ঢাকা শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫

বাড়ল হৃদয়ের নিষেধাজ্ঞা

শৃঙ্খলা ভঙ্গের পর আম্পায়ারকে কটাক্ষ, ম্যাচ রেফারিকেও অশ্রদ্ধা

শৃঙ্খলা ভঙ্গের পর আম্পায়ারকে কটাক্ষ, ম্যাচ রেফারিকেও অশ্রদ্ধা

মোহামেডান-আবাহনী ম্যাচে আম্পায়ারের সঙ্গে আঙুল তুলে কথা বলতে দেখা যায় হৃদয়কে। ছবি: বিসিবি

ক্রীড়া প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৪ এপ্রিল ২০২৫ | ১৪:৫৯

একে তো মাঠে শৃঙ্খলা ভেঙেছেন। আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত অমান্য করে বাগ্বিতণ্ডায় জড়িয়েছেন। খেলা শেষেও নিয়মের তোয়াক্কা করেননি। সংবাদ সম্মেলনে আম্পায়ারদের মান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তাওহীদ হৃদয়। আম্পায়ারদের বিরুদ্ধে মুখ খোলার হুমকি দিয়েছেন প্রকাশ্যে।

খেলোয়াড়রা মাঠে তাৎক্ষণিক ক্ষোভের বশে আচরণবিধি ভঙ্গ করে বসেন। কিন্তু পরে অনুতপ্ত হন। জরিমানা ও নিষেধাজ্ঞা এড়াতে ম্যাচ রেফারির কাছে শুনানিতে গিয়ে অনুতপ্ত হন। স্বীকার করে নেন দায়। 

কিন্তু জানা গেছে, শুনানিতে গিয়ে ম্যাচ রেফারি নিয়ামুর রশিদ রাহুলকেও অশ্রদ্ধা করেছেন জাতীয় দলের ডানহাতি ব্যাটার হৃদয়। ফলে সব কিছুই গেছে মোহামেডান অধিনায়ক তাওহীদ হৃদয়ের বিরুদ্ধে। আর্থিক জরিমানা ও এক ম্যাচ জরিমানা করা হয়েছিল প্রথমে। পরে প্রকাশ্যে হুমকি দেওয়ায় আরও এক ম্যাচ বেড়েছে তার নিষেধাজ্ঞা। 

বিসিবি আম্পায়ার্স বিভাগের চেয়ারম্যান ইফতেখার রহমান মিঠু বলেন, ‘ম্যাচ রেফারি শুধু আর্থিক জরিমানা করে ছেড়ে দিতে চেয়েছিলেন। হৃদয়ের আচরণের কারণে এক ম্যাচ নিষেধাজ্ঞা দেন। এই শাস্তি ছিল আম্পায়ারদের রিপোর্টের ভিত্তিতে। আইন আছে কোনো ক্রিকেটার ম্যাচ শেষ করার ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে কোনো সমালোচনা বা নেতিবাচক কিছু করলে বা বললে ডি ম্যারিট পয়েন্ট পাবে। 

সে চারটি ডি মেরিট পয়েন্ট পেয়েছে। চার থেকে সাতটি ডি মেরিট পয়েন্ট পেলে এক থেকে দুই ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। আম্পায়ার্স বিভাগ হৃদয়কে দুই ম্যাচ নিষিদ্ধ করছে। কার্যকর করার দায়িত্ব সিসিডিএমের।’

বিসিবি টেকনিক্যাল কমিটি জানায়, ম্যাচের শৃঙ্খলা ভাঙায় চারটি ডি মেরিট আর নেতিবাচক বক্তব্য দেওয়ায় গতকাল তিনটি ডি মেরিট পয়েন্ট দেওয়া হয়েছে। জরিমানা করা হয়েছে ৮০ হাজার টাকা।

আরও পড়ুন

×