ঢাকা শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫

শারজাহতে টস জিতে ব্যাটিং কেন

শারজাহতে টস জিতে ব্যাটিং কেন

ব্যাটারদের আসা-যাওয়ার মাঝে মোসাদ্দেক একাই চালিয়ে যান লড়াই। খেলেন ৪৮ রানের অপরাজিত ইনিংস। ছবি: এএফপি

ক্রীড়া প্রতিবেদক

প্রকাশ: ৩০ আগস্ট ২০২২ | ১২:০০ | আপডেট: ৩১ আগস্ট ২০২২ | ০০:৪২

টস-কপালে অ্যারন ফিঞ্চ! অস্ট্রেলিয়া গত টি২০ বিশ্বকাপ জেতার পর এমনই নাম হয়ে গিয়েছিল তাঁর। গত অক্টোবরে আরব আমিরাতে হয়ে যাওয়া টি২০ বিশ্বকাপের ৭টি ম্যাচের মধ্যে ফাইনাল-সেমিফাইনালসহ ৬টিতে টস জিতেছিলেন ফিঞ্চ। গ্রুপ পর্বে কেবল ইংল্যান্ডের কাছে টস হেরেছিলেন, ওই ম্যাচটিও হেরেছিল অসিরা। টস জেতা ৬টি ম্যাচই জিতেছিলেন তাঁরা।

কেবল অস্ট্রেলিয়া নয়, গত টি২০ বিশ্বকাপে টসে জিতে ফিল্ডিং নেওয়া প্রায় সব দলই জয়ী হয়েছে। তিন দিন আগে শুরু হওয়া এশিয়া কাপেও এ রীতিই চলছিল। কিন্তু বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসান হাঁটলেন উল্টো পথে। ফলাফলটা নিশ্চয়ই সবার জানা হয়ে গেছে। ৯ বল হাতে রেখে ৭ উইকেটের বিশাল জয় পেয়েছে আফগানিস্তান।

সাকিবের এই সিদ্ধান্তে কিন্তু ব্যাটারদের ভুলটা আড়াল হবে না। জঘন্য ব্যাটিং করেছেন তাঁরা। সাকিব অবশ্য এখানে যুক্তি দেখাতে পারেন যে, এবারের এশিয়া কাপে আগের দুটি ম্যাচ হয়েছে দুবাইতে, গতকাল তাঁদের ম্যাচটি হয়েছে শারজাহে। কিন্তু এ মাঠে তো আগে ব্যাটিংয়ের নজির আরও বেশি। টি২০-তে এমনিতেই রান চেজ করতে চায় সবাই। তার ওপর এ মাঠে সাইড বাউন্ডারি ছোট হওয়ার কারণে প্রায় সবাই পরে ব্যাটিং করতে চায়। কিন্তু সাকিব উইকেট কিংবা মাঠের বৈশিষ্ট্য দেখে সিদ্ধান্ত নেননি। তিনি স্রোতের বিপরীতে হাঁটলেন পুরোনো ধ্যানধারণা থেকে।

টস জেতার পর ব্যাটিং নেওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে সাকিব বলেন, 'উইকেট বেশ ভালো মনে হচ্ছে। বোর্ডে একটা ভালো রান তুলে আশা করছি আফগানিস্তানের রান তাড়াকে কঠিন করে দিতে পারব। তিনজন পেসার ও দু'জন স্পিনার নিয়ে খেলছি আমরা। তাদের আক্রমণ অনুযায়ী আমরা প্রস্তুতি নিয়েছি।' সাকিবের কথায় স্পষ্ট, উইকেটের বিবেচনায় সিদ্ধান্ত নেননি তিনি, চাপ থেকে বাঁচতে আগে ব্যাটিং সেরে ফেলতে চেয়েছেন তিনি। তাই তো টস হেরেও বোলিং পেয়ে খুশি হন আফগান দলপতি মোহাম্মদ নবী, 'পিচকে তরতাজা মনে হচ্ছে। মাটিও একেবারে তরতাজা। মনে হচ্ছে উইকেটে বল একটু নিচু হতে পারে। আশা করছি তাদের অল্পতেই আটকে দিতে পারব।'

নবীর প্রত্যাশামতোই যেন সব হয়েছে। সাকিবের সিদ্ধান্ত ভুল ছিল। তাই বলে বাংলাদেশের ব্যাটারদের ব্যর্থতা এতে আড়াল হয় না। কত অভিনব প্রস্তুতির গল্প শোনানো হলো, চেন্নাই থেকে লেগস্পিনার উড়িয়ে নেওয়া হলো; কিন্তু বাস্তবে দেখা গেল ব্যাটিং যে তিমিরে ছিল, সেখানেই আছে। বরং দুই ওপেনার এনামুল হক বিজয় ও নাঈম শেখের ব্যাট চালানো দেখে মনে হলো, কুড়ি ওভারের ফরম্যাটে আরও পিছিয়েছেন তাঁরা।

তাঁদের শরীরী ভাষাতেই ভয়ের ভাব বোঝা যাচ্ছিল। না হলে পেসার ফারুকির ফুলটসে নাঈম ক্যাচ তুলে দিতেন না। যদিও কপাল ভালো ছিল বলে সেটি ফিল্ডারের হাতে যায়নি। অফস্পিনার মুজিবকে তো তাঁরা খেলতেই পারলেন না। তাঁর ক্যারম বল বুঝতে না পেরে বোল্ড হলেন নাঈম, এনামুল পড়লেন এলবির ফাঁদে। দুটি চার মেরে আশার সঞ্চার করা সাকিবও বোল্ড হন তাঁকে মারতে গিয়েই।

আরও পড়ুন

×