ঢাকা বুধবার, ০২ জুলাই ২০২৫

ছবিতে পিএসজির চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়

ছবিতে পিএসজির চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়

ছবি- গার্ডিয়ান

স্পোর্টস ডেস্ক

প্রকাশ: ০১ জুন ২০২৫ | ২১:১৯ | আপডেট: ০১ জুন ২০২৫ | ২১:২৯

মিউনিখের ফাইনাল নিয়ে ছিল অনেক জল্পনা-কল্পনা। প্রত্যাশা ছিল হাড্ডাহাড্ডি এক লড়াইয়ের। কিন্তু বাস্তবে দৃশ্যপট হলো একেবারে ভিন্ন। ফাইনালকে একতরফা করে তুলল প্যারিস সেন্ট জার্মেই (পিএসজি)। শনিবার রাতে ইন্টার মিলানকে ৫-০ গোলে উড়িয়ে দিয়ে ইউরোপিয়ান শ্রেষ্ঠত্ব ছিনিয়ে নিল ফরাসি ক্লাবটি।

ছবি- গার্ডিয়ান

এই জয়ের মাধ্যমে ইতিহাস গড়ল পিএসজি—এক মৌসুমে জিতল তিনটি বড় শিরোপা। এর আগে তারা ফ্রেঞ্চ লিগ ওয়ান এবং ফ্রেঞ্চ কাপের ট্রফিও ঘরে তুলেছিল। ইউরোপ সেরা হয়ে সেই সাফল্যে যোগ হলো আরেকটি মুকুট, পূর্ণ হলো ঐতিহাসিক ট্রেবল।

ছবি- রয়টার্স
পিএসজি সেই ৯ ক্লাবের একটি, যারা কিনা চ্যাম্পিয়ন্স লিগসহ এক মৌসুমে তিনটি শিরোপা বা ট্রেবল জিতেছে।

ছবি- এএফপি

চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ও আগের ইউরোপিয়ান কাপ জিতেছে এ পর্যন্ত মোট ২৩ ক্লাব। পিএসজি সেই তালিকায় সর্বশেষ ২৪তম সংযোজন।

ছবি- এএফপি

ইউরোপিয়ান ক্লাব ফুটবলের শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট জয়ের ২৯ বছরের অপেক্ষা ফুরাল পিএসজির। সর্বশেষ ১৯৯৬ সালে উয়েফা কাপ জিতেছিল তারা।

ছবি- রয়টার্স

ফ্রান্সের দ্বিতীয় ক্লাব হিসেবে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতেছে পিএসজি। সর্বশেষ ১৯৯৩ সালে ইউরোপিয়ান কাপ জিতেছিল ফরাসি ক্লাব অলিম্পিক মাঁশেই। ৩২ বছর পর ফ্রান্সের দ্বিতীয় ক্লাব হিসেবে ফের চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতল পিএসজি। এ ছাড়া পেপ গার্দিওলার পর দ্বিতীয় কোনো কোচ হিসেবে দুইবার ট্রেবল জয়ের রেকর্ড গড়েছেন পিএসজির স্প্যানিশ কোচ লুই এনরিকে। এবং সেই ছয় ভাগ্যবান কোচের তালিকায় নিজেকে নিয়ে গেছেন, যারা কিনা ভিন্ন ভিন্ন ক্লাবের হয়ে অন্তত দুইবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতেছেন।

ছবি- গার্ডিয়ান

ইউরোপিয়ান কাপ ফাইনালে সর্বকনিষ্ঠ (১৯ বছর ৩৬২ দিন) হিসেবে দেজিরে দুয়ে দুটি গোল করেছেন। এ ছাড়া দুয়ে ফরাসি ফুটবলারদের মধ্যে প্রথম, যিনি কিনা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে জোড়া গোল করেছেন। এ ছাড়া দুয়ে ও সেনি মায়ুলু প্রথম দুই কিশোর, যারা কিনা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে কোনো দলের হয়ে একাধিক গোল করেছেন। এ ছাড়া আশরাফ হাকিমিও প্রথম সেই খেলোয়াড়, যিনি কিনা এই আসরের ফাইনালে তাঁর কোনো সাবেক ক্লাবের বিপক্ষে গোল করেছেন।

ছবি- গার্ডিয়ান

গত পঁচিশ বছরের মধ্যে ইন্টার মিলানের সবচেয়ে বড় হার (৫-০ গোলে)। এর আগে ২০০১ সালে এসি মিলানের কাছে তারা ৬-০ গোলে হেরেছিল।

ছবি- এএফপি

মিউনিখে এ পর্যন্ত যে পাঁচটি ইউরোপিয়ান কাপ ফাইনাল হয়েছে, তার সবকটিতেই নতুন চ্যাম্পিয়ন দল উপহার পেয়েছে। এর আগে ২০১২ সালে চেলসি, ১৯৯৭ সালে বরুশিয়া ডর্টমুন্ড, ১৯৯৩ সালে মাঁর্শেই এবং ১৯৭৯ সালে নটিংহ্যাম ফরেস্ট চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল জার্মানির এই শহর থেকেই।

ছবি- এএফপি

ফাইনালে খেলা পিএসজির শুরুর একাদশে যারা খেলেছেন, তাদের মূল্য ৪১৭.৩ মিলিয়ন ইউরো। সেখানে ইন্টার মিলানের ছিল ১৪৯.২৫ মিলিয়ন। ব্যবধান ৩২২.০৫ মিলিয়ন ইউরো।

আরও পড়ুন

×