শেষ বলের নাটকীয়তা

ক্রীড়া প্রতিবেদক, ব্রিসবেন থেকে
প্রকাশ: ৩০ অক্টোবর ২০২২ | ১২:০০ | আপডেট: ৩১ অক্টোবর ২০২২ | ০০:২৫
'জীবনের প্রথম অভিজ্ঞতা'
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে নাটকীয় এক জয় পেতে রুদ্ধশ্বাস মুহূর্তের ভেতর দিয়ে যেতে হয়েছে বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটারদের। উইকেটরক্ষক নুরুল হাসান সোহানের একটি ভুলের কারণে জেতা ম্যাচ হাতছাড়া হয়ে যেতে পারত শেষ বলটি নো ডাকায়। বোলার মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত রাজ্যের চাপ মাথায় নিয়ে সেরা ডেলিভারি দিলেন ফ্রি হিটের বলটি। শেষ ওভারের শেষ বলের নাটকীয়তা নিয়ে মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের অনুভূতি যেমন ছিল।
শেষ বল করতে যাওয়ার আগে
আমাদের যখন বলা হয় খেলা শেষ হয়নি, সেটা শোনার পর সবাই অবাক হয়েছি। জীবনে প্রথম এ ধরনের অভিজ্ঞতা হলো। যখন আবার মাঠের ভেতরে গেলাম, তখন নার্ভটা নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করেছি। আমরা আমাদের পরিকল্পনামতো বল করি, ওরা খেলে জয়ের রান নিতে পারলে নিক।
শেষ ওভারের বোলার
১৬তম ওভার থেকে আমি জানতাম, শেষ ওভার আমাকে করতে হবে।
ফ্রি হিট ডেলিভারি
একটা বলও জেদ দিয়ে করিনি (হাসি)। ডট বল করার জন্যই করেছি। জেতার জন্য সবার একটা ক্ষুধা ছিল। সে অ্যাফোর্ড এবং বডি ল্যাঙ্গুয়েজ সবাই মাঠে দেখিয়েছেন। আমি মনে করি, জেতার পেছনে টিম অ্যাফোর্ড ছিল।
সাকিবের পরামর্শ
দুই রকম কথা ছিল- ইয়র্কার করব, না লেন্থ বল করব। মাঠটি সামনের দিকে ছোট, ইয়র্কার করলে ছয় হওয়ার সুযোগ আছে। এজন্য আমরা পরিকল্পনা করেছিলাম, একটু ব্যাক অব লেন্থে করব, একটু জোরের ওপর করব, যাতে স্টাম্পিং হওয়ার সুযোগ থাকে।
শেষ বলে নার্ভ কন্ট্রোল
ক্রিকেটে যে কোনো কিছুই হতে পারত- ছয়ও হতে পারত, চারও হতে পারত। নার্ভ নিয়ন্ত্রণে রাখার বিষয়টি হলো, সাকিব ভাইয়ের সঙ্গে কথা বলছিলাম। তাঁর সঙ্গে কথা বলে স্বাভাবিক ছিলাম।
হতাশা
জিতে গেছি ধরে নিয়ে উদযাপন করা এবং হ্যান্ডশেক করে মাঠ থেকে বেরিয়ে আসার পর আবার মাঠে ফিরতে হওয়ায় চাপ ছিল। একটা ব্রেক ডাউন হয়েছে। একদিকে আমাদের জন্য ভালোও হয়েছে। ওদের ব্যাটসম্যানরা ধরেই নিয়েছে ম্যাচটা হেরে গেছে। শেষ বলের জন্য ওরা যখন ব্যাটিংয়ে যাচ্ছিল, তখন নন-স্ট্রাইক ব্যাটার ওদের বোঝাচ্ছিল বাউন্ডারি মারতে হবে। ওই জায়গা থেকে আমরা আত্মবিশ্বাসী ছিলাম, বাউন্ডারি হতে দেব না।
মোসাদ্দেকের মাইন্ডসেট
আমার মাইন্ডসেট ছিল, অধিনায়ক যে পরিকল্পনা দিয়েছেন, সেখানেই বল করব। তাতে চার বা ছয় যে কোনো কিছুই হতে পারে। কিন্তু আমি ওই লেন্থেই বল করব।