ত্রিপুরায় ভয়াবহ বন্যায় ৮ জনের মৃত্যু, নিখোঁজ ২

বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন হাজার হাজার মানুষ। ছবি: সংগৃহীত
সমকাল ডেস্ক
প্রকাশ: ২১ আগস্ট ২০২৪ | ২১:২১
ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে আকস্মিক বন্যায় অন্তত আটজনের মৃত্যু হয়েছে ও নিখোঁজ রয়েছেন দু’জন। এ ছাড়া ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন হাজার হাজার মানুষ। একই সময়ে প্লাবিত হয়েছে বিশাল অঞ্চল। ফলে বাস্তুচ্যুত হয়ে আশ্রয়কেন্দ্রে ঠাঁই নিয়েছে অন্তত ৫ হাজার ৬০০ পরিবার।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাজ্যের প্রধান চারটি নদীর পানিই বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। নদীগুলো হলো– হাওড়া, ধলাই, মুহুরী ও খোয়াই। এই চার নদীই বাংলাদেশ-ভারত আন্তঃসীমান্ত নদী।
৪৮ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে অবিরাম বৃষ্টিপাতের কারণে হঠাৎ করে বেশ কয়েকটি নদীর পানির উচ্চতা বেড়ে যাওয়ায় ত্রিপুরাজুড়ে আকস্মিক বন্যা দেখা দেয় বলে এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়। আরও দু’দিন ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাত হবে বলে জানিয়েছে দেশটির আবহাওয়া বিভাগ। এ পরিস্থিতিতে নিম্নাঞ্চল এবং যেসব জায়গায় ভূমিধস হতে পারে, সেখানকার বাসিন্দাদের প্রতি সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
ত্রিপুরার রাজস্ব সচিব ব্রিজেশ পাণ্ডে সাংবাদিকদের বলেছেন, ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে দক্ষিণ ত্রিপুরা ও গোমতি জেলায় ব্যাপক বন্যা দেখা দিয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, বাগাফায় ৩৭৫ দশমিক ৮ মিলিমিটার, বিলোনিয়ায় ৩২৪ দশমিক ৪ মিলিমিটার ও অমরপুরে ৩০৭ দশমিক ১৪ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।
মঙ্গলবার বিকেল ৪টা পর্যন্ত হাওড়া, ধলাই, মুহুরী ও খোয়াই নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। ত্রিপুরা রাজ্য সরকার বন্যার্তদের জন্য ১৮৩টি আশ্রয়শিবির স্থাপন করেছে, যেখানে ৫ হাজার ৬০৭টি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার আশ্রয় নিয়েছে। রাজ্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ উদ্ধার অভিযানে সহায়তার জন্য জাতীয় দুর্যোগ প্রতিক্রিয়া বাহিনী, রাজ্য বিপর্যয় প্রতিক্রিয়া বাহিনী, ফায়ার সার্ভিস, সীমান্ত নিরাপত্তা বাহিনী, ত্রিপুরা রাজ্য রাইফেলসসহ ২০০ দল মোতায়েন করেছে।