ঢাকা রবিবার, ০৬ জুলাই ২০২৫

'ডিভোর্সি' সেতিয়েনে ডুবল তরী

'ডিভোর্সি' সেতিয়েনে ডুবল তরী

ছবি: ফাইল

স্পোর্টস ডেস্ক

প্রকাশ: ১৮ জুলাই ২০২০ | ১২:০০ | আপডেট: ১৯ জুলাই ২০২০ | ০১:১১

ঠিক যেন মুদ্রার উল্টো পিঠ। যেখানে জিনেদিন জিদান রিয়াল মাদ্রিদের আনসাং হিরো, সেখানে কিকে সেতিয়েন বার্সার খলনায়ক। শুরু থেকেই তিনি মাটিতে পা না রেখে কথা বলেছেন। যেদিন ন্যু ক্যাম্পে প্রথম পা পড়ে তার সেদিনই সংবাদ সম্মেলনে কিছু বাড়তি নিয়মনীতির কথা শোনান। যেটা অনেক খেলোয়াড়রই নেতিবাচকভাবে নেন। মৌসুমের শেষ পর্যন্ত সেই ক্ষতটা থেকে হয়ে যায় ভয়ংকর এক বিষফোঁড়া।

শেষমেশ বার্সার ভরাডুবি। এই সবকিছুর সারমর্ম করা যায় দুই শব্দে- ডিভোর্সি সেতিয়েন। আসলেই কি তাই? স্প্যানিশ ক্রীড়া দৈনিক মার্কা তাদের বিভিন্ন সূত্রের বরাত দিয়ে বলছে, বার্সা কোচের সঙ্গে খেলোয়াড়দের ছাড়াছাড়িই মূলত কাতালানদের লিগ শিরোপা হাতছাড়ার জন্য দায়ী।

কথায় আছে যা রটে, তার কিছু হলেও ঘটে। সেল্টা ভিগো, অ্যাথলেটিকো মাদ্রিদের সঙ্গে বার্সা ড্র করার পর ড্রেসিংরুমে খেলোয়াড় আর কোচিং স্টাফদের সঙ্গে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় হয়। যা নিয়ে স্পেনের একাধিক গণমাধ্যম ফলাও করে প্রতিবেদন প্রকাশ করে। এরপর ম্যাচ চলাকালীন কুলিং ব্রেকে লিওনেল মেসি সেতিয়েন আর সহকারী কোচ এডার সারাবিয়াকে বয়কট করার যে দৃশ্য ছড়িয়ে পড়ে নেট দুনিয়ায়।

তারই কিছু প্রমাণ ছিল সেতিয়েন আর খেলোয়াড়দের মধ্যকার বৈরী সম্পর্কের। শুধু তাই নয়, সেতিয়েন কিছুটা মানিয়ে চললেও সারাবিয়া ছিলেন একেবারে বদমেজাজি। মাঠের পারফর্ম উনিশ থেকে বিশ হলে ড্রেসিংরুমে চিৎকার-চেঁচামেচি করতেন, খেলোয়াড়দের সঙ্গে যা ইচ্ছা তাই ব্যবহার করতেন। একদিন নাকি কয়েকজন খেলোয়াড়রও পাল্টা ধরে বসেন সারাবিয়াকে। বলেন, 'দেখুন, আমাদের সম্মান দিয়ে কথা বলতে শিখুন।'

কেবল মার্কা নয়, এএস, মুন্ডো দিপোর্তিভোসহ কয়েকটি নামকরা দৈনিকে বার্সার তরী ডোবার পেছনে রিলেশনশিপ ব্রেক হওয়াকেই দায়ী করা হয়েছে। অবস্থা এমন পর্যায়ে চলে যায়, খেলোয়াড়রা সেতিয়েনের কোনো কথাই শুনতেন না। গত সপ্তাহে নিয়মিত ট্রেনিংয়ের পর সেতিয়েন বলেছিলেন সবাইকে থাকার জন্য, নিজেদের মধ্যে ভাগ করে একটা ম্যাচ খেলা হবে। কিন্তু তার কথা অনেকেই আমলে নেননি। চলে যান যে যার মতো করে বাড়িতে। পরের দিন এ নিয়ে আরও তুলকালাম। তবে পরিস্থিতি এতটা ঘোলাটে তো একদিনে হয়নি।

সংবাদ সম্মেলনে সেতিয়েনের নানা বিতর্কিত মন্তব্য, হুটহাট বদলি এসব নিয়েই খেলোয়াড়দের সঙ্গে তার দূরত্ব তৈরি হয়। দু-একটা উদাহরণ দিলে বিষয়টি আরও স্পষ্ট হয়ে যাবে, মেসির দক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন করা, তাকে বিশ্রামে পাঠানোর কথা বলা, গ্রিজম্যানকে গুরুত্ব না দেওয়া, আর্থার মেলোর পেশাদারিত্ব নিয়ে ভিন্ন মন্তব্য করা। সব মিলিয়ে ডিভোর্সি সেতিয়েনেই ডুবল বার্সার আশার ভেলা।

আরও পড়ুন

×