সিরিজ জয়ের সুযোগ দেখেন মিরাজ

ছবি- সংগৃহীত
ক্রীড়া প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০ ডিসেম্বর ২০২৪ | ১০:০০
অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজের দাবি– বাংলাদেশ খুব ভালো ব্যাটিং করেছে। ৫০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ২৯৪ রান শোভন স্কোর মনে হলেও কন্ডিশন ও প্রতিপক্ষ বিবেচনায় কম। ম্যাচ হেরে গেলে সেটা আরও বেশি মনে হওয়াই স্বাভাবিক। ব্যাটিংয়ের দুর্বলতাগুলোও তখন বড় হয়ে ধরা দিচ্ছে। ৩০০ বলের গেমে ১৫৫টি ডট খেললে তা হওয়াই তো স্বাভাবিক। অর্থাৎ ৫০ ওভারের ম্যাচে ২৫ ওভার পাঁচ বলে কোনো রান হয়নি। ডট খেলায় মচ্ছব করেছেন মিরাজ নিজেই। ৭৩.২৬ স্টাইক রেটে ব্যাটিং করে ডুবিয়েছেন তিনি। যদিও মিরাজ বলছেন, ভালো ব্যাটিং করেছেন তারা। দেড়শর বেশি ডট খেলা দলের অধিনায়কের ভালো ব্যাটিং করার দাবি কতটা গ্রহণযোগ্য, তা কোচিং স্টাফই বলতে পারবেন।
৪৬ রানে টপঅর্ডারকে হারানোর পর চার নম্বরে ব্যাট করতে নেমেছিলেন মিরাজ। তানজিদ হাসান তামিমের সঙ্গে জুটি গড়েন মন্থর ব্যাটিং করে। ৯৭ বলে ৭৯ রান করেন দু’জন। জুটিতে মিরাজ ৫৬ বল খেলে ৩৭ রান করেন। অর্থাৎ রানের চেয়ে ১৯টি বল বেশি খেলেছেন অধিনায়ক। সেট ব্যাটার হয়েও আফিফ হোসেনের সঙ্গে ৫৪ রানের জুটিতেও মন্থর ছিলেন তিনি।
ডট খেলা নিয়ে প্রশ্ন ওঠায় মিরাজের ব্যাখ্যা হলো, ‘আমার দরকার ছিল দলকে ভালো একটা জায়গায় নিয়ে যাওয়ার। আমি রানের জন্য খেলেছিলাম। চেয়েছিলাম ৪০ ওভারে ভালো একটা স্কোর দাঁড় করাতে। আমি বুঝতে পারছিলাম, এই উইকেটে ৩০০ প্লাস রান করলে ভালো। তাই রানের জন্য খেলছিলাম।’
১০১ বল খেলে ৭৪ রান করা ব্যাটার বলছেন, রানের জন্য খেলছিলেন তিনি। মিরাজ দলকে ১৯৮ রানে রেখে আউট হন ৩৭.৩ ওভারে। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও জাকের আলী ওখান থেকে শুরু করেন। ৭৪ বলে ৯৬ রানের জুটি দু’জনের। শেষ ওভারের পঞ্চম বলটি হাওয়ায় ভাসিয়ে সীমানা ছাড়া করতে চেয়েছিলেন জাকের। ব্যাটে-বলে ভালো সংযোগ না হওয়ায় বাউন্ডারি লাইনের ভেতরে ক্যাচ হন। এই জুটির প্রশংসা করে মিরাজ বলেন, ‘যেভাবে রিয়াদ ভাই ও জাকের আলী শেষ করেছে, এটা অনেক ভালো ছিল। তারা ওভাবে না খেললে আমাদের রান আরও কম হতো। তবে সব মিলিয়ে আমরা ভালো ব্যাটিং করেছি।’
ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ২৯৫ রানের লক্ষ্য বেঁধে দেওয়া বাংলাদেশের বোলিংয়ের শুরুটা ভালো ছিল। ধারাভাষ্যকারদের মতে, প্রথম ১০ ওভারে নাহিদ রানাদের দাপট ছিল। ৯৪ রানে তিন ব্যাটার আউট হওয়ায় আশার আলোয় ছিল দল। শাই হোপ ও শেরফান রাদারফোর্ড ৯৩ বলে ৯৯ রানের জুটি গড়ায় ধীরে ধীরে গেম হাত থেকে ছুটে যেতে থাকে। শেষের দিকে রাদারফোর্ড ও গ্রেভস ঝড়ে লন্ডভন্ড হয়ে গেছে সফরকারীদের জয়ের স্বপ্ন। ৫৭ বলে ৯৫ রান যোগ করেন তারা। ৮০ বলে ১১৩ রান রাদারফোর্ডের।
মিরাজেরও মনে হয়েছে, শেষের ২০ ওভার বোলিংয়ে নিয়ন্ত্রণ ছিল না, ‘উইকেট যে রকম ছিল, স্পিন ওই রকম হচ্ছিল না। প্রায় ৩০ ওভার পর্যন্ত খেলা আমাদের নিয়ন্ত্রণেই ছিল। শেষের ২০ ওভার ওরা যখন চার্জ করে খেলেছে, তখন গেমটা আমাদের কাছ থেকে চলে গেছে। এর পরও আমার কাছে মনে হয়, অনেক ইতিবাচক দিক আছে।’
হার দিয়ে সিরিজ শুরু হলেও মিরাজ আশাবাদী আজ দ্বিতীয় ম্যাচ জিতে লড়াই জমাতে পারবেন। এখনও সিরিজ জয়ের সুযোগ দেখেন তিনি, ‘এখনও আমাদের সুযোগ আছে। একটি ম্যাচ হেরেছি। পরের ম্যাচ জিততে পারলে সিরিজ জেতার সুযোগ আছে।’
- বিষয় :
- বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজ
- ওয়ানডে সিরিজ