ওসব আর গায়ে মাখেন না স্মিথ

স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশ: ০৪ জুলাই ২০২৩ | ১৮:০০ | আপডেট: ০৫ জুলাই ২০২৩ | ০৫:৪৯
অ্যাশেজে উত্তাপ বেড়েই চলেছে। লর্ডস টেস্ট শেষ হওয়ার দু’দিন পরও জনি বেয়ারস্টোর আউট নিয়ে দু’দলের মধ্যে রীতিমতো বাকযুদ্ধ চলছে। তাতে উভয় দলের সমর্থক, সাবেক খেলোয়াড়রা তো বটেই, যোগ দিয়েছে ব্রিটিশ মিডিয়াও। অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক প্যাট কামিন্সকে প্রকাশ্যে খোঁচা মেরে কথা বলছেন ইংল্যান্ডের সাংবাদিকরা। সাধারণ দর্শকদের কথা তো বলাই বাহুল্য। অস্ট্রেলিয়ানদের ‘প্রতারক’ বলতে মোটেও দ্বিধা করছেন না তাঁরা। অবস্থাদৃষ্টে বলা যায়, ৬ জুলাই হেডেংলিতে শুরু হতে যাওয়া তৃতীয় টেস্টে আরও কঠিন পরিস্থিতিতে পড়তে পারেন সফরকারীরা। হেডেংলিতে আবার শততম টেস্ট খেলতে নামছেন অস্ট্রেলিয়া দলের প্রাণভোমরা স্টিভ স্মিথ। মাইলফলক টেস্ট খেলতে নামার আগে নির্ভার স্মিথ জানিয়েছেন, এসব আর গায়ে মাখেন না তিনি।
অবশ্য রোববার লর্ডসে জনি বেয়ারস্টোর বিতর্কিত স্টাম্পিংয়ের পূর্বেই অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটারদের প্রতারক বলে আসছে ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের সমর্থক গোষ্ঠী ‘বার্মি আর্মি’। বেয়ারস্টোর ঘটনার পর সেটা লর্ডসের পুরো গ্যালারিতে ছড়িয়ে পড়েছিল। সে ঘটনার পর পরই মধ্যাহ্নবিরতিতে অস্ট্রেলিয়া দল সাজঘরে যাওয়ার সময় পুরো গ্যালারি অসি ক্রিকেটারদের উদ্দেশ করে চিৎকার করে প্রতারক ডেকেছে। শুধু তাই নয়, লর্ডসের লংরুমে বসা এমসিসির সদস্যরাও ডেভিড ওয়ার্নার ও উসমান খাজার সঙ্গে তর্কে জড়িয়েছিলেন। এজন্য এমসিসির তিনজন সদস্যকে নিষিদ্ধও করা হয়েছে। হেডেংলি আবার বেয়ারস্টোর ঘরের মাঠ। তাই এখানে আরও প্রতিকূত পরিস্থিতিতে পড়তে হতে পারে অস্ট্রেলিয়া দলকে।
অস্ট্রেলিয়ানদের মধ্যে স্মিথ আবার গত ক’বছর ধরে ইংলিশদের টার্গেট। ২০১৮ সালে বল টেম্পারিংকাণ্ডে নিষিদ্ধ হয়েছিলেন স্মিথ। এর পর থেকে বার্মি আর্মির নিশানায় তিনি। গত পাঁচ বছর ধরে ইংল্যান্ডের মাটিতে ব্যাটিং করতে নামলেই দুয়ো শুনতে হয় তাঁকে। যে কারণে তিনি এসবের সঙ্গে অভ্যস্ত হয়ে গেছেন। তাই এখন আর এসব গায়ে মাখেন না বলে জানিয়েছেন স্মিথ, ‘প্রত্যেকেই তাদের নিজস্ব মতামত দিতেই পারে। তবে আমি কী, সেটা আমি জানি। আর এসব কীভাবে মোকাবিলা করতে হয় সেটাও এখন শিখে গেছি। আমি এখানে এসেছি নিজের খেলাটা খেলতে, আমার দেশের জন্য খেলতে। প্রত্যেকে যা খুশি বলতে পারে, আমি ওসব আর গায়ে মাখি না। নিজের কাজটা করে যেতে চাই।’
বৃহস্পতিবার শততম টেস্ট খেলতে নামবেন স্মিথ। বল টেম্পারিং স্ক্যান্ডালের পর মানিয়ে নেওয়াটা তাঁর জন্য কঠিন হলেও বিষয়টিকে নাকি চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছিলেন তিনি। সে চ্যালেঞ্জ সামাল দিয়ে প্যাট কামিন্সের নেতৃত্বে তিনি খুশি মনে খেলছেন বলেও জানান অসি তারকা। আর চলমান কঠিন পরিস্থিতিতে কামিন্সের পাশে দাঁড়িয়ে সব মোকাবিলা করতেও প্রস্তুত স্মিথ, ‘আমি তার পাশে আছি। সে চাইলে যে কোনো বিষয়ে আমার সঙ্গে কথা বলতে পারে। সে সবকিছু বেশ চমৎকারভাবেই সামাল দিচ্ছে। শুধু কামিন্স না, যে কেউ যে কোনো বিষয়ে আমার সঙ্গে কথা বলতে পারে। আমার দরজা সব সময় খোলা। জীবনে অনেক পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে গেছি তো, ভালোই অভিজ্ঞতা হয়েছে।’
- বিষয় :
- অ্যাশেজ
- ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়া
- স্টিভ স্মিথ