ঢাকা শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫

সবার ভালোবাসায় ইমরুলের বিদায়

সবার ভালোবাসায় ইমরুলের বিদায়

ছবি- বিসিবি

ক্রীড়া প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৯ নভেম্বর ২০২৪ | ০৯:০১

ম্যাচ ততক্ষণে প্রায় শেষ। জিততে আর মাত্র ২ রান দরকার ঢাকার। এমন সময় অধিনায়ক মিঠুনের কাছ থেকে বল চেয়ে নিলেন ইমরুল কায়েস। নিজের প্রথম ওভারটি মেডেন নেন বাঁহাতি এ স্পিনার। তাঁর পরের ওভারের দ্বিতীয় বলে প্রয়োজনীয় ২ রান নিয়ে ম্যাচ শেষ করে দেন রনি তালুকদার। তবে জয়-পরাজয় ছাপিয়ে সবার আগ্রহের কেন্দ্রে তখন ইমরুল। সতীর্থ ও প্রতিপক্ষ ক্রিকেটারদের পাশাপাশি আম্পায়াররাও এসে শুভেচ্ছা জানালেন তাঁকে। দু’দিন আগে দুই দলের ‘গার্ড অব অনারে’ মাঠে প্রবেশ করা অভিজ্ঞ এ ব্যাটার গতকাল মাঠ ছাড়েন সতীর্থদের কাঁধে চড়ে।

মিরপুরে জাতীয় লিগের পঞ্চম রাউন্ড আক্ষরিক অর্থেই ইমরুলের ম্যাচে পরিণত হয়েছিল। প্রতিদিনই তাঁকে ঘিরে কিছু না কিছু থাকতই। ম্যাচের প্রথম দিনে ১৭ বছরের প্রথম শ্রেণির ক্যারিয়ারের জন্য তাঁকে সম্মাননা দেয় ক্রিকেটার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (কোয়াব)। সে অনুষ্ঠানে ছিলেন মোহাম্মদ আশরাফুল ও তামিম ইকবাল।

পরদিন বিদায়ী ইনিংসে ব্যাট করতে নামার সময় তাঁকে ব্যাট উঁচিয়ে গার্ড অব অনার দেন সতীর্থরা। বাংলাদেশে মাঠ থেকে বিদায় নেওয়ার সংস্কৃতি যেখানে নেই বললেই চলে, সেখানে এত আয়োজন সত্যিই দারুণ ব্যাপার। এ জন্য বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকে (বিসিবি) ধন্যবাদ জানিয়েছেন ইমরুল, ‘আমি যখন বিসিবিকে (অবসরের) সিদ্ধান্তের কথা জানাই, তারা ব্যাপারটিকে ইতিবাচকভাবে নিয়েছে।’

সম্মান থাকতে সরে যাওয়াকেই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মনে করেন তিনি, ‘আমাকে অনেকেই বলেছে– ভাই, আপনি আরও দুই বছর খেলতে পারতেন। কিন্তু আমার কাছে মনে হয়েছে, আরও দুই বছর খেললে তারাই প্রশ্ন করত– ভাই, আপনি কবে খেলা ছাড়বেন? এই কথাগুলো শোনার চেয়ে নিজে থেকে চলে যাওয়াই ভালো মনে হয়েছে। সম্মান থাকা অবস্থায় সরে দাঁড়ানোর বোধশক্তি থাকাটা গুরুত্বপূর্ণ।’

৩৭ বছর বয়সী এ ক্রিকেটারের প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট ছাড়ার মূল কারণ ফিটনেস, ‘আমার ফিটনেস এখন যে পর্যায়ে আছে, তাতে ওয়ানডে ও টি২০র জন্য নিজেকে টিকিয়ে রাখতে পারব এবং আরও কয়েক বছর খেলতে পারব। চার দিনের ক্রিকেটের জন্য যে পরিমাণ শক্তি ও দৃঢ় মনোবল থাকতে হয়, তা এখন আর নেই। আমি যদি নিজেকে তরুণদের সঙ্গে তুলনা করি এবং তাদের ছন্দে খেলতে না পারি, তাহলে নিজেকে ছোট মনে হয় এবং লজ্জা লাগে।’

ইমরুলের পরিবার এখন অস্ট্রেলিয়া থাকে। তিনিও বছরের বেশির ভাগ সময় সেখানে পরিবারের সঙ্গে থাকতে চান।
 

আরও পড়ুন

×