ভোট ডাকাতিতে জড়িয়ে যাচ্ছে প্রশাসন ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনী: জিএম কাদের

জিএম কাদের- ফাইল ছবি
সমকাল প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১ জানুয়ারি ২০২২ | ০৭:১৫ | আপডেট: ০১ জানুয়ারি ২০২২ | ০৭:১৫
জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান জিএম কাদের অভিযোগ করে বলেছেন, 'প্রশাসন ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনী ভোট ডাকাতি ও অব্যবস্থাপনায় জড়িয়ে যাচ্ছে। যা জাতির জন্য লজ্জার। ভিন্নমতের লোকদের মাঠে দাঁড়াতে দেয় না ক্ষমতাসীনরা। ক্ষমতার জোরে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতািয় জয়ী হতে চায়। এক সময় নির্বাচন ছিল উৎসবমুখর। আর এখন নির্বাচন হয় ভয় ও আতঙ্কের।'
শনিবার জাপার ৩৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে রাজধানীর রমনায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন বিরোধীদলীয় উপনেতা জিএম কাদের। তিনি দাবি করেন, জাপার প্রতিষ্ঠাতা হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের শাসনামলে গণতন্ত্রের চর্চা তুলনামূলকভাবে কিছুটা হলেও ছিল।
জিএম কাদের বলেন, দেশে সাংবিধানিক একনায়কতন্ত্র চলছে। নূর হোসেনের ভাষায় বলতে চাই, 'স্বৈরতন্ত্র নিপাত যাক, গণতন্ত্র মুক্তি পাক'। এককথায় ভালো নেই দেশের মানুষ। দ্রব্যমূল্য, তেল ও বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধিতে জনগণের নাভিশ্বাস উঠেছে। ব্যবসা, পরিবহন সর্বত্র চাঁদাবাজি চলছে। দেশে বিনিয়োগ নেই। সরকার জিডিপির প্রবৃদ্ধির গল্প শোনায়। তাতে মানুষের পেট ভরে না। জিডিপি বাড়লেও কর্মসংস্থান তৈরি হচ্ছে না।
এ সময় সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ বাতিল, নিম্ন আদালত সুপ্রিমের কোর্টের কাছে ন্যস্ত করা, নির্বাচন কমিশন গঠনে আইন প্রণয়ন এবং ভোটের সময় সরকার নির্বাচন কমিশনকে সহায়তা না করলে কী শাস্তি হবে তা নির্ধারণ করে আইন করার দাবি জানান জাপা চেয়ারম্যান। দলটি প্রাদেশিক ব্যবস্থা এবং ভোটের অনুপাতে সংসদে প্রতিনিধিত্বশীল নির্বাচন চালুর প্রস্তাব করেছে।
জাপার সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেন, 'নির্বাচন কমিশন প্রতিষ্ঠানটি ধ্বংস হয়ে গেছে। চলমান ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে প্রমাণ হয়েছে নির্বাচন কমিশন পুরোপুরি ব্যর্থ। আবারও ব্যর্থ হবে এমন নির্বাচন কমিশন চাই না।'
জাপা মহাসচিব মুজিবুল হক চন্নু বলেন, আগামীতে কোনো দলের নেতৃত্বে জোটে যাবে না তার দল। জিএম কাদেরের নেতৃত্ব মেনে এলে, তার সঙ্গে জোট হতে পারে।
জাপার কো-চেয়ারম্যান কাজী ফিরোজ রশীদ এমপি বলেন, 'শ্নোগান দিয়ে ক্ষমতায় যাওয়া যায় না। তাহলে বিএনপি অনেক আগেই ক্ষমতায় যেতো।'
আলোচনায় সভায় আরও বক্তৃতা করেন জাপা কো-চেয়ারম্যান এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার, সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, সালমা ইসলাম, প্রেসিডিয়াম সদস্য সাহিদুর রহমান টেপা, মীর আবদুস সবুর আসুদ, রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, লিয়াকত হোসেন খোকা এমপি প্রমুখ।
জাপার কয়েক হাজার নেতাকর্মী প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে মিছিল করে আলোচনা সভাস্থলে আসেন। আলোচনা সভা শেষে জাতীয় সাংস্কৃতিক পার্টির আহ্বায়ক শেরীফা কাদেরের তত্ত্বাবধায়নে সাংস্কৃতি অনুষ্ঠান হয়।