কোথাও ফেরার নেই
প্রত্যাবর্তনে আতঙ্কিত পাকিস্তানে আশ্রিত আফগানরা

ছবি: ফার্স্টপোস্ট
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ০৬ এপ্রিল ২০২৫ | ০৭:৩৫
বেনজির রৌফি তাঁর রেস্তোরাঁয় একা দাঁড়িয়ে আছেন। লাখ লাখ আফগানকে পাকিস্তান সরকার যে আবাসন অনুমতি দিয়েছিল, তা বাতিল ঘোষণার পর আতঙ্কে দিন কাটছে তাদের। তারা নিজ দেশে ফিরে যেতে চাইছেন না।
গত মার্চের শুরুতে ইসলামাবাদ আট লাখ আফগান নাগরিকের কার্ড বা এসিসি বাতিল ঘোষণা করা হবে বলে জানায়। এটি একটি নির্বাসন কর্মসূচির দ্বিতীয় ধাপ, যা ইতোমধ্যে আরও আট লাখ অননুমোদিত আফগানকে সীমান্ত পেরিয়ে যেতে বাধ্য করেছে।
আফগান নারী রৌফি বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, ১৯৯০-এর দশকে আফগানিস্তানের গৃহযুদ্ধ থেকে পালিয়ে আসার সময় আমার বয়স ছিল ১৩। এখন যদি নির্বাসিত করা হয়, তাহলে এটি আমাকে ধ্বংস করে দেবে। হয় আমার হৃদস্পন্দন বন্ধ হয়ে যাবে, নয়তো আমি নিজের জীবন নিয়ে নেব। পাকিস্তান আমাদের হাসি দিয়েছে। এখন সেই হাসি কেড়ে নেওয়া হচ্ছে।
আফগানদের ফেরত পাঠাতে এরই মধ্যে অভিযান শুরু হয়েছে। রাওয়ালপিন্ডির একটি রেস্তোরাঁয় পুলিশ অভিযান চালিয়ে ১০ আফগান নারীকে নিজ দেশে ফেরত যেতে বলে। তবে তারা আফগানিস্তানে ফিরে যেতে অস্বীকৃতি জানান। তারা আফগানিস্তানে নারীদের পড়াশোনা, চাকরি ও জনসমক্ষে সীমাবদ্ধ করে রাখার সরকারি নীতির সমালোচনা করেন। রৌফি বলেন, ‘আমার কাছে ফিরে যাওয়ার মতো কেউ নেই। তালেবান আমাদের নেবে না।’
এসিসি হোল্ডারদের স্বেচ্ছায় চলে যাওয়ার জন্য সরকারের দেওয়া সময়সীমা এপ্রিলে পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু কর্মীদের মতে, কর্তৃপক্ষ কয়েক মাস ধরে হয়রানি করছে। যারা পাকিস্তানে জন্মগ্রহণ করেছেন, পাকিস্তানিদের সঙ্গে বিয়ে হয়েছে অথবা কয়েক দশক ধরে দেশটিতে আছেন, তাদের সরকারি আবাসিক অনুমতিও বাতিল করা হয়েছে। পাকিস্তানের সঙ্গে আফগানিস্তানের ক্ষমতাসীন তালেবান সরকারের বিরোধের মধ্যে এ ঘটনা ঘটল। ইসলামাবাদের দাবি, তালেবান সরকার তাদের মাটিতে আশ্রয় নেওয়া জঙ্গিদের নির্মূলে ব্যর্থ। তবে তালেবান এ দাবি অস্বীকার করেছে।
- বিষয় :
- আফগানিস্তান
- পাকিস্তান