লড়াইকে আরও বেগবান করতে হবে: নজরুল ইসলাম খান

সরকার পতনের আন্দোলন প্রসঙ্গে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, এই লড়াইকে আরও সংগঠিত, শক্তিশালী ও বেগবান করতে হবে। এই লড়াইয়ে আমাদেরকে জিততে হবে। না জেতা পর্যন্ত আমাদের সমস্যার সমাধান হবে না। 

আজ সোমবার দুপুরে রাজধানীর সাইহাম স্কাই ভিউ টাওয়ারের সামনে নাগরিক ঐক্যের উদ্যোগে গণতন্ত্রের পক্ষে গণস্বাক্ষর কর্মসূচিতে তিনি এসব কথা বলেন।

আজ বেলা সাড়ে ১১টায় ‘প্রহসনের নির্বাচন মানি না: গণতন্ত্রের পক্ষে গণস্বাক্ষর’ শীর্ষক এই কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। টেবিলে বিছানো কাপড়ে রিকশা চালকসহ সর্বস্তরের মানুষজন ৭ জানুয়ারির ভোটের বিরুদ্ধে স্বাক্ষর করেন। কর্মসূচির তৃতীয় দিনে শুরুর পর বক্তব্য দেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা। বক্তব্যের মাঝে মাঝে গণসঙ্গীত পরিবেশন করা হয়।

আন্দোলন প্রসঙ্গে নজরুল ইসলাম খান বলেন, এই লড়াই কাউকে ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য কিংবা কাউকে ক্ষমতা থেকে নামানোর লড়াই না। এই লড়াই আপনার আমার অধিকার, গুরুত্ব ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠার লড়াই। এই লড়াই আমাদের জারি রাখতে হবে। এই লড়াইকে আরও সংগঠিত, শক্তিশালী ও বেগবান করতে হবে। এই লড়াইয়ে আমাদেরকে জিততে হবে। না জেতা পর্যন্ত আমাদের সমস্যার সমাধান হবে না। 

নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, এই সরকারের জনগণের ভোটের প্রয়োজন না বহু বছর। একারণে আমার স্বার্থ দেখার কোনো দায়বোধ তার নেই। সেজন্য আমরা গণতন্ত্র, ভোটের অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করতে চাই। এজন্য না যে, আমরা ক্ষমতায় যেতে চাই। 

নজরুল ইসলাম বলেন, এই গণস্বাক্ষরসহ অন্য কর্মসূচিগুলো আমাদের মূল লড়াইকে বেগবান করবে। কিন্তু এটা মূল লড়াই না। যারা মূল লড়াইকে বেগবান করার জন্য ঐক্যকে সমৃদ্ধ করছেন, তাদেরকে ধন্যবাদ জানাই।

বিএনপির এই স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেন, অবৈধভাবে জোর করে ক্ষমতা দখলকারী সরকারের বিরুদ্ধে অনেক বড় বড় আন্দোলন করেছি। গণসভা, গণমিছিল এবং প্রতিবাদ সমাবেশসহ লাখ লাখ মানুষের বিভিন্ন কর্মসূচি করেছি। কিন্তু এখন কেউ লজ্জাহীন হলে তো লজ্জা দেওয়া যায় না। জনগণের প্রতিনিধি হয়ে যারা জনগণের সেবা করতে চান, তারা হলেন রাজনীতিবিদ। আর জনগণের সমর্থন ছাড়াই যারা জনগণকে শাসন করতে চান, তারা তো গণবিরোধী শাসক। আমরা সেরকম একটি গণবিরোধী শাসকচক্রের অধীনে আছি।

নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্নার কর্মসূচিতে এবি পার্টির সদস্যসচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু, নাগরিক ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল্লাহ কায়সার প্রমুখ বক্তব্য দেন।