ঢাকা শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫

আব্দুর রাজ্জাকের সাক্ষাৎকার

ব্যক্তিস্বার্থ দেখার কোনো সুযোগ নেই

ব্যক্তিস্বার্থ দেখার কোনো সুযোগ নেই

আব্দুর রাজ্জাক

ক্রীড়া প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৯ জানুয়ারি ২০২১ | ০৭:১০

জাতীয় দল নির্বাচক প্যানেলে যোগ হচ্ছেন আব্দুর রাজ্জাক। বিসিবির নিয়োগপত্র পেলেই সাবেক ক্রিকেটারের তালিকায় উঠে যাবে তার নাম। এই বাস্তবতা মেনে নিতে প্রস্তুত বাঁহাতি এ স্পিনার। খেলোয়াড় জীবনের ইতি এবং নতুন কর্ম নিয়ে গতকাল সমকালের সঙ্গে একান্তে কথা বলেন রাজ্জাক।

সমকাল: সবাই বলছে রাজ্জাক ভালো করবে, খেলোয়াড়দের বোঝে।

রাজ্জাক: আমার জন্য এটা অনেক বড় প্রশংসা। যারা এ কথা বলেছেন তাদের সবার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ। আসলে কাজ দিয়ে প্রমাণ করতে হবে কতটা ভালো বুঝি। সততার সঙ্গে কর্তব্য পালন করতে হবে। ঘরোয়া খেলায় দল নির্বাচনে মোটামুটি জড়িত ছিলাম। জাতীয় দলের কাজ অনেক বড় পরিসরে। নান্নু (মিনহাজুল আবেদীন) ভাই, সুমন (হাবিবুল বাশার) ভাই রয়েছেন। উনাদের নির্দেশনায় চেষ্টা করব সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করতে।

সমকাল: সরাসরি মাঠ থেকে নির্বাচক, কাজে সুবিধা হবে নিশ্চয়ই?

রাজ্জাক: আমার কাছে মনে হয় এটা বড় ধরনের সুবিধা। যারাই নির্বাচক প্যানেলে আছেন উনারা খুবই ভালো ধারণা রাখেন খেলোয়াড়দের সম্পর্কে। আমি যেহেতু সরাসরি মাঠ থেকে যোগ দিচ্ছি, ড্রেসিংরুমে এই ক্রিকেটারদের সঙ্গে ছিলাম, নতুন পেশায় সেটা কাজে দেবে। আশা করি নির্বাচক প্যানেলে আমার দুই সিনিয়রকে এক্ষেত্রে কিছু তথ্য দিতে পারব। সবচেয়ে বড় কথা, আমি সম্পূর্ণ নতুন একটা কাজে যোগ দিচ্ছি। দুই সিনিয়রের কাছ থেকে কাজটা ভালোভাবে বুঝতে হবে।

সমকাল: নতুন দায়িত্বে ক্রিকেটারদের স্বার্থ দেখার কোনো সুযোগ রয়েছে?

রাজ্জাক: আমি নবীন। আমার একটা মতামত হয়তো থাকবে নির্বাচন প্রক্রিয়ায়। সেখানে বাংলাদেশ দল যেটাতে উপকৃত হবে সেটাই করব। ব্যক্তিস্বার্থ দেখার সুযোগ নেই। বিসিবি আমাকে নিয়োগ দিয়েছে দলের স্বার্থ দেখার জন্যই।

সমকাল: এই নির্বাচক প্যানেলের অধীনেই বাদ পড়েছিলেন, এখন তাদেরই সহকর্মী হলেন।

রাজ্জাক: এটা একটা প্রক্রিয়া। আমি যদি লম্বা সময় নির্বাচক প্যানেলে কাজ করার সুযোগ পাই তাহলে দেখা যাবে, পাঁচ বছর পর নতুন কেউ যোগ হচ্ছে। একবার যে সিনিয়র সে সব সময় সিনিয়র। আমি যখন খেলা শুরু করি, নান্নু ভাই তখন দেশে সবচেয়ে সিনিয়র ক্রিকেটার। সুমন ভাই সিনিয়র ক্রিকেটার। উনারা অবসর নিয়ে নির্বাচকের কাজ করছেন। এখানেও দেখেন, উনারা সিনিয়র। এটাই স্বাভাবিক।

সমকাল: খেলা থেকে তো বিদায় নিতে হচ্ছে, কোনো আক্ষেপ?

রাজ্জাক: না, আমার ক্যারিয়ার নিয়ে কোনো আক্ষেপ নেই। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে যতদিন খেলেছি ভালোই খেলেছি। ঘরোয়া ক্রিকেটে এখনও খেলছি। মনে হয় ভালোই খেলেছি। আমি নিজেকে সব সময় প্রশ্ন করি, নিজের কাজটা ঠিকঠাক করছি কি-না। আরও কিছু করার আছে কি-না। সেদিক থেকে আমি আমার কাজে খুশি।

সমকাল: আনুষ্ঠানিক বিদায় নেওয়ার কোনো পরিকল্পনা?

রাজ্জাক: নিতে পারলে তো ভালোই হয়। আমি জানি না সে সুযোগ রয়েছে কি-না। বিসিবি থেকে নিয়োগপত্র পাওয়ার পরই আসলে বুঝতে পারব। সুযোগ থাকলে বোর্ডের সঙ্গে কথা বলে দেখব।

সমকাল: খেলাটাকে কতটা মিস করবেন?

রাজ্জাক: খেলা তো মিস করবই। এত দিনের ক্যারিয়ার শেষ করতে হচ্ছে। তবে এ মুহূর্তে বিসিবি থেকে পাওয়া বার্তা উপভোগ করছি। এ বিষয়ে কথা বলছি। ভালো লাগছে।

আরও পড়ুন

×