ফুটবলের বাজার গরম করতে পারেন যারা

ছবি: মার্কা
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ৩০ মার্চ ২০২০ | ০৭:০৪
করোনাভাইরাসের কারণে ইউরোপের শীর্ষ পর্যায়ের ফুটবল লিগ বন্ধ আছে। ক্লাবগুলো আর্থিক ক্ষতির শঙ্কায় পড়েছে। ফুটবলার কেনা-বেচার সবচেয়ে বড় হাট গ্রীষ্মকালীন দলবদল হবে কি-না শঙ্কা আছে। তবে ফুটবলের দুয়ার খুললে দলবদলের বাজার গরম করতে পারেন কিছু তরুণ ফুটবলার।
আরলিং হ্যালন্ড (বরুসিয়া ডর্টমুন্ড, নরওয়ে): তার দিকে চোখ ছিল জুভেন্টাস, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের মতো ক্লাবের। ম্যানইউ থেকে প্রস্তাবও পেয়েছিলেন। কিন্তু শীতকালীন দলবদলের বাজারে জার্মান ক্লাব বরুসিয়া ডর্টমুন্ডে যান নরওয়ে স্ট্রাইকার হ্যালন্ড। দেখান দুর্দান্ত পারফরম্যান্স। পানির দামে ডর্টমুন্ডে যাওয়া হ্যালন্ডের বাজার মূল্য এখন প্রায় ৮০ মিলিয়ন ইউরো। রিয়াল মাদ্রিদ তাকে দলে নিতে আগ্রহী।
লওতারো মার্টিনেজ (ইন্টার মিলান, আর্জেন্টিনা): ইন্টার মিলানের তরুণ স্ট্রাইকার লওতারো মার্টিনেজ তার দারুণ গোল করার ক্ষমতার জন্য নজরে এসেছেন। শীতকালীন দলবদলে তার বার্সায় আসার সম্ভাবনা থাকলেও ভেস্তে যায়। তবে বার্সা আর্জেন্টিনার এই স্ট্রাইকার থেকে চোখ সরায়নি।
কাই হাভারটেজ (বায়ার লেভারকুসেন, জার্মানি): তাকে ভাবা হচ্ছে টনি ক্রুস কিংবা মেসুত ওজিলদের উত্তরসূরী। ২০ বছর বয়সী এই জার্মান তরুণ আক্রমণাত্মক মিডফিল্ডার হিসেবে খেলেন। জার্মান ক্লাব বায়ার লেবারকুসেনে খেলেন তিনি। বর্তমান তার বাজার মূল্য ৯০ মিলিয়ন ইউরো বলে মনে করা হচ্ছে।
এডুয়ার্ড কামাভিঙ্গা (রেনেস, ফ্রান্স): কাসেমিরোর ওপর চাপ কমানো দরকার। রিয়াল মাদ্রিদ তাই দীর্ঘদিন ধরে একজন ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার খুঁজছে। জিদানের পছন্দের তালিকায় উপরে ছিলেন পল পগবা। কিন্তু রিয়াল তাকে চলতি মৌসুমে আনতে পারেনি। আগামী মৌসুমে ওই জায়গায় রেনেসের ১৭ বছর বয়সী ফ্রান্স মিডফিল্ডার কামাভিঙ্গাকে চায় রিয়াল মাদ্রিদ। তার জন্যে যে মোট অর্থ ব্যয় করতে হবে তাতে সন্দেহ কম।
ফারেন তোরেস (ভ্যালেন্সিয়া, ফ্রান্স): চলতি মৌসুমই ভ্যালেন্সিয়ার সঙ্গে শেষ তোরেসের। ২০ বছরের এই স্পেন উইঙ্গার বড় ক্লাবে যেতে চান। ইউরোপের বড় ক্লাবও তাকে নিতে আগ্রহী। ২০২০ সালের ইউরো হলে হয়তো তার দাম এবং চাহিদা আরও বাড়তো।
গ্যাব্রিয়েল মার্টিনেল (আর্সেনাল, ব্রাজিল ও ইতালি): ইংল্যান্ডে প্রথম মৌসুমেই আলো কেড়েছেন ২০ বছরের এই ব্রাজিলিয়ান। এরই মধ্যে রোনালদিনহো তার গতিকে ব্রাজিলের রোনালদোর সঙ্গে তুলনা করেছেন। বার্সেলোনা তার দিকে চোখ রাখছে। আরও অনেক শীর্ষ ক্লাব। এমনকি আর্সেনালও তাকে নিয়ে নতুন আশা দেখছে। মার্টিনেল ভবিষ্যতে ব্রাজিলে খেলবেন নাকি ইতালিতে সেই সিদ্ধান্ত এখনও নেননি।
জাদন সানকো (বরুসিয়া ডর্টমুন্ড, ইংল্যান্ড): জার্মান লিগ মাতাচ্ছেন ইংল্যান্ডের এক তরুণ এমনটা খুব দেখা যায় না। ইংল্যান্ডের তরুণ ফুটবলাররা দেশি ক্লাবেই বেশি খেলেন। তারকা বনে গেলে কেউ কেউ যান অন্য ক্লাবে। সানকো একটু ভিন্ন। তাকে ইংলিশ লিগে আনতে চেষ্টা করছে ম্যানইউ, চেলসির মতো ক্লাব। রিয়াল রাখছে চোখ। তবে তার জন্য খরচা করতে হবে মোটা অর্থ।
ক্রিস্টোফার এনকুনকো (আরবি লাইপজিগ): তিনি এখন হতে পারতেন পিএসজির বড় অস্ত্র। বয়স মাত্র ২২ বছর। মাঝমাঠে দারুণ খেলছেন তিনি। টিমো ওয়ার্নার-এনকুনকো মিলে জার্মান লিগে শিরোপার দাবিদার করে তুলেছে লাইপজিগকে। পিএসজির ছেড়ে দেওয়া ফ্রান্স তারকার দিকে এখন চোখ বিশ্বের শীর্ষ পর্যায়ের ক্লাবের।
ফ্রান্সিসকো ট্রিনকো (ব্রাগা, পর্তুগাল) এবং ডিজেন ক্লুসেভেস্কি পারমা, সুইডেন): ট্রিনকো পর্তুগালের ক্লাব ব্রাগায় ফরোয়ার্ড হিসেবে খেলেন। তবে ২০ বছরের এই তরুণকে আগামী মৌসুমেই দেখা যেতে পারে ইউরোপের শীর্ষ পাঁচ লিগের একটিকে। এছাড়া জুভেন্টাস থেকে ধারে পারমাতে খেলা সুইডিস মিডফিল্ডার ক্লুসেভেস্কিও দামি ফুটবলার হয়ে উঠেছেন। তাকে জুভেন্টাস আবার ফিরিয়ে আনতে পারে অথবা মোটা অর্থে দলবদল করতে পারেন তিনি।
- বিষয় :
- খেলা
- দলবদলের বাজার
- দামি ফুটবলার
- তরুণ
- দশ