ঢাকা বৃহস্পতিবার, ০৩ জুলাই ২০২৫

মুক্তির দ্বারপ্রান্তে ইমরান খান

মুক্তির দ্বারপ্রান্তে ইমরান খান

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। ফাইল ছবি: রয়টার্স

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৩ জুলাই ২০২৪ | ২২:৫১

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের জন্য পরপর দু’দিন দারুণ সুখবর এসেছে দেশটির সর্বোচ্চ আদালত থেকে। শনিবার তাঁকে ‘বেআইনি বিয়ের’ মামলায় খালাস দিয়েছেন আদালত। ফলে এখন তাঁর মুক্তিতে আর কোনো বাধা নেই। এর আগের দিন কারাবন্দি এই নেতার দলকে বৈধ এবং সংরক্ষিত আসন পাওয়ার যোগ্য বলে ঐতিহাসিক রায় দেন সুপ্রিম কোর্ট। খবর আলজাজিরা ও এএফপির। 

ইসলামাবাদের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা আদালতের বিচারক আফজাল মাজোকা শনিবার ইমরান খান এবং তাঁর স্ত্রীকে বেআইনি বিয়ের অভিযোগ থেকে খালাস দিয়েছেন বলে তাঁর দল ও আইনজীবীরা জানিয়েছেন। 
ইমরান (৭১) এবং তাঁর স্ত্রী বুশরা বিবিকে ইদ্দত মামলায় গত ফেব্রুয়ারিতে পাকিস্তানে সংসদ নির্বাচনের আগের দিন সাত বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। তবে বিচারক আফজাল মাজোকা শনিবার রায় ঘোষণা করেছেন, ‘ইমরান খান এবং বুশরা বিবির আপিল গ্রহণ করা হয়েছে।’

ইমরানের পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) দলের একজন মুখপাত্র বলেছেন, তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ‘খারিজ’ করে দেওয়া হয়েছে। ইমরানের আইনজীবী নাঈম পাঞ্জুথা এক্স পোস্টে বলেছেন, এ দম্পতিকে ‘খালাস’ দেওয়া হয়েছে। 

২০২৩ সালের মে মাসে পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে দাঙ্গায় উস্কানি দেওয়ার অভিযোগে ইমরানকে কারাবন্দি করা হয়।  চলতি মাসের শুরুর দিকে জাতিসংঘ বিশেষজ্ঞদের একটি প্যানেল তাঁর আটকাদেশকে ‘স্বেচ্ছাচারী’ বলে মত দিয়েছে এবং যোগ করেছে ‘এর কোনো আইনি ভিত্তি ছিল না এবং মনে হচ্ছে, রাজনৈতিক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে তাঁকে অযোগ্য ঘোষণা করার উদ্দেশ্যে এটা করা হয়েছে।’ জাতিসংঘ অবিলম্বে তাঁকে মুক্তি দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। 

পাকিস্তানের ডন পত্রিকা জানায়, শনিবারের রায়ের ফলে ইমরানকে কারাগারে রাখার সর্বশেষ আইনি বাধা দূর করেছে। এর আগে তোশাখানা মামলায় তাঁর সাজা স্থগিত করা হয়েছে। এ ছাড়া আলোচিত সাইফার মামলায় ইসলামাবাদ হাইকোর্ট থেকে তিনি খালাস পেয়েছেন। এ ছাড়া আরও কয়েকটি মামলায় বিভিন্ন আদালত তাঁকে খালাস দিয়েছেন।

এর আগে শুক্রবার সুপ্রিম কোর্ট দেশটির নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত খারিজ করে জানিয়েছেন, পিটিআই দলগতভাবেই পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ ন্যাশনাল অ্যাসেমব্লির ২৩টি সংরক্ষিত আসন পাওয়ার যোগ্য।
নির্বাচন কমিশন পিটিআইর প্রতীক বাতিল করায় দলগতভাবে ভোটে লড়তে না পারলেও গত ফেব্রুয়ারিতে সংসদ নির্বাচনে দলটি ৯২ আসনে জিতে বৃহত্তম দল হিসেবে আবির্ভূত হয়।  সুপ্রিম কোর্টের রায়ে দলীয় মর্যাদা ফিরে পেয়ে ২৩টি সংরক্ষিত আসন পাচ্ছে দলটি। 

রায়ে সুপ্রিম কোর্ট পিটিআইকে একটি রাজনৈতিক দল হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছেন। একই সঙ্গে আদালত নিশ্চিত করেছেন, নির্বাচনী প্রতীক না থাকলেও নির্বাচনে কোনো দলের প্রার্থী দেওয়ার আইনি ক্ষমতা পরিবর্তন হবে না। 


 

আরও পড়ুন

×