মানবাধিকার লঙ্ঘনে সরকার নৈতিক অবস্থান হারিয়েছে: জাফরুল্লাহ্ চৌধুরী

ফাইল ছবি
সমকাল প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২০ | ১০:৫৭
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ্ চৌধুরী বলেছেন, সমাজের নানা স্তরে দুর্নীতির বিস্তার ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের ফলে সরকার তার নৈতিক অবস্থান হারিয়েছে। মানুষের আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার হরণ করা হচ্ছে। সরকারের অন্যায় আচরণ দেশকে ভুল পথে নিয়ে যাচ্ছে। এজন্য সরকারকে বলতে চাই, এখনও সময় আছে, সংশোধন প্রয়োজন।
বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। 'ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে সাংবাদিক, রাজনীতিবিদ ও বিভিন্ন পেশাজীবীসহ অন্যদের গ্রেপ্তার-নিপীড়ন- হয়রানি; ডাকসুর ভিপি নুরুল হক নুরসহ সারাদেশে গণতান্ত্রিক আন্দোলনের সঙ্গে সংশ্নিষ্টদের নামে মামলা ও সমসাময়িক বিষয়' শিরোনামে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
ধর্ষণের দুই মামলায় ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরকে আসামি করার প্রসঙ্গ টেনে জাফরুল্লাহ্ চৌধুরী বলেন, সে অন্যায় করে থাকলে সেটার বিচার হবে। তাই বলে তাকে হয়রানি করা যাবে না। অন্যায়ের প্রতিবাদে ছাত্রদের বের হতে দেবেন না, সেটা তো হয় না। আপনারা জনগণকে বের হতে দিচ্ছেন না। সেজন্য দেশটা নৈরাজ্যের দিকে চলছে।
তিনি বলেন, যখন দেশে অনাচার বেড়ে যায়, ব্যথায় মানুষ নীল হয়ে যায়, তখনই ছাত্রসমাজ জেগে ওঠে। যখন চূড়ান্ত রকম অব্যবস্থাপনা শুরু হয়, তখনই ছাত্রসমাজ রাস্তায় নামে। সেদিন যারা রাস্তায় নেমেছে, পুলিশ তাদের লাঠি দিয়ে পিটিয়ে গ্রেপ্তার করেছে, মামলা দিয়েছে। এ জাতীয় স্বৈরাচারী নীতি কখনও দেশের জন্য মঙ্গল বয়ে আনতে পারে না।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনকে অগণতান্ত্রিক আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, ডিজিটাল সিকিউরিটি আইন বিনা বিচারে হত্যার শামিল। রাজনীতিবিদদের সহনশীল হতে হবে। সমালোচনা সহ্য করতে হবে।
ভারতের সমালোচনা করার পাশাপাশি এ বিষয়ে বাংলাদেশের কূটনৈতিক অবস্থানের সমালোচনা করেন জাফরুল্লাহ্। তিনি বলেন, ভারত হঠাৎ অনৈতিকভাবে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দিয়েছে। এখন পচা পেঁয়াজ পাঠিয়েছে। বন্ধুত্ব একতরফা হতে পারে না।