মৃত্যুর আগে ভাতিজাকে কী বলেছেন ম্যারাডোনা?

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ২৬ নভেম্বর ২০২০ | ০১:১১
জীবনের খেলা শেষ করে চলে গেছেন ফুটবল ঈশ্বর দিয়েগো ম্যারাডোনা! পার্থিব সব বন্ধন কাটিয়ে না ফেরার দেশে চলে গেছেন তিনি। আর্জেন্টিনার তিগ্রেতে বাড়িতে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মাত্র ৬০ বছর বয়সে চিরবিদায় নিলেন ফুটবলের অমর জাদুকর।
বেশ কিছুদিন ধরেই শরীরটা ভালো যাচ্ছিল না এই ফুটবল কিংবদন্তির। বুধবার মৃত্যুর দিনও শারীরিকভাবে অসুস্থ বোধ করেন তিনি। ভাতিজাকে সে কথা বলেছিলেন তিনি। তার সঙ্গে ম্যারাডোনার শেষ কথা ছিল এমনই।
ডেইলি মেইল জানায়, ম্যারাডোনার ভাতিজা জানিয়েছেন- সকালে ম্যারাডোনা যখন নাস্তা করতে আসেন, তখন তাকে ফ্যাকাশে লাগছিল। তিনি বলছিলেন; তার ঠাণ্ডা লাগছে। অসুস্থতার কথা জানানোর পরই বিছানায় চলে যান তিনি।
এরপর একজন নার্স ম্যারাডোনাকে দেখেন। তিনি চিকিৎসককে ফোন করেন। তবে চিকিৎসক পৌঁছানোর আগেই তার মৃত্যু হয়।
বুয়েন্স আয়ার্সের কাছে ছোট্ট শহর লানুসে ১৯৬০ সালের ৩০ অক্টোবর জন্মগ্রহণ করেন ম্যারাডোনা। গরিব বাবা-মায়ের ঘরে চার মেয়ের পর জন্ম নেন দিয়েগো। মাত্র আট বছর বয়সে একটি ট্যালেন্ট হান্ট প্রতিযোগিতা থেকে প্রথম ক্লাব এস্তেলা রোজা তাকে বেছে নেয়। তার পর থেকে আর কখনোই পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তার।
১৯৮৪ সালের ৭ নভেম্বর ক্লদিয়া ভিলাফানেকে বিয়ে করেন ম্যারাডোনা। তাদের সংসারে দুই কন্যা ডালমা নিরিয়া এবং জিয়ানিয়া দিনরো। কিন্তু ক্লদিয়ার সঙ্গে ২০০৪ সালে ছাড়াছাড়ি হয়ে যায় তার। এরপরই অনিয়ন্ত্রিত জীবন শুরু হয়।
১৯৮৬ বিশ্বকাপে তিনি মনোমুগ্ধ করে দিয়েছিলেন গোটা বিশ্বকে, যার ছোঁয়া লেগেছিল এই বাংলাদেশেও। মূলত ওই বিশ্বকাপ থেকেই, ওই প্রজন্ম থেকেই এ দেশে বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার পতাকা ওঠে ছাদে। ম্যারাডোনার ওই বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তার 'হ্যান্ড অব গড' গোলটি আইকনিক হয়ে ওঠে।
১৯৯০ বিশ্বকাপেও তিনি আর্জেন্টিনাকে ফাইনালে তুলেছিলেন। কিন্তু সেরা হতে পারেননি। ১৯৯৭ সালে ফুটবলকে বিদায় জানানোর পর কোচিং শুরু করেছিলেন। ২০০৮ থেকে ২০১০ পর্যন্ত মেসিদেরও কোচ ছিলেন।
- বিষয় :
- দিয়েগো ম্যারাডোনা
- ম্যারাডোনার মৃত্য