ঢাকা শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫

ঢাকার ফোনে পরীক্ষা-নিরীক্ষা বন্ধ হাথুরুর

ঢাকার ফোনে পরীক্ষা-নিরীক্ষা বন্ধ হাথুরুর

ছবি- বিসিবি

ক্রীড়া প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৭ মে ২০২৪ | ০৯:৪৯

কথা ছিল জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষ। যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে খেলানো হবে বিশ্বকাপ একাদশ। অথচ সিরিজের প্রথম ম্যাচেই পরীক্ষা-নিরীক্ষার পথ বেছে নেন কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে। তিনজন স্পিনারের সঙ্গে দু’জন পেসার খেলান। একাদশে পাঁচজন বোলার থাকার পরও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে দিয়ে বোলিং করানোর পরিকল্পনা দেন কোচ। পরীক্ষা-নিরীক্ষার ম্যাচে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে হেরে গিয়ে সমালোচনার মুখে পড়ে দল। 

ঢাকার ফোন পেয়ে দ্বিতীয় ম্যাচের একাদশে পরিবর্তন আনেন কোচ। যদিও শুরুর ধাক্কা সামলে নিতে পারেননি নাজমুল হোসেন শান্তরা। যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে প্রথমবারের মতো খেলতে নেমে সিরিজ হেরে বসে বাংলাদেশ। শেষ ম্যাচ জিতে ব্যর্থতার ক্ষতে প্রলেপ দেওয়ার চেষ্টা করা হলেও তাতে লাভ হয়নি। তবে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রের কাছে সিরিজ হারের পর পরীক্ষা-নিরীক্ষার পথ পরিহার করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। বাংলাদেশ দল সূত্রে জানা গেছে, সিরিজের শেষ ম্যাচের একাদশ অপরিবর্তিত রাখা হবে প্রথম অফিসিয়াল প্রস্তুতি ম্যাচে। ২৮ মে ডালাসের গ্র্যান্ড প্রেইরি স্টেডিয়ামে স্বাগতিক যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে হবে বিশ্বকাপ গা গরমের প্রথম ম্যাচ।

যুক্তরাষ্ট্রে প্রথম থেকে তিনজন পেসার নিয়ে খেলার পরিকল্পনা ছিল। হিউসটন থেকে হাথুরুসিংহে বিসিবির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সে রকম বার্তা দিলেও ম্যাচের দিন সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেন। পেস বোলার খেলান দু’জন– বাঁহাতি মুস্তাফিজুর রহমান ও শরিফুল ইসলামকে। একজন ডানহাতি পেসার না থাকায় বোলিং ইউনিটে সমন্বয় করা কঠিন হয়ে পড়েছিল বলে মনে করা হয়। যে কারণে স্লো উইকেটে ৬ উইকেটে ১৫৩ রান করেও ম্যাচ হারে বাংলাদেশ। 

অচেনা প্রতিপক্ষের বিপক্ষে পরীক্ষা-নিরীক্ষার সিদ্ধান্ত কেন নেওয়া হয়েছে– জানতে চাওয়া হলে দলের একজন সদস্য বলেন, ‘আমরা মনে করেছিলাম, যুক্তরাষ্ট্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবে না। জিতে যাব ধরে নিয়েই খেলতে নামি। কিন্তু যা কিছু হয়ে গেছে, তা আমাদের ধারণার বাইরে। প্রথম ম্যাচ হেরে বুঝতে পেরেছি টি২০ ক্রিকেটে যুক্তরাষ্ট্র আগের জায়গায় নেই। সুযোগ পেলে ওরা কাজে লাগাবে। তবে বেশি বাজে হয়ে গেছে দ্বিতীয় ম্যাচের হার। ওটা মেনে নেওয়া কঠিন। আমরা ১৪৫ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে পারিনি। বিশ্বকাপের আগে একটা শিক্ষা হয়ে গেছে। বাকি সময়টা বিশ্বকাপকেন্দ্রিক চিন্তা করতে হবে। কোনোরকম পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা চলবে না।’

২০২৩ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপে ব্যাটিং অর্ডার নিয়ে খুব বেশি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেছে টিম ম্যানেজমেন্ট। এই পরিবর্তন ব্যাটারদের পারফরম্যান্স মারাত্মক প্রভাব ফেলে। ব্যাটিংস্বর্গেও রান করতে পারছিলেন না তারা। ফলে ২০০৩ সালের পর সবচেয়ে বাজে ওয়ানডে বিশ্বকাপ পার করেছে বাংলাদেশ। যুক্তরাষ্ট্র এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজে অনুষ্ঠেয় টি২০ বিশ্বকাপেও স্বপ্নের পরিধি সীমিত হয়ে গেছে স্বাগতিকদের কাছে সিরিজ হারে। ব্যর্থতার গ্লানি মাথায় নিয়ে শনিবার রাতেই হিউসটন থেকে ডালাস পৌঁছায় বাংলাদেশ দল। গতকাল আইসিসির কার্যক্রমের পাশাপাশি বিকেলে ঐচ্ছিক অনুশীলন ছিল শান্তদের।

আরও পড়ুন

×