ঢাকা শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫

শচীনের প্রশংসায় রাতারাতি তারকা রাজস্থানের সেই মেয়েটি

শচীনের প্রশংসায় রাতারাতি তারকা রাজস্থানের সেই মেয়েটি

ছবি- সংগৃহীত

স্পোর্টস ডেস্ক

প্রকাশ: ০১ জানুয়ারি ২০২৫ | ২২:৩০ | আপডেট: ০২ জানুয়ারি ২০২৫ | ১৫:৩৩

ভারতের রাজস্থানের এক প্রত্যন্ত গ্রামের ১০ বছরের মেয়ে সুশীলা মীনা। এই কিছু দিন আগেও ছোট্ট মেয়েটিকে কেউ চিনতো না। ক্রিকেটে হাত পাঁকাতে চেষ্টা করা মিনাকে চোখে ধরেছে ভারতীয় কিংবদন্তি শচীন টেন্ডুলকারের। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মিনার একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন মাস্টার ব্লাস্টার। এতেই রাতারাতি তারকা বনে গেছেন রাজস্থানের এই মেয়েটি।

পঞ্চম শ্রেণিতে পড়াশুনা করা এই শিক্ষার্থীর বোলিং অ্যাকশন হুবহু দেশটির সাবেক পেসার জহির খানের মতো। বোলিং অ্যাকশন তো বটেই, এমনকি বল ছাড়ার আগ মূহুর্তের লাফেও জহির খানের সঙ্গে দারুণ মিল রয়েছে মিনার। খালি পায়ে দৌঁড়ে সুশীলার বোলিংয়ের একটি ভিডিও সর্বপ্রথম ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করেন সুশীলার কোচ ঈশ্বর আমালিয়া। সামাজিকমাধ্যমে সেটি ভাইরাল হয়। এরপর সম্প্রতি শচীন টেন্ডুলকার এক্সে (সাবেক টুইটার) ভিডিওটি পোস্ট করেন।

পোস্টের ক্যাপশনে ক্রিকেট কিংবদন্তি লেখেন,  ‘মসৃণ, ছন্দময়। এমন বোলিং দেখে চোখ জুড়িয়ে যাচ্ছে। সুশীলা মিনার বোলিং অ্যাকশনে তোমার (জহির খান) ছায়া রয়েছে। তুমিও কি তা দেখতে পাচ্ছো?’ পোস্টে জহির খানকে ট্যাগ করেন টেন্ডুলকার।

রাজস্থানের এই কিশোরীর বোলিং অ্যাকশন দেখে শচীন যেমন মুগ্ধ হয়েছেন, তেমনি ভারতীয় সাবেক পেসার জহির খানও তাকে নিয়ে নিজের উচ্ছ্বাস জানিয়েছেন। জহির খান বলেন, ‘আপনি (শচীন) একেবারে ঠিক বলেছেন। আমি পুরোপুরি সহমত পোষণ করছি আপনার সঙ্গে। ওর অ্যাকশন মসৃণ আর দেখেও খুব ভালো লাগছে। ক্রিকেটের প্রতি এখনই মেয়েটির নিবেদন দারুণভাবে ফুটে উঠেছে।’

কিন্তু মজার ব্যাপার হলো, যিনি তাকে বিখ্যাত করেছেন, সেই ক্রিকেট কিংবদন্তি শচীন টেন্ডুলকারকে চেনেন না রাজস্থানের সেই মেয়েটি। এ বিষয়ে সুশীলা বলে, ‘আমি জানি না, শচীন টেন্ডুলকার কে? কেন ক্রিকেট আইকনকে মিনা চেনে না, তার ব্যাখ্যাও দেয়া হয়। কারণ, তার বাসায় কোনো টেলিভিশন নেই এবং সে কখনও ক্রিকেট দেখেওনি। মিনা জানায়, সে শচীনের কাছে কৃতজ্ঞ।

শচীনের ভিডিওর পর থেকে রাজনীতিবিদ, সমাজকর্মী থেকে শুরু করে দূরসম্পর্কের আত্মীয়রাও সুশীলার সঙ্গে দেখা করতে এবং ছবি তুলতে আসছেন। তারা সুশীলার বাড়ি উপহারে ভরে তুলেছে। সুশীলার মা শান্তিবাই তার মেয়ের অর্জনে গর্ববোধ করেন। তিনি জানান, ‘অনেকেই তার সঙ্গে দেখা করার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন, তবে সবাই যে সহযোগী হয়েছেন তা নয়। কেউ কেউ প্রশ্ন তুলেছেন কেন তারা তাদের মেয়েকে গৃহস্থালির কাজের পরিবর্তে ক্রিকেট খেলতে দিয়েছেন।  তবে আমি এসব কথায় কান দিই না। কখনোই তাকে ক্রিকেট খেলা বন্ধ করতে বলব না।’

আরও পড়ুন

×