বিপিএল 'এ' ক্যাটাগরিতে ১০

ছবি: ফাইল
ক্রীড়া প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৭ অক্টোবর ২০১৯ | ০১:১৫
সাত দলের দায়িত্বে থাকছেন সাত পরিচালক। আকরাম খান, নাঈমুর রহমান দুর্জয় এবং খালেদ মাহমুদ সুজনের সঙ্গে বাকি চার পরিচালক হতে পারেন মাহাবুবুল আনাম, জালাল ইউনুস, তানজিল চৌধুরী ও গাজী গোলাম মুর্তজা। বঙ্গবন্ধু বিপিএল আয়োজনের কার্যক্রম প্রতিদিনই একটু একটু করে এগোচ্ছে। গত পরশু টেকনিক্যাল কমিটির সভা হয়েছে, যেখানে টুর্নামেন্টের নিয়ম-কানুন নিয়ে আলোচনা হয়।
বুধবার দেশি ক্রিকেটারদের তালিকা চূড়ান্ত করতে একসঙ্গে বসেছিলেন দুই নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু ও হাবিবুল বাশার। প্রধান নির্বাচক নান্নু জানান, ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ ও জাতীয় লিগের ক্রিকেটারদের বিপিএলের তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। ক্রিকেটারদের ক্যাটাগরিও ঠিক করে ফেলেছেন তারা। 'এ' ক্যাটাগরিতে ১০ আর 'বি' ক্যাটাগরিতে ১৪ জনকে রেখেছেন তারা। তবে এই তালিকার খেলোয়াড় সংখ্যা কমবেশি করা হতে পারে। এ সিদ্ধান্ত নেবে বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল।
নান্নু জানান, গত বিপিএলের 'এ' ক্যাটাগরি থাকা অনেক ক্রিকেটার এবার 'বি' ক্যাটাগরিতে নেমে যাবে। আবার নিচ থেকে ওপরে তুলে আনা হয়েছে অনেককে। 'এ' এবং জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের পারফরম্যান্সের ভিত্তিতে ক্যাটাগরি করা হয়েছে। জানা গেছে, মাশরাফি বিন মুর্তজা, সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদুল্লাহ ও মুস্তাফিজুর রহমানের সঙ্গে মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনদের মতো পারফরমার ক্রিকেটারদের 'এ' ক্যাটাগরিতে রাখা হতে পারে। প্লেয়ার ড্রাফটের জন্য স্থানীয় ক্রিকেটারদের তালিকা করা হলেও নিবন্ধন করা বিদেশি ক্রিকেটারদের বাছাই করা হয়নি। সাধারণত বিদেশি ক্রিকেটারদের তালিকা চূড়ান্ত করেন বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের কর্মকর্তারা।
বিসিবির সিইও নিজামউদ্দিন চৌধুরী বুধবার জানান, টুর্নামেন্টের সপ্তম আসর পূর্বনির্ধারিত ৬ ডিসেম্বর থেকে শুরু করার পরিকল্পনাতেই আছেন তারা। সেভাবে কাজও এগিয়ে নিচ্ছেন তারা। নিজামউদ্দিন চৌধুরী বলেন, 'প্রথমে খেলোয়াড়দের তালিকা করা হচ্ছে। স্পন্সর ঠিক হওয়ার পর টিম ম্যানেজমেন্ট ঠিক করা হবে। কোচ নিয়োগ হয়ে গেলে প্লেয়ার ড্রাফট থেকে প্রত্যেকে নিজেদের মতো করে দল গড়ার সুযোগ পাবে। কোনো ক্রিকেটার একাধিক দলের তালিকায় থাকলে গভর্নিং কাউন্সিল সমাধান করে দেবে। আর ৬ ডিসেম্বর ধরেই এগোচ্ছি আমরা। কারণ টুর্নামেন্ট পেছানো হলে আন্তর্জাতিক সূচির সঙ্গে 'ক্ল্যাশ' করবে।'
এরই মধ্যে সাতটি দলের জন্য সাতজন পরিচালকের একটা খসরা তালিকা করা হয়েছে বলেও জানা গেছে। জাতীয় দলের সাবেক তিন অধিনায়ক আকরাম খান, নাঈমুর রহমান দুর্জয় এবং খালেদ মাহমুদ সুজনের সঙ্গে বাকি চার পরিচালক হতে পারেন মাহাবুবুল আনাম, জালাল ইউনুস, তানজিল চৌধুরী ও গাজী গোলাম মুর্তজা। এই পরিচালকদের কারও কারও সঙ্গে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের কথা হয়ে গেছে। কাকে কোন দলের দায়িত্ব দেওয়া হবে, তা অবশ্য এখনও চূড়ান্ত হয়নি।
এক-দু'জন অবশ্য নিজেদের বিভাগীয় দলের সঙ্গে থাকার ব্যাপারে আগ্রহ দেখিয়েছেন। সিলেট দলের সঙ্গে থাকতে চান পরিচালক তানজিল চৌধুরী। এ ব্যাপারে তার কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, 'বিপিএলের একটি দলের সঙ্গে আমাকে রাখতে চান বোর্ড সভাপতি। আমি তাকে বলেছি, যেহেতু আমার দাদা ও নানাবাড়ি সিলেটে, আমাকে সিলেট দলের সঙ্গে রাখলে খুশি হব।' তবে অন্যদের ব্যাপারে কিছু বলতে পারেননি তিনি।
এদিকে, বোর্ড পরিচালকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বঙ্গবন্ধু বিপিএলে শেষ পর্যন্ত এক-দুটি ফ্র্যাঞ্চাইজি স্পন্সর হিসেবে সম্পৃক্ত হতে পারে। এ ব্যাপারে বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্য সচিব ইসমাইল হায়দার মল্লিকের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, 'বিষয়টি বোর্ড সভাপতি দেখছেন। আমি বা গভর্নিং কাউন্সিলের কেউই এ ব্যাপারে বলতে পারব না।' বিসিবি সভাপতি পাপন আগেই বলেছিলেন, ফ্র্যাঞ্চাইজিদের মধ্যে যারা স্পন্সর হিসেবে আসতে চায়, তারা থাকতে পারবে। যদিও পরে নতুন স্পন্সর চেয়ে বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছিল। বিসিবির বিজ্ঞাপনে সাড়া দিয়ে ছয়টি কোম্পানি স্পন্সর হতে আগ্রহ দেখায়। সাক্ষাৎকার দেয় চারটি প্রতিষ্ঠান।
- বিষয় :
- খেলা
- ক্রিকেট
- বাংলাদেশ
- বিপিএল
- বঙ্গবন্ধু বিপিএল-২০১৯