দ্বিতীয় দফার ভোট আজ
কট্টর ডানপন্থিদের উত্থানে মাখোঁর অগ্নিপরীক্ষা

ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ
সমকাল ডেস্ক
প্রকাশ: ০৭ জুলাই ২০২৪ | ০৩:৪৩
প্রথম দফায় কট্টর ডানপন্থিদের কাছে হারের পর ফ্রান্সের জাতীয় নির্বাচনে দ্বিতীয় দফার ভোটগ্রহণ আজ। ধারণা করা হচ্ছে, এ দফায় কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে পারেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ। এতে ফ্রান্সের ক্ষমতায় যেতে পারেন কট্টর ডানপন্থিরা। এ জন্য মাখোঁর জন্য দ্বিতীয় দফার ভোট এক অগ্নিপরীক্ষা হিসেবে বিবেচিত।
শনিবার আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রথম দফার ভোটে ফ্রান্সের কট্টর ডানপন্থি দল ন্যাশনাল র্যালি (আরএন) পার্টি ২৯ শতাংশের বেশি ভোট পেয়ে জয়ী হয়। দলটি আগে ন্যাশনাল ফ্রান্ট নামে পরিচিত ছিল। দ্বিতীয় দফার ভোট সামনে রেখে তারা ফ্রান্সজুড়ে মিছিল করেছেন। গত বুধবার প্যারিসের বিখ্যাত প্লেস ডি লা রিপাবলিক থেকে মিছিল নিয়ে তারা শহরটিতে তাদের সদরদপ্তরে পৌঁছান।
ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনে ফ্রান্স ও ইউরোপীয় রাজনীতি বিষয়ের অধ্যাপক ফিলিপ মারলিয়ার বলেন, পরিস্থিতি অত্যন্ত নাটকীয় ও গুরুতর হতে যাচ্ছে। আরএন যাতে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়, সেই চেষ্টাই চলছে।
নির্বাচনের প্রথম পর্বে মাখোঁর রেনেসাঁ পার্টি মাত্র ২০ শতাংশ ভোট পেয়েছিল। বামপন্থি দল গুলোর জোট, যাকে বলা হয় নিউ পপুলার ফ্রন্ট, তারা ২৮ শতাংশের বেশি ভোট পেয়েছে। ওই জোটের উদ্দেশ্য মেরিন লেপেনের নেতৃত্বে জাতীয়তাবাদী ও ৬৮ শতাংশ, যা ২০২২ সালের সংসদ নির্বাচনের ৪৭ দশমিক ৫ শতাংশের তুলনায় বেশি।
ফ্রান্সের ৫৭৭ আসনের পার্লামেন্ট নির্বাচনের প্রথম ধাপেই সবকিছু নিশ্চিত করে দেয় না। তথাপি আরএন অপেক্ষাকৃত বেশি আসন পেয়েছে, যা দলটিকে ক্ষমতায় আনার সম্ভাবনাকে প্রকট করেছে। এমনটা হলে ৮০ বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো কট্টরপন্থি শাসন ফিরবে ফ্রান্সে।
ইউনিভার্সি টিটুলুস ক্যাপিটলের তুলনামূলক আইনের ফরাসি গবেষক রিম-সারাহ আলাউন আল জাজিরাকে বলেন, ‘আমরা কখনোই আর বিদেশ-আতঙ্ক, বর্ণবাদের ওপর অর্থায়নকারী ও নাৎসি সহযোগীদের সঙ্গে সম্পর্ক রেখে এমন গোষ্ঠীর ক্ষমতায় আসার এতটা সম্ভাবনা দেখিনি। এই দ্বিতীয় দফার ভোট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, এটি আগামী কয়েক বছরের জন্য এদেশের দিকনির্দেশনা দেবে।’
তিনি বলেন, এটা বলাটা অতিরঞ্জিত হবে না, ‘আমাদের প্রজাতন্ত্রের ভিত্তিটি খুব নড়বড়ে মাটিতে রয়েছে। অতি ডানপন্থিরা কোনো সাধারণ দল নয়। আপনি যখন ডানদিকে ক্ষমতা দেন, আপনি নিশ্চিত হতে পারবেন না, তারা কখন তা ফিরিয়ে দেবে।’
আরএন পার্টি যদি নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়, তাহলে লেপেনের অনুসারী জর্ডান বারদেল্লা ফ্রান্সের নতুন প্রধানমন্ত্রী হতেপারেন। বিশেষ করে তরুণ ভোটাররা বারদেল্লাকে ভোট দিচ্ছেন। তাদের অধিকাংশের বয়স ১৮ থেকে ২৪ বছরের মধ্যে।
ব্রিটানির ফরাসি-হাঙ্গেরিয়ান ইংরেজি সাহিত্য ও অনুবাদের অধ্যাপক ড্যানিয়েল সাজাবো বলেন, মানুষ প্রার্থীকেও ভোট দিচ্ছে না। তারা বারদেল্লাকে প্রধানমন্ত্রী করতে ভোট দিচ্ছে।
- বিষয় :
- ইমানুয়েল মাখোঁ
- ফ্রান্স
- প্রেসিডেন্ট