ইংল্যান্ডের আতিথেয়তা, সম্মান ও সহায়তায় মুগ্ধ জিম্বাবুয়ে

ইংল্যান্ড অধিনায়ক বেন স্টোকস ও জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক ক্রেগ আরভিন। ছবি: এএফপি
স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশ: ২৬ মে ২০২৫ | ১৬:২৯
চার দিনের টেস্ট তিন দিনেই হেরে গেছে, তাও আবার ইনিংস ও ৪৫ রানের ব্যবধানে। তবে এমন হারেও ব্যথিত নয় জিম্বাবুয়ে; বরং ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ট্রেন্টব্রিজের মতো স্টেডিয়ামে টেস্ট খেলার সুযোগ পেয়েছে, তাতেই খুশি ক্রেগ আরভিনরা। ম্যাচ হারার পর আতিথেয়তা দেওয়ার জন্য তারা ধন্যবাদ জানিয়েছেন ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ডকে।
আসলে ২২ বছর পর ইংল্যান্ডের আমন্ত্রণ পেয়ে নতুন করে নিজেদের টেস্ট ক্রিকেটে প্রাণ খুঁজে পেয়েছে জিম্বাবুয়ে। সে দেশের সাবেক শাসক রবার্ট মুগাবের শ্বেতাঙ্গদের ওপর বঞ্চনার অভিযোগ এনে প্রায় দুই যুগ বন্ধ ছিল দুই দেশের ক্রিকেট সম্পর্ক। এবার সবকিছু ভুলে আফ্রিকার দেশটির ক্রিকেটে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে ইংল্যান্ড। সফরে জিম্বাবুয়ে দলকে সব ধরনের আর্থিক সহায়তা দিয়েছে ইসিবি। যাতায়াত, হোটেল খরচ, ম্যাচ ফি– সবই দিয়েছে তারা। এমনকি নটিংহ্যামে টেস্ট চলাকালে জিম্বাবুয়ের পর্যটন সংস্থাকেও মাঠে প্রচারণার সুযোগ করে দিয়েছে।
আর এমন আতিথেয়তা পেয়ে জিম্বাবুয়েও আমন্ত্রণ জানিয়েছে ইংল্যান্ডকে। দেশটির ভিক্টোরিয়া জলপ্রপাতের কাছে নতুন এক স্টেডিয়াম নির্মাণ করা হচ্ছে, সেখানেই ইংল্যান্ডের সঙ্গে টেস্ট দিয়ে উদ্বোধন করতে চায় জিম্বাবুয়ে। ২০২৭ থেকে ৩১ টেস্ট চক্রের কোনো এক সময় সেই আমন্ত্রণ গ্রহণ করবে বলে জিম্বাবুয়েকে কথা দিয়েছে ইসিবি।
৯ দল নিয়ে আইসিসির টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ, সেখানে না থাকায় জিম্বাবুয়ের জন্য বড় দলগুলোর সঙ্গে লাল বলের ম্যাচ খেলাটা অনেকটাই কঠিন। একেতো সময় মেলে না, তার ওপর নিজেদের দেশে একটি টেস্ট আয়োজন করতে খরচ হয় প্রায় ৫ লাখ ডলার। সেখানে আইসিসি থেকে অনুদান হিসেবে তারা পেয়ে থাকে ১৩.৫ মিলিয়ন ডলার। তা দিয়ে ২০২৭ বিশ্বকাপের যৌথ আয়োজক হিসেবেই নতুন স্টেডিয়াম গড়ছে, যার সম্ভাব্য খরচ ৮ মিলিয়ন ডলার।
এ ছাড়া ঘরোয়া টুর্নামেন্ট এবং অন্যান্য অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণে প্রতিবছর ২.৫ মিলিয়ন ডলার খরচ হয় তাদের। সেখানে আফগানিস্তান আর আয়ারল্যান্ডের সঙ্গে টেস্ট আয়োজন করতেই খরচ হয় অনেক অর্থ। সে কারণেই ২০০৫ সালের পর থেকে মাত্র ৩৫ টেস্ট খেলার সুযোগ হয়েছে তাদের। গত আইসিসি সভায় ইসিবি প্রধানকে জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট অনুরোধ করেছিল একটি টেস্টে আমন্ত্রণ জানানোর। অতীতের তিক্ত সম্পর্ক ভুলে সেই আবদনে সাড়া দেয় ইসিবি।
এর আগে ২০০৩ বিশ্বকাপে জিম্বাবুয়ের মাঠে গিয়ে বিশ্বকাপ খেলেনি ইংল্যান্ড। ২০০৯ সালে জিম্বাবুয়ের ইংল্যান্ড সফরও বাতিল হয়েছিল। ২০০৯ ইংল্যান্ডে টি২০ বিশ্বকাপ বয়কট করেছিল জিম্বাবুয়ে। তবে এবার ২০২৭ বিশ্বকাপে জিম্বাবুয়ে গিয়ে খেলার নিশ্চয়তা দিয়েছে ইসিবি।
- বিষয় :
- বেন স্টোকস