বিশ্বকাপে খেলা নিউজিল্যান্ডের ক্লাবের এমন দশা কেন?

অকল্যান্ড সিটি এফসির দুই ফুটবলার। ছবি: সংগৃহিত
স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশ: ১৬ জুন ২০২৫ | ২২:১১ | আপডেট: ১৬ জুন ২০২৫ | ২২:৩২
ক্লাব বিশ্বকাপে ১০-০ গোলের ম্যাচ আগে দেখেনি কেউ। নতুন ফরম্যাটের ক্লাব বিশ্বকাপে সেটাই দেখল ফুটবল ভক্তরা। অথচ বিশ্বকাপের মতো এক মাসের এই টুর্নামেন্টের লক্ষ্য আরও প্রতিযোগিতাপূর্ণ ম্যাচ আয়োজন করা এবং সকল মহাদেশের দলকে সুযোগ দেওয়া।
সুযোগ নিশ্চিত করতে গিয়ে নিউজিল্যান্ডের অপেশাদার ক্লাব অকল্যান্ড সিটি এফসিকে আমন্ত্রণ জানায় ফিফা। যে দলটির অধিকাংশই শখের বসে ফুটবল খেলেন। বাকি সময় তাদের কাজের মধ্যে থাকতে হয়।
বায়ার্ন মিউনিখের হ্যারি কেইন, জামাল মুসিয়ালা, টমাস মুলারদের সরাসরি দেখাই যাদের স্বপ্ন, তাদের বিপক্ষে খেলতে পারা স্বাদ মেটার মতো। তবে শখের তোলা আশি টাকার মতো ১০-০ গোলে হারের লজ্জায় ডুবতে হয়েছে তাদের। হেরে মাথা নিচু করে বলতে হয়েছে, ‘ক্লাব বিশ্বকাপে অংশ নেওয়া আমরাই একমাত্র শ্রমজীবী দল।’
ক্লাব বিশ্বকাপের কোটা পূরণ করতে ওশেনিয়া অঞ্চল থেকে অকল্যান্ড সিটিকে সুযোগ দেওয়া হয়েছে। ওই দলের সবাই শখের বশে ফুটবল খেলেন। কেউ মেডিকেল রিপ্রেজেন্টেটিভ, কেউ ডেইরি ফার্মে খাবার সরবরাহ করেন, কেউ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী। ফিফার টুর্নামেন্টে খেলতে অনেককেই চাকরি থেকে কিনা বেতনে ছুটি নিতে হয়েছে।
তারা এতোটাই শখের বশে ফুটবল খেলা দল যে ফুটবলাররা সপ্তাহে বেতন পান সর্বোচ্চ মাত্র ৯০ ডলার। যেখানে বায়ার্নের তারকা হ্যারি কেন সপ্তাহে ৫ লাখ ৩ হাজার ৪৮৪ ডলার বেতন পান।
নিউজিল্যান্ড আগামী বিশ্বকাপের টিকিট পাওয়া দল হলেও ক্লাবের এমন বেহাল দশার কারণ আছে। দেশটির ফুটবল লিগ এখনও পেশাদার হয়নি। নিউজিল্যান্ড জাতীয় দলের ফুটবলাররা ইউরোপ নয়তো অস্ট্রেলিয়ার লিগে খেলেন। নিউজিল্যান্ডে তথাকথিত পেশাদার ক্লাবই দুটি। যার একটি অকল্যান্ড।
ওদিকে অস্ট্রেলিয়া ওশেনিয়া অঞ্চলের হলেও ফিফার হিসেবে তারা এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশনের অন্তর্ভূক্ত। যে কারণে ওশেনিয়া অঞ্চলের চ্যাম্পিয়ন অকল্যান্ড ক্লাব বিশ্বকাপে সুযোগ পেয়েছে। অতীতেও তারা এই টুর্নামেন্টে খেলেছে। কিন্তু কোন মতে অংশ নিয়ে একটা ম্যাচ খেলে চুপিসারে বিদায় নিয়েছে। এবার তাদের বায়ার্ন মিউনিখ, বেনফিকা আর বোকা জুনিয়ার্স দর্শনের মতো অভিজ্ঞতার মুখে পড়তে হচ্ছে। যার শুরুটা বায়ার্নের বিপক্ষে হলো লজ্জার।
- বিষয় :
- ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ