ঢাকা শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫

হায়দরাবাদের ব্যাটিং বিপর্যয়, কলকাতার সামনে মামুলি লক্ষ্য

হায়দরাবাদের ব্যাটিং বিপর্যয়, কলকাতার সামনে মামুলি লক্ষ্য

ছবি- এএফপি

স্পোর্টস ডেস্ক

প্রকাশ: ২৬ মে ২০২৪ | ২১:২৩ | আপডেট: ২৬ মে ২০২৪ | ২১:৫৫

পুরো আইপিএলে আগ্রাসী ক্রিকেট খেলে ফাইনালে এসে খেই হারাল সানরানরাইজার্স হায়দরাবাদের ব্যাটাররা। কলকাতার বোলিং তোপে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে হায়দরাবাদ। রাসেল-স্টার্কদের আগুনে বোলিংয়ে ১১৩ রানেই অলআউট প্যাট কামিন্সের দল। তৃতীয়বারের মত শিরোপা জিততে কলকাতার দরকার ১১৪ রান।

এমন হতশ্রী ব্যাটিং প্রদর্শনীর দিনে লজ্জার এক রেকর্ডও গড়েছে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। আইপিএলের ফাইনালে এটিই যেকোনো দলের জন্য সর্বনিম্ন স্কোর। ২০১৩ সালে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের ১৪৯ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে ১২৫ রানে আউট হয়েছিল চেন্নাই সুপার কিংস। সেটা হয়েছিল কলকাতার মাঠে। আর আজ চেন্নাইয়ের মাঠে এমন লজ্জা পেল ড্যানিয়েল ভেট্টোরির শিষ্যরা। 

টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে যেন বড়সড় ধাক্কা খায় সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। শুরুতেই স্টার্কের আগুনে বোলিংয়ের শিকার হন অভিষেক শর্মা (২)। ঠিক তার পরে ওভারে রানের খাতা খোলার আগেই ট্র্যাভিস হেডকে সাজঘরে পাঠান ভাইভাভ আরোরা। ইনিংসের ৫ম ওভারে আবার স্টার্কের আঘাত। ১৩ বলে ৯ করে ফেরেন আগের ম্যাচের নায়ক রাহুল ত্রিপাঠি।

হায়দরাবাদে শিবিরে চতুর্থ আঘাত হানেন কলকাতার হর্ষিত। তার বলে খোঁচা দিয়ে ১৩ রানে সাজঘরে ফিরলেন নীতিশ রেড্ডি। এরপর কিছুটা ধীরে খেলেন ক্লাসেন এবং মার্করাম। তবে কলকাতার বোলিং তোপে বেশিক্ষণ টিকতে পারেনি এই জুটি। দলীয় ৬২ রানে মার্করামকে স্টার্কের ক্যাচ বানিয়ে ফেরান আন্দ্রে রাসেল। ২৩ বলে ২০ রান করেন মার্করাম।

হায়দরাবাদ এরপর আর মাথা তুলে দাঁড়াতে পারেনি। ৮ রানে শাহবাজ, ৪ রানে আব্দুল সামাদকে হারায় তারা। দলীয় ৯০ রানে হায়দরাবাদের ভরসা ক্লাসেনকে বোল্ড করেন হর্ষিত। ১৭ বলে ১৬ রান করেন তিনি।

একসময় দলীয় ১০০ পার হওয়া নিয়েই শঙ্কায় পড়ে যায় হায়দরাবাদ। সেখান থেকে তাদের পথ দেখান অধিনায়ক প্যাট কামিন্স। জয়দেব উনাদকাটকে নিয়ে পার করেন দলীয় শতরান। তাদের জুটি থেকে এসেছিল ২৩ রান।  এরপর উনাদকাটের পর ফিরে যান প্যাট কামিন্সও (২৪)। রাসেলকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে বাউন্ডারি লাইনে ক্যাচ দেন অজি এই অলরাউন্ডার। তাতেই ১৮.৩ ওভারে অলআউট হয়ে ১১৩ রানে শেষ হায়দরাবাদের ইনিংস।

কলকাতার পক্ষে আন্দ্রে রাসেল শিকার করেন তিনটি উইকেট। এছাড়া দুটি করে উইকেট পান মিচেল স্টার্ক ও হর্ষিত রানা, একটি করে উইকেট শিকার করেন ভাইভাভ আরোরা, সুনীল নারিন ও বরুণ চক্রবর্তী।

আরও পড়ুন

×