ঢাকা শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫

কপ২৯ সম্মেলন

দরিদ্র দেশগুলোর দাবি এক ট্রিলিয়ন ডলার ক্ষতিপূরণ

দরিদ্র দেশগুলোর দাবি এক ট্রিলিয়ন ডলার ক্ষতিপূরণ

আজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে সোমবার শুরু হয়েছে জাতিসংঘের জলবায়ু সম্মেলন (কপ২৯)। ছবি: ডেইলি সাবাহ

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৫ নভেম্বর ২০২৪ | ২০:৫৫

আজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে সোমবার শুরু হয়েছে জাতিসংঘের জলবায়ু সম্মেলন (কপ২৯)। বৈশ্বিক জলবায়ু সংকট সমাধানের লক্ষ্যে প্রায় ২০০ দেশের শীর্ষস্থানীয় নেতারা একত্র হন সেখানে। এবারের সম্মেলনের মূল লক্ষ্য জলবায়ু সংকটে ভুক্তভোগী দরিদ্র দেশগুলোকে আরও অর্থ সহায়তা দেওয়ার পথ খুঁজে বের করা।

বৃহস্পতিবার আলোচকরা সতর্ক করে দরিদ্র দেশগুলো জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় ক্ষতিপূরণ হিসেবে এক ট্রিলিয়ন ডলার অর্থ প্রদানের দাবি তুলেছে। 

এবার বাকুতে কপের ২৯তম আসর বসেছে। জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাব সামাল দিতে প্রতিবছর সদস্যদেশগুলোর প্রতিনিধিরা একত্র হন। ২২ নভেম্বর পর্যন্ত চলবে এ সম্মেলন। এবারের কপ২৯ সম্মেলনে আলোচনার মূল বিষয় হলো অর্থ। ধনী দেশগুলো এ লক্ষ্যে কতটা একমত হতে পারে, তার ওপর নির্ভর করবে শীর্ষ সম্মেলনের সাফল্য। ঋণদাতা ও বেসরকারি খাত অবশ্যই জলবায়ু মোকাবিলায় অর্থায়নের জন্য উন্নয়নশীল দেশগুলোকে প্রতিবছর প্রদান করবে এ নিয়ে একটি সিদ্ধান্ত হবে বলেই আশা করা হচ্ছে।

অনেক দেশ আশা করছে, ব্রাজিলে আগামী বছরের কপ৩০ সম্মেলনের আগে তাদের উচ্চাভিলাষী জলবায়ু লক্ষ্য নির্ধারণের জন্য অর্থ বরাদ্দ হবে। তবে এ বছর শীর্ষ সম্মেলনে একটি চুক্তিতে পৌঁছানো কঠিন হতে পারে। কারণ বৈশ্বিক রাজনীতির পরিবর্তন সম্পর্কে জনমত এক না-ও হতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের জয় জলবায়ু আলোচনার ভবিষ্যৎকে সন্দেহের মধ্যে ফেলে দিয়েছে। এতে উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশগুলোর মধ্যে চরম উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। যদিও কপ২৯ সম্মেলনের প্রধান আলোচক ইয়ালচিন রাফিয়েভ এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, বিশ্বনেতাদের অবশ্যই মনে রাখতে হবে যে ঘড়ির কাঁটা টিক টিক করছে।

২০১৫ সালের প্যারিস চুক্তির আওতায় বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি ২০৩০ সালের মধ্যে ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে সীমাবদ্ধ রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন বিশ্বনেতারা। এ লক্ষ্যে কার্বন নিঃসরণ কমাতে এবং জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতি সামলাতে ২০২৫ সাল নাগাদ উদীয়মান অর্থনীতির দেশগুলোকে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ সহায়তা দিতে রাজি হয়েছিল বড় অর্থনীতির দেশগুলো। তবে এখন পর্যন্ত সেই সহায়তার পরিমাণ সন্তোষজনক নয়। আর উন্নয়নশীল দেশের তালিকায় থাকা বিপুল পরিমাণ কার্বন নিঃসরণকারী চীন ও উপসাগরীয় দেশগুলো এ সহায়তা তহবিলে অর্থ দিচ্ছে না। উষ্ণতা রোধে বিশ্বের বৃহত্তম দুই হাজার পাবলিক লিস্টেড কোম্পানির মধ্যে ১ হাজার ১৪৫টি গত বছর স্বেচ্ছায় ‘নেট জিরো’ প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। অথচ ২০২৩ সালের জুন থেকে এ পর্যন্ত কার্বন নির্গমনের পরিমাণ দশমিক ৮ শতাংশ বেড়েছে।

জলবায়ু সংকট সমাধানে উৎসাহ দিতে কপের শুরুতে সাধারণত সদস্যদেশগুলোর প্রেসিডেন্ট বা প্রধানমন্ত্রীরা যোগ দেন। তবে এবার কয়েকটি বড় অর্থনীতি এবং সর্বাধিক কার্বন নিঃসরণকারী দেশের শীর্ষস্থানীয় নেতারা উপস্থিত থাকছেন না। তাদের মধ্যে রয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। খবর রয়টার্সের।

আরও পড়ুন

×