদের জোরপূর্বক যৌনদাসী বানানোর অভিযোগ রয়েছে।
- বিষয় :
- কারাগার
- আইএস
- সাক্ষাৎকার