ঢাকা শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫

আলোচনা সভায় বাম নেতৃবৃন্দ

গণতান্ত্রিক শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ করে সরকারকে সুষ্ঠু নির্বাচন দিতে হবে

গণতান্ত্রিক শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ করে সরকারকে সুষ্ঠু নির্বাচন দিতে হবে

সমকাল প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ | ২২:১৩ | আপডেট: ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ | ২২:১৭

রাজনৈতিক শক্তির সঙ্গে সমঝোতা না করে ক্ষমতাসীনরা আন্তর্জাতিক শক্তির সাথে আপোষের চেষ্টা করছে। ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার জন্য সমাজে ভয়ের সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। দেশে গণতন্ত্রের জন্য ব্যবস্থা পরিবর্তনের প্রয়োজন অনিবার্য হয়ে পড়েছে।  সাম্প্রদায়িক শক্তির হাত থেকে দেশকে বাঁচাতে রাজনৈতিক শক্তির গণতান্ত্রিক, অসাম্প্রদায়িক ও বৈষম্যহীন রাষ্ট্র ব্যবস্থার অঙ্গীকারে একটি সমঝোতা চুক্তি খুব জরুরি। এছাড়া সকল গণতান্ত্রিক শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ করে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের দায়িত্ব সরকারকেই নিতে হবে।

বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর সেগুনবাগিচাস্থ ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে বাংলাদেশ জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সাবেক কার্যকরী সভাপতি কাজী আরেফ আহমেদসহ দলের পাঁচ নেতার ২৪তম হত্যাকাণ্ড দিবস স্মরণে ‘গণতন্ত্র ও সুষ্ঠু নির্বাচন ছাড়া মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলা পরিহাসের নামান্তর’ শীর্ষক আলোচনা সভায় বিভিন্ন বাম রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ এসব কথা বলেন। ‘বাংলাদেশ জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ)’ এর আয়োজন করে।

জাসদ সভাপতি শরীফ নুরুল আম্বিয়ার সভাপতিত্বে এবং যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক করিম সিকদারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন দৈনিক সমকালের উপদেষ্টা সম্পাদক আবু সাঈদ খান, জাসদের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক প্রধান, স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. মুশতাক হোসেন, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক কমরেড রুহিন হোসেন প্রিন্স, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের  গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস, জাসদের স্থায়ী কমিটির সদস্য বাদল খান, ফজলুর রহমান মুরাদ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখার সভাপতি আব্দুস সালাম খোকন, মহানগর উত্তরের সভাপতি এড. মরতুজা আলী, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ-বিসিএল’র সভাপতি গৌতম শীল প্রমুখ। দলের স্থায়ী কমিটির বক্তব্য পাঠ করেন যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মনজুর আহমেদ মনজু।

অনুষ্ঠানে আবু সাঈদ খান বলেন, এদেশের ইতিহাসে কেউ কাজী আরেফ আহমেদের উচ্চারণ করুক আর নাই করুক, তিনি কিন্তু হারিয়ে যাননি। এদেশের ইতিহাসে তার ভ‚মিকা অনন্য। তিনি যে রাজনীতি করতেন, সেটি এখনো প্রাসঙ্গিক। মৃত্যুকালেও তিনি অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গিকার ব্যক্ত করেছিলেন। সেই অঙ্গিকার এখনো প্রয়োজন। তিনি আজ বেঁচে থাকলে গণতান্ত্রিক, অসাম্প্রদায়িক, লুটেরামুক্ত বাংলাদেশের আন্দোলনে সামিল থাকতেন।

নাজমুল হক প্রধান বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার রাজনীতি প্রতিষ্ঠায় কাজী আরেফ আহমেদের ভুমিকা গুরুত্বপূর্ণ। ভিন্ন মতকে দমন করে নয় বরং গণতান্ত্রিক শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ করেই সাম্প্রদায়িক শক্তিকে রুখে দেওয়া সম্ভব। ফলে চলমান সংকট উত্তরণে জোর করে ক্ষমতা নয়, সকল গণতান্ত্রিক শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ করে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের দায়িত্ব সরকারকেই নিতে হবে।

রুহিন হোসেন প্রিন্স কাজী আরেফ আহমেদসহ জাসদের পাঁচ নেতার হত্যাকাণ্ডের পেছনের কুশীলবদের খুঁজে বের করতে পুনঃতদন্তের দাবি জানান। তিনি বলেন, রাজনৈতিক শক্তির সাথে সমঝোতা না করে ক্ষমতাসীনরা আন্তর্জাতিক শক্তির সাথে আপোষের চেষ্টা করছে। ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার জন্য সমাজে ভয়ের সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠা করে হয়েছে। দেশে গণতন্ত্রের জন্য ব্যবস্থা পরিবর্তনের প্রয়োজন অনিবার্য হয়ে পড়েছে। তাই আসুন সকল প্রগতিশীল রাজনৈতিক শক্তি ঐক্যবদ্ধ হই।

 অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস বলেন, সাম্প্রদায়িক শক্তির হাত থেকে দেশকে বাঁচাতে রাজনৈতিক শক্তির গণতান্ত্রিক, অসাম্প্রদায়িক ও বৈষম্যহীন রাষ্ট্র ব্যবস্থার অঙ্গীকারে একটি সমঝোতা চুক্তি খুব জরুরি।

সভাপতির বক্তব্যে শরীফ নুরুল আম্বিয়া বলেন, নির্বাচন কমিশন দল নিবন্ধন নিয়ে বাড়াবাড়ি করছে। তারা আপিল মামলায় অনেক টাকা খরচ করে। নির্বাচন আসন্ন হলেও অনেক সক্রিয় দলকে তারা নিবন্ধন দিচ্ছে না। দেশের আর্থিক দুর্দিনে তারা জনগণেরপয়সার অপচয় করে। আমি নির্বাচন কমিশনকে ক্ষমতার অপব্যবহার থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানাচ্ছি।  

আরও পড়ুন

×