ঢাকা শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫

খেলোয়াড়দের রাজনীতিতে টানা কি উচিত, প্রশ্ন লিপুর

খেলোয়াড়দের রাজনীতিতে টানা কি উচিত, প্রশ্ন লিপুর

গাজী আশরাফ লিপু। ছবি: ফাইল

ক্রীড়া প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১২ আগস্ট ২০২৪ | ১৫:০৮

জাতীয় দলের খেলোয়াড় থাকা অবস্থায় রাজনীতিতে নেমেছেন মাশরাফি মর্তুজা। তার মতো, জাতীয় দলে খেলার সময় রাজনীতিতে নাম লিখিয়ে সংসদ সদস্য হয়েছেন সাকিব আল হাসানও। জাতীয় দলে খেলা অবস্থায় রাজনীতি করা ঠিক কিনা এ নিয়ে এরই মধ্যে প্রশ্ন উঠেছে।

জাতীয় দলের ক্রিকেটার নুরুল হাসান সোহানের মতে, জাতীয় দল থেকে অবসর না নেওয়া পর্যন্ত কারো রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হওয়া উচিত নয়। বিসিবির প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপু আরও একটি প্রশ্ন তুলেছেন। তার মতে, জাতীয় দলের একজন মেধাবি খেলোয়াড়কে রাজনীতিতে টানা উচিত কিনা এটা নিয়েও ভাবা দরকার।

সোমবার বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের পাকিস্তানে টেস্ট খেলতে যাওয়া উপলক্ষ্যে ঘোষিত দল নিয়ে কথা বলতে সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে একথা বলেন সাবেক অধিনায়ক লিপু। তিনি বলেন, ‘দেশে যে সংস্কারের ছোঁয়া লেগেছে আশা করবো, নিশ্চয় প্রসেস ঠিক করা হবে যে কেউ জাতীয় দলে খেলা অবস্থায় রাজনীতি করতে পারবেন কি না। আমি আরও একটা বক্তব্য যুক্ত করতে চাই। সংস্কার দু’জায়গায়ই হতে হবে। একটা রাজনৈতিক দলেরও কি উচিত, কোন জাতীয় দলের খেলোয়াড়কে দলে টেনে নেওয়া? তারা তো দেশের জন্যই খেলছেন।’

ক্রিকেটারদের জতীয় নির্বাচনে আসার বিষয়ে সুনির্দিষ্ট গাইড লাইন চান নির্বাচক লিপু। তার মতে, খেলা নাকি রাজনীতি, খেলোয়াড়রা কোনটাকে বেশি গুরুত্ব দেবেন সেটা পরিষ্কার হওয়া উচিত, ‘বোর্ডের সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা থাকলে খেলোয়াড় রাজনীতিতে যাওয়ার আগে সিদ্ধান্ত নিতে পারবে তার প্রায়োরিটি কোথায়। একজন খেলোয়াড়ের পেছনে অনেক বিনিয়োগ থাকে। খেলোয়াড় হিসেবে দেশের সার্ভিস পাওয়ার সুযোগ থাকে। খেলোয়াড় হিসেবে পজিশনের আলোকে রাজনীতিতে শিফট হয়ে গেলে তা ভাবনার বিষয়।’

এছাড়া সাকিব আল হাসান পাকিস্তান সিরিজসহ ডিসেম্বর পর্যন্ত টেস্ট সিরিজগুলো নিয়মিত খেলবেন বলে জানিয়েছেন আশরাফ হোসেন লিপু, ‘তার পারফরম্যান্সের আলোকেই তাকে দলে নেওয়া হয়েছে। তার মেধার ভিত্তিতে। তার সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। ডিসেম্বর পর্যন্ত আমাদের ৮টা টেস্ট আছে। সেগুলো সে খেলতে সম্মত হয়েছে। সিরিজগুলোর জন্য যথাযথভাবে অনুশীলন ক্যাম্পেও যোগ দেবেন তিনি।’ 

আরও পড়ুন

×