পার্থক্য গড়ে দেবে বোলিং

অনুশীলনে গা গরমের সময় কি মাশরাফির সঙ্গে ফাইনাল জয়ের কৌশল ঠিক করছেন খুলনার অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ - বিসিবি
ক্রীড়া প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৭ ডিসেম্বর ২০২০ | ১২:০০ | আপডেট: ১৮ ডিসেম্বর ২০২০ | ০০:৩১
খেলা শুরু বিকেল সাড়ে ৪টায়। তখন শীতের পড়ন্ত বিকেল। হাওয়ায় ভেসে বেড়ায় শিশিরের কণা। ক্রিকেট ম্যাচে যার প্রভাব থাকে খুব। বিন্দু বিন্দু জলকণায় চামড়ার বল ভিজে ভারী হয়ে যায়। সময় গড়ানোর সঙ্গে বোলারদের কাজটিও কঠিন হয়ে পড়ে। এই পরিস্থিতিতে যে দলের বোলাররা নিয়ন্ত্রণ রেখে বোলিং করতে পারেন, ব্যাটসম্যানদের চাপে রেখে প্রতিপক্ষকে কম রানে বেঁধে ফেলার সক্ষমতা দেখাতে জানেন, ম্যাচের ফল নিজেদের করে নিতে পারেন তারাই। বঙ্গবন্ধু টি২০ কাপের আজকের ফাইনালে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকবে বোলারদের হাতে। যেখানে জেমকন খুলনার চেয়ে কিঞ্চিত হলেও এগিয়ে থাকছে গাজী গ্রুপ চট্টগ্রাম।
এই শিশিরের কথা মাথায় রেখে টসজয়ী দলের প্রথম পছন্দ থাকবে আগে ফিল্ডিং করে প্রতিপক্ষের বোলারদের সমস্যায় ফেলা। উভয় দলের গেম পরিকল্পনায় থাকবে এটা। তা যতই সমৃদ্ধ বোলিং বিভাগ থাক দুই দলের। বোলার বৈচিত্র্যে খুলনা-চট্টগ্রাম কেউ কারও থেকে পিছিয়ে নেই। অলরাউন্ডারের দিক থেকেও উভয় দল সমান। তবে কথা হচ্ছে, একাদশে কতজন বোলার রাখতে পারবে একটি দল। চট্টগ্রাম এই জায়গায় সুবিধাজনক অবস্থানে। মুস্তাফিজুর রহমান ও শরিফুলকে পেস বোলিংয়ে রেখে জিয়াউর রহমান ও সৌম্যকে পেস বোলিং অলরাউন্ডার হিসেবে কাজে লাগাতে পারবে। মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত মিডল অর্ডারে ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি ভালো অফস্পিন করেন। বঙ্গবন্ধু টি২০ কাপে বেশ কিছু ম্যাচে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স রয়েছে তার। টুর্নামেন্টের ফাইনালেও তার কাছ থেকে অলরাউন্ড পারফরম্যান্স চাইবেন কোচ সালাউদ্দিন। একাদশে ব্যাটিং-বোলিংয়ের ভারসাম্য করতে নাহিদুল ইসলাম, রাকিবুল হাসান ও তাইজুলের থেকে এক বা দু'জন স্পিনার নিলেই হলো। খুলনার বোলিং ইউনিটও জমাট। মাশরাফি স্কোয়াডে যোগ দেওয়ার পর পেস বিভাগে ভারসাম্য এসেছে। শফিউল ইসলাম চোট নিয়ে ছিটকে যাওয়ার পরও অভিভাবকশূন্য হতে হয়নি মাহমুদুল হাসানদের। আল আমিনের মতো ইয়র্কার বিশেষজ্ঞ পেসারও রয়েছে দলটিতে। যদিও এই টুর্নামেন্টে এখন পর্যন্ত সেরা বোলিং করতে পারেননি তিনি। খুলনার অন্তত তিনজন অলরাউন্ডার খেলাতে পারছে, অধিনায়ক নিজে অফস্পিন করেন। শুভাগত হোম, আরিফুল হক চার ওভার করে দিতে পারবেন। একজন বিশেষজ্ঞ স্পিনার খেলালেই চলে দলটির। এতে করে ব্যাটিং লাইনটা লম্বা হয়।
প্রথম কোয়ালিফায়ারে চট্টগ্রামকে হারিয়েই ফাইনাল খেলছে খুলনা। ঢাকার বিপক্ষে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার জিতে শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে চট্টগ্রাম। লিগ পর্বের পয়েন্ট টেবিলের সেরা দু'দলই এক নম্বর হতে লড়াই করবে আজ। যেখানে মাহমুদুল্লাহর খুলনা আগের জয়ে উজ্জীবিত। এ ছাড়া মাশরাফির মতো চ্যাম্পিয়ন ক্রিকেটার পেছন থেকে নেতৃত্ব দেবেন। মাহমুদুল্লাহর কথায় সেটা পরিস্কার, 'আমি সবসময় মাশরাফি ভাইয়ের সঙ্গে কথা বলি, অনেক আইডিয়া নেওয়ার চেষ্টা করি। কারণ তিনি শুধু অন্যতম সেরা বোলারই নন, আমাদের ক্রিকেট ইতিহাসের সবচেয়ে সফল অধিনায়ক। চারটি বিপিএল ট্রফি উনার অধীনে, চারটি ফাইনাল খেলেছেন। উনার অভিজ্ঞতা অবশ্যই বিবেচ্য। যেটা আমাদের দলের জন্য অনেক লাভ।' বিপরীত শিবিরে চট্টগ্রামের শক্তি একতাবদ্ধতা। অধিনায়ক মিঠুনের ভাষায়, 'আমাদের শক্তি একতা। টিম বয় থেকে খেলোয়াড় ও কোচিং স্টাফ সবাই সবাইকে বোঝে। মাঠের বাইরের মতো ভেতরেও যেটা কাজ করে। যে কারণে ১০ ম্যাচের আটটিতে জিতেছি আমরা। ফাইনালেও একই প্রক্রিয়া মেনে খেলতে চাই।'
- বিষয় :
- ক্রিকেট
- বঙ্গবন্ধু টি২০ কাপ