ঢাকা রবিবার, ০৬ জুলাই ২০২৫

শান্তর প্রেরণায় সিরিজ জয়ের ম্যাচ আজ

শান্তর প্রেরণায় সিরিজ জয়ের ম্যাচ আজ

ছবি-সংগৃহীত

 ক্রীড়া প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৫ মার্চ ২০২৪ | ০০:১০ | আপডেট: ১৫ মার্চ ২০২৪ | ০৭:৪৬

নাজমুল হোসেন শান্ত– এ মুহূর্তে বাংলাদেশ দলের আত্মবিশ্বাস! শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে তিনি দেখিয়েছেন পেছনে থেকেও কীভাবে এগিয়ে যেতে হয়। কীভাবে খেলতে হয় ম্যাচজয়ী ইনিংস। অধিনায়কের এই কৃতিত্ব মুগ্ধ করেছে দলের সবাইকে। মুশফিকুর রহিম তো ম্যাচ-পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে সতীর্থকে উচ্ছ্বসিত প্রশংসায় ভাসিয়েছেন এভাবে– ‘এটি শান্তর ম্যাচ’। শান্তর দুর্দান্ত ফর্ম, মুশফিক-মাহমুদউল্লাহর অভিজ্ঞতা আর পেসারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিং– সব মিলিয়ে আজ চট্টগ্রামে দ্বিতীয় ওয়ানডে ম্যাচেও লঙ্কানদের চেয়ে এগিয়ে থাকছে বাংলাদেশ। পেসার তাসকিনের কণ্ঠেও সিরিজ জয়ের আত্মবিশ্বাসের সুর, ‘সিরিজ জয়ের ব্যাপারে আমরা অনেক আশাবাদী। ১-০তে এগিয়ে থাকার পর দ্বিতীয় ম্যাচটিই আমাদের মূল লক্ষ্য।’

এক দিন বিরতি দিয়ে ম্যাচ থাকায় গতকাল ছিল বাংলাদেশ দলের ঐচ্ছিক অনুশীলন। যেখানে সৌম্য সরকার, এনামুল হক বিজয় ও তানজিদ তামিমের সঙ্গে অনেকক্ষণ কাজ করতে দেখা যায় ব্যাটিং কোচ ডেভিড হেম্পকে। আগের দিনের মুশফিক ও রিয়াদের ব্যাটিং অ্যাপ্রোচে যে তিনি ভীষণ খুশি, সে কথাও জানিয়েছেন কাল ক্যামেরার সামনে। টি২০ সিরিজের অভিজ্ঞতা থেকে লঙ্কান বোলিং নিয়ে অনেক গবেষণা করেছে বাংলাদেশ। মাতিশা পাথিরানা ও নুয়ান তুশারার সাইড আর্ম ডেলিভারি টি২০ সিরিজে বেশ ভুগিয়েছিল। তবে ওয়ানডে সিরিজে তাদের কেউই নেই। ওয়ানডেতে বরং দিলশান মাদুশঙ্কা ও প্রমদ মধুশান– আপাতত লঙ্কান এই দুই পেসারের সুইং নিয়েই যা কিছু স্টাডি করতে হচ্ছে। প্রথম ম্যাচে লঙ্কান স্পিনার হাসারাঙ্গাকে সুন্দরভাবে খেলেছেন মুশফিক, থিকসেনাকে মাঝের ওভারগুলোতে যেভাবে মোকাবিলা করেছেন রিয়াদ– তাতে লঙ্কান স্পিন নিয়ে সেভাবে কোনো আতঙ্ক নেই বাংলাদেশ শিবিরে; যা একটু ভয়, তা আছে সন্ধ্যার শিশির নিয়ে। পরে বোলিং করতে হলে শিশির ভেজা বল গ্রিপ করার একটা চ্যালেঞ্জ থাকবে তাসকিন-শরিফুলদের।

তাই শান্তর টস ভাগ্যের ওপরেই তাকিয়ে থাকবে টিম ম্যানেজমেন্ট। টি২০ সিরিজে কিছুটা উত্থান-পতন গেলেও এক দিনের ক্রিকেটে সমর্থকরা রাজসিক শুরু দেখছেন শান্তর হাতে। মুশফিকুর রহিমকে নিয়ে ১৬৫ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়ে ছয় উইকেটের জয় উপহার দেন দলকে। টপঅর্ডার এ ব্যাটার আজ বড় ইনিংস না খেললেও কোনো প্রশ্ন উঠবে না। তাঁর নেতৃত্বে সিরিজ জিতলেই খুশি হবেন ক্রিকেটানুরাগীরা। স্বাভাবিকভাবে অধিনায়কের চাওয়াও থাকবে তাই। সিরিজ শুরুর আগে তিনি এটাই তো বলেছিলেন– দল হিসেবে আগামী এক বছর উন্নতি দেখাতে চান। সাদা বলের ক্রিকেটে ধারাবাহিক ছন্দে থেকে যেতে চান টি২০ বিশ্বকাপে।

বাংলাদেশ ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে থাকলেও শ্রীলঙ্কা লড়াই গড়ে তোলার চেষ্টা করবে সিরিজ বাঁচাতে। কারণ তারা লড়াকু ক্রিকেট দল হিসেবে পরিচিত। উত্থান-পতনের অভিজ্ঞতা নেওয়া দলটি জ্বলে উঠতে পারে যে কোনো মুহূর্তে। এ ছাড়া পেশাদার চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য ভালোভাবেই রপ্ত করে নিয়েছেন তারা। আজ যে তারা মরিয়া হয়ে লড়বে, তাতে কোনো সন্দেহ নেই। এই লড়াই উপভোগ্য করে তুলতে পারে সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচটি।

আরও পড়ুন

×