ঢাকা শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫

বাবর-স্মিথের পার্থক্যটা এখানেই...

বাবর-স্মিথের পার্থক্যটা এখানেই...

ছবি- সংগৃহীত

স্পোর্টস ডেস্ক

প্রকাশ: ১৩ মার্চ ২০২৪ | ১১:২০

ওপেনার হিসেবে বেশ সফল হওয়ার পরও সর্বশেষ নিউজিল্যান্ড সফরে বাবর আজমের ব্যাটিং অর্ডার বদলে তিনে নামিয়ে দেওয়া হয়। বিষয়টি এখনও মেনে নিতে পারেননি বাবর। গত সোমবার পিএসএলে পেশোয়ার জালমিকে জেতানোর পর সংবাদ সম্মেলনে এ নিয়ে নিজের অসন্তোষের কথা জানান বাবর। উপমহাদেশের দলগুলোতে এ চর্চা যেন নিয়মিত বিষয়। 

গত বিশ্বকাপে তামিম ইকবালের না খেলার পেছনেও নাকি ব্যাটিং অর্ডারে পরিবর্তনই ছিল মুখ্য। অথচ অস্ট্রেলিয়ায় এসব কোনো বিষয়ই না। ডেভিড ওয়ার্নারের অবসরের পর স্টিভ স্মিথ ওপেন করার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে ওপেন করতে পাঠানো হয়। কিউইদের বিপক্ষে ওপেনিংয়ে ব্যর্থতার পর নাকি স্মিথ আবার চারে ফিরে যেতে চাইছেন। এতেও কোনো আপত্তি নেই কারও। অথচ উপমহাদেশে এমন হলে ক্যারিয়ার নিয়ে টানাটানি পড়ে যেত।

সোমবার রাতে সংবাদ সম্মেলনে বাবর বলেন, ‘ওপেনার হিসেবে এখানে (পিএসএল) পারফর্ম করার জন্য কোনো চাপে ছিলাম না। ওই সময় পাকিস্তান দলে চাহিদা তেমন ছিল, আমি সেটাই করেছি। যদি আমাকে জিজ্ঞেস করেন, তাহলে বলব ওয়ানডাউনে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্তে আমি সন্তুষ্ট ছিলাম না। যদিও আমি পাকিস্তানের জন্য করেছি (তিনে ব্যাটিং)।’ 

এর আগে বাবরের ওপেনিং সঙ্গী রিজওয়ান বলেছিলেন, তাদের ওপেনিং জুটি ভাঙায় ক্ষতি হয়েছে পাকিস্তানের। বাবরকে তিন নম্বরে পাঠানোর সিদ্ধান্তটা ছিল পাকিস্তানের টিম ডিরেক্টর মোহাম্মদ হাফিজের। তাঁর বদলে রিজওয়ানের সঙ্গে সাইম আইয়ুব ও হাসিবউল্লাহকে দিয়ে চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু নতুন কোনো জুটিই সফলতার মুখ দেখেনি। এখন হাফিজ নেই। তাই আবারও দেখা যেতে পারে বাবর-রিজওয়ান ওপেনিং জুটি। 

টি২০ ফরম্যাটে বাবর-রিজওয়ান ওপেনিং জুটি পাকিস্তান তো বটেই, বিশ্বের অন্যতম সেরা। ৫১ ইনিংসে এ জুটির কাছ থেকে এসেছে ২৪০০ রান, যা আন্তর্জাতিক টি২০র ওপেনিংয়ে সর্বোচ্চ। ৮টি সেঞ্চুরির জুটিও আছে তাদের। ভারতের রোহিত শর্মা ও শিখর ধাওয়ান ৪টি সেঞ্চুরির জুটি নিয়ে আছেন দ্বিতীয় স্থানে।

স্মিথ ওপেনিংয়ে উঠে আসার পর চার টেস্টের আট ইনিংসে মাত্র একটি হাফ সেঞ্চুরি করেছেন। এমন পারফরম্যান্সের পরও তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার কোচ অ্যান্ড্রু ম্যাকডোনাল্ড। তাঁর মতে, এই আট ইনিংস দিয়ে স্মিথকে বিচার করা অন্যায্য। এখানেই অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে উপমহাদেশের ক্রিকেট সংস্কৃতির পার্থক্যটা ফুটে ওঠে।

আরও পড়ুন

×