ঢাকা শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫

লালে লাল লা লিগা

লালে লাল লা লিগা

জহির উদ্দিন মিশু

প্রকাশ: ২০ মে ২০২৩ | ১৮:০০ | আপডেট: ২১ মে ২০২৩ | ০৫:৪০

কপাল ভালো সার্জিও রামোস অনেক আগেই লা লিগা ছেড়েছেন। না হলে রেফারিদের কষ্টটা আরও বাড়ত! অবশ্য পিএসজিতে গিয়েও মাপ নেই, লাল কার্ড ঠিকই দেখেছেন তিনি। তবে রিয়াল মাদ্রিদের রামোস আর পিএসজির রামোসে আকাশ-পাতাল তফাৎ। আগের মতো আগ্রাসী ভঙ্গিতে ট্যাকল দিতে দেখা যায় না তাঁকে। সে জন্য কার্ডের সংখ্যাও এবার বেশি না। সরাসরি লাল কার্ড মোটে একটি। 

তবে রামোস লা লিগা ছেড়ে গেলেও লাল কার্ড এই লিগকে নিস্তার দেয়নি। চলমান মৌসুমে ইউরোপের শীর্ষ পাঁচ লিগে এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত তারাই একে আরোহন করছে। সরাসরি লাল কার্ড দেখা, এ ছাড়া দুই হলুদ কার্ড দেখে মাঠছাড়া হওয়ার রেকর্ড বলছে, লা লিগা দুই জায়গায়ই সবার ওপরে।

৩৮ ম্যাচের লিগ এখনও শেষ হয়নি। এরই মধ্যে শিরোপাটা জিতে ফেলেছে বার্সা। তারা কেবল গোল উদযাপন নয়, মাঠেও ছিল সুশৃঙ্খল। তাই তো ফেয়ার-প্লে লিস্টে কাতালানদের অবস্থান ভালো জায়গায়। অবশ্য তাদের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী রিয়াল মাদ্রিদ তার চেয়েও ভালো। এখনও তাদের কেউ সরাসরি লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েননি। যেখানে ফুটবলকে কুস্তিতে নিয়ে গেছেন বেতিসের খেলোয়াড়রা। যারা কিনা ২০২২-২৩ মৌসুমে লা লিগায় এখনও সর্বাধিক ১০টি সরাসরি লাল কার্ড দেখেছে। যেখানে একই লিগের আরেক ক্লাব এলচেও কম যায়নি। তাদের ৯ খেলোয়াড় সরাসরি লাল কার্ড পান।

এর পরের ক্লাব খুঁজতে যেতে হবে লিগ ওয়ানে। যারা আবার লা লিগার পরেই লালে লাল। আজ পর্যন্ত ফরাসি লিগে খেলা খেলোয়াড়রা ৬০টি সরাসরি লাল কার্ড দেখেছেন। আর দুই হলুদ কার্ড ৯৫টি। বুঝতেই পারছেন, তারাও কেমন ফুটবল উপহার দেয় দর্শকদের। আর সেই লিগের ক্লাব মঁপেলিয়ের আছে তালিকার প্রথম অবস্থানে। তাদের ৯ জন খেলোয়াড় চলমান মৌসুমে সরাসরি লাল কার্ড পেয়েছেন। 

সর্বাধিক তালিকার ক্রমান্বয় করলে এরপর আবার ফিরতে হবে লা লিগায়। যাদের ক্লাব সেভিয়ার ৭ খেলোয়াড়, ওসাসুনার ছয় খেলোয়াড় সরাসরি লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়ার নজির গড়েছেন। তবে লালের পাশাপাশি লালহীনও রয়েছে। যাদের মধ্যে রিয়াল ছাড়াও বুন্দেসলিগার জায়ান্ট ক্লাব বরুশিয়া ডর্টমুন্ড, সিরি-এ লিগের এসি মিলান আর প্রিমিয়ার লিগের লিস্টার সিটির কোনো খেলোয়াড় এখনও সরাসরি লাল কার্ড দেখার মতো ফাউল করেননি।

দিনকে দিন ফুটবল হয়ে যাচ্ছে শক্তির খেলা। আগের সেই কৌশল, টেকনিক কিংবা সৌন্দর্য নেই। শরীর দিয়ে, শক্তি দিয়ে প্রতিপক্ষ খেলোয়াড়কে রুখতে চাওয়াই নষ্ট করে এই খেলার উপভোগ্য অংশ। কখনও আবার হাতাহাতি, হট্টগোল কিংবা ধাক্কাধাক্কিও হয় খেলোয়াড়দের মধ্যে। কেউ বর্ণবাদকে উসকে দেন, কেউ বাবা-মা তুলে গালাগাল করেন। এসব কারণে ফুটবলে বাড়ছে কার্ডের সংখ্যা। চার-পাঁচ বছর আগেও লা লিগায় এত কার্ড দেখাতে হয়নি রেফারিদের। এখন প্রতি মৌসুমেই সেটা শ’-এর কাছাকাছি চলে যায়। যা নিয়ে ফুটবলবোদ্ধারাও চিন্তিত।

আরও পড়ুন

×