সা ক্ষাৎ কা র
‘নারী ফুটবলে এত কিছু ঘটে যাবে, কল্পনাও করিনি’

--
প্রকাশ: ০৯ আগস্ট ২০২৩ | ১৮:০০
সমকাল: অবসর নেওয়ার পরও প্রধানমন্ত্রীর অনুরোধে ক্রিকেটে ফিরেছেন তামিম ইকবাল। আপনাকে ফেরার জন্য বাফুফে থেকে কেউ অনুরোধ করেছেন?
স্বপ্না: হয়তো বা তারা (বাফুফে কর্তারা) কথা বলতে পারতেন, কিন্তু মান ভাঙাতে পারত কি পারত না, সেটা পরের বিষয়। তারাও আমার সঙ্গে কোনো যোগাযোগ রাখেননি। সে জন্য কোনো খারাপ লাগেনি। কারণ, আমি জানতাম, তারা এমনই। আমি বিষয়টা খুবই স্বাভাবিকভাবে নিয়েছি। আমি যাওয়ার আগে ভাবতাম, যদি কখনও চলে যাই, তাহলে আসার জন্য এখানকার কেউ বলবে না। আমি তো ক্যাম্পে ছিলাম, তাই জানি সেখানে কী অবস্থা! তাদের যদি প্লেয়ারের প্রয়োজন না হয়, সেটা তো তাদের ব্যাপার। এখানে আমি একজন ফুটবলার হয়ে কী বলব। আন্তরিকতার ঘাটতি তো অবশ্যই আছে। আমি আসি না আসি সেটা পরের কথা; তাদের পক্ষ থেকে কিন্তু ফোন দিয়ে একবারের জন্যও জানতে চাইল না কেন গেলাম, কী জন্য গেলাম। এটা তো তারা করতেই পারতেন।
সমকাল: বাফুফের ক্যাম্পে কি অনিয়ম বা খারাপ কিছু চোখে পড়েছে?
স্বপ্না: এ বিষয়ে আমার কিছু বলার নেই।
সমকাল: আপনার অবসর, আঁখি ক্যাম্প ছাড়ল, কোচের দায়িত্ব ছাড়েন গোলাম রব্বানী ছোটন। একসঙ্গে একটা ঝড় দেখা দেয় নারী ফুটবলে।
স্বপ্না: আমি খুব বিস্মিত হয়েছি, যখন শুনেছি ছোটন স্যার দায়িত্ব ছেড়ে দিয়েছেন। অবিশ্বাস্য ঘটনা মনে হয়েছিল। আমার দুই ঘণ্টা পরই তো তিনি বলেছেন আর বাফুফেতে থাকবেন না। আমি তো অবসরের ঘোষণা দিয়েছিলাম সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। ছোটন স্যারের খবরটি শোনার পর হতাশ হয়ে যাই। তিনি যেভাবে কাজ করেন, আমার মনে হয়, একটা কোচ যতটুকু দেন, তার চেয়ে তিনি আরও বেশি দিয়েছেন নারী ফুটবল দলের পেছনে। আসলে আমি নিজেও জানি না কী কারণে তিনি অবসর নিলেন। আর নারী ফুটবলে হঠাৎ এত কিছু ঘটে যাবে, তা কল্পনাও করিনি।
সমকাল: বঙ্গমাতা পুরস্কার নিতে এসে সবার সঙ্গে সময় কাটিয়েছেন। একটু মনে হয় না আবার এক ছাদের নিচে আসি?
স্বপ্না: আসলে শুধু আজ না, বাসায় যাওয়ার পর হঠাৎ হঠাৎ মনে হয় আবার যদি ফুটবলে ফিরে যেতাম। একবারে না গেলেও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এই খারাপ লাগাটা চলে যাবে। যেখান থেকে একবার চলে গেছি, ব্যক্তিগতভাবে আমি চাই না সেখানে আবার ফিরি।
সমকাল: ক্যাম্পের সময়গুলো কতটা মিস করেন?
স্বপ্না: বাড়িতে যাওয়ার পর তো প্রথম প্রথম একটু খারাপ লাগছেই। টানা ৯-১০ বছর আমরা একসঙ্গে খেয়েছি, ঘুমিয়েছি। তাই বাসায় যাওয়ার পর একটু খারাপ লাগা আসবেই। তার পরও পরিবারের সঙ্গে আছি, তাই খারাপ লাগার সঙ্গে ভালো লাগাও আছে।
সমকাল: ফুটবলই স্বপ্নাকে চিনিয়েছে। তাই সব ভুলে ভবিষ্যতে ফুটবলের সঙ্গে থাকার সম্ভাবনা আছে?
স্বপ্না: ফুটবলের সঙ্গে ভবিষ্যতে কাজ করার কোনো ইচ্ছা নেই। আপনারা ফুটবলের সঙ্গে কখনোই আমাকে দেখবেন না।
সমকাল: ফুটবলে যদি না ফেরেন, তাহলে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী?
স্বপ্না: ফুটবল ছেড়েছি মাত্র তো দুই মাস হলো। ভবিষ্যতে কী করব, তা নিয়ে এখনই ভাবছি না। আরও কিছুদিন অবসর সময়টা উপভোগ করি। আস্তে আস্তে ভাবব ভবিষ্যতে কী করা যায়। কোন জিনিসটা করলে ভালো হবে, সেটা নিয়ে ভাবব।