পর্যটন শিল্পের সংকট ও উত্তরণের দিক নির্দেশনা

অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বদরুজ্জামান ভূঁইয়া
প্রকাশ: ২৯ জুন ২০২১ | ০৫:৪৫ | আপডেট: ২৯ জুন ২০২১ | ০৯:০৭
দুই দশক ধরে পর্যটন বিশ্বের অন্যতম প্রধান শিল্প ও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড হিসেবে বিবেচিত হয়। প্রতি বছর পর্যটন শিল্পের ব্যাপ্তি ও পরিধি বেড়ে চলেছে। ২০১৯ পর্যন্ত বিশ্বে পর্যটন বিলিয়ন বিলিয়ন ডলারের শিল্প মাধ্যমে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির আঁধার ছিল। পাশাপাশি এই শিল্প ধারাবাহিকভাবে প্রবৃদ্ধি অর্জন করে আসছিল। শতাব্দীর সেরা, দ্রুতি বকাশমান ও বিশ্বব্যাপী সর্ববৃহৎ শিল্প হিসাবে স্বীকৃত একক বৃহত্তম শিল্প পর্যটন। বিগত বছরগুলোয় বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হিসাবে পর্যটন শিল্পের আবির্ভাব ঘটে। নতুন কর্মসংস্থান সুযোগ সৃষ্টি, দারিদ্র্য বিমেচন ও টেকসয় উন্নয়নের মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চলছে পর্যটন শিল্প।
পর্যটন শিল্প পৃথিবী ব্যাপী কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির মাধ্যমে টেকসই উন্নয়নের ক্ষেত্রে সম্ভাবনার দুয়ার খুলে দিয়েছে, পর্যটকের ভ্রমণের বিষয়টি নিঃসন্দেহে অর্থনৈতিক ভিত্তিকে আরও মজবুত করেছে এবং পর্যটন জাতিতে জাতিতে সম্প্রীতির সেতুবন্ধন আরও জোরালো করে সাংস্কৃতিক মেলবন্ধন সৃষ্টির মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী ভোরের ফুটন্ত আলোর মাতো উজ্জ্বলভাবে বিকশিত হয়েছে। পর্যটন কমপক্ষে ১০৯টি শিল্পের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত। পর্যটন পৃথিবীর অন্যতম প্রধান অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নের হাতিয়ার। ১৯৫০ সালে পৃথিবীতে পর্যটকের সংখ্যা ছিল মাত্র ২৫ মিলিয়ন, যা ২০১৯ সালে বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ৪৮০ মিলিয়নে। ধারণা করা হচ্ছে, এই বছর প্রায় ১৩৯ কোটি ৫৬ লাখ ৬০ হাজার পর্যটক সারা পৃথিবীতে ভ্রমণ করবেন। অর্থ্যাৎ গত ৬৯ বছরে পর্যটকের সংখ্যা প্রায় ৫০ গুন বৃদ্ধি পেয়েছে।
বাংলাদেশ প্রায় একদশক ধরে ধারাবাহিক ভাবে পর্যটন শিল্পে উন্নতি করে যাচ্ছে। তবে করোনা ভাইরাসের থাবায় এই গতি অনেকটাই কমে গেছে। দেশের বেশিরভাগ পর্যটন এলাকা এখন শূন্য। ফলে এই শিল্পের সঙ্গে জড়িত সব ব্যবসায়ী, কর্মী ও স্থানীয় জনগণ ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। সারা বিশ্বে পর্যটন শিল্পের বর্তমান সংকট প্রায় একই রকম। এর থেকে উত্তরণের জন্য দেশগুলো নিজেদের দিক নির্দেশনা ঠিক করছে। পাশাপাশি পর্যটন নিয়ন্ত্রক সংস্থা ও উন্নয়ন ও গবেষণা সংস্থাগুলোর পরামর্শ নিয়ে কাজ করছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ করোনার ক্ষতি কাটিয়ে ওঠার জন্য পর্যটনের সঙ্গে ক্ষতগ্রস্ত সবার জন্য বিশেষ সহায়তা প্রদান করছে।
২০২১-২২ অর্থবছরের জন্য বাংলাদেশে বাজেট উপস্থাপন করা হয়েছে, যার আকার ৬ লাখ ৩ হাজার ৬৮১কোটি টাকা, যা বাংলাদেশের মোট জিডিপির ১৭.৫ শতাংশ। নতুন অর্থবছরে বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন খাতের জন্য ৪ হাজার ৩২ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে। এটি প্রস্তাবিত বাজেটের শূন্য দশমিক ৬৬ শতাংশ। এ বরাদ্দ প্রস্তাব গত অর্থবছরে প্রস্তাবিত বরাদ্দ তিন হাজার ৬৮৮ কোটি টাকার চেয়ে ৩৪৪ কোটি টাকা বেশি। তবে গেল অর্থবছরে সংশোধিত বাজেটে এই মন্ত্রণালয়ে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল দুই হাজার ৯৮৪ কোটি টাকা। সেই হিসেবে গত বছরের সংশোধিত বাজেটের তুলনায় এবারের প্রস্তাবিত বাজেটে এক হাজার ৪৮ কোটি টাকা বেশি বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ প্রায় ৩৫ শতাংশ বেশি অর্থ বরাদ্দ এবার প্রস্তাব করা হয়েছে।
গত বছরের মত এই বজেট একটি বিশেষ সময়ে ঘোষণা করে হয়েছে। সারা বিশ্ব এখন করোনা নামক এক প্রাকৃতিক দুর্যোগের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। ফলে বর্তমান সময়টা চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিতে হচ্ছে সরকারকে। এই বাজেটকে বলা হচ্ছে মানুষের টিকে থাকার বাজেট, যেখানে জীবিকা ও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড সচল রাখার পাশাপাশি মানুষের জীবনের প্রতি দৃষ্টি রাখতে হবে।
২০২০-২১ সালের অর্থবছর করোনাময় গেছে। দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ ব্যবসা বাণিজ্য। ২০২০ সালের শেষের দিক থেকে কিছুটা স্বাভাবিক ছন্দ ফিরে এলেও পর্যটন শিল্পের জন্য তা এখনও ভয়াবহ রূপে আছে। তার ওপর ২০২১ সালের এপ্রিল থেকে দ্বিতীয় লকডাউনে তা আরও ভয়াবহ রূপ ধারন করেছে।
তবে মানুষের জীবনযাত্রা কবে পরিপূর্ণভাবে স্বাভাবিক হবে তা এখনই বলা যাচ্ছে না। এরই মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পর্যটন শিল্প। যেখানে গত কয়েক বছরের ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশের মোট জিডিপি ছিল গড়ে সাড়ে ৭ থেকে ৮ শতাংশের উপরে, সেখানে বর্তমানে সকল কর্মকাণ্ড ঠিক রেখে বিশ্ব বাজারে টিকে থাকাই মানুষের জন্য মূল চ্যালেঞ্জ।
২০১৯ সালের তুলনায় ২০২০ সালের শুরুটা পর্যটনের জন্য বেশ ভালোই ছিল। বিশ্ব পর্যটন সংস্থার মতে, ২০২০ সালের জানুয়ারিতে পর্যটকের সংখ্যা গত বছরের তুলনায় ২ শতাংশ বেশি ছিল। তবে করোনাভাইরাসের প্রভাবে ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে প্রায় পর্যটক শূন্য দেশগুলো। বিশ্বব্যাপী লকডাউন জোরদার হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পর্যটকের সংখ্যাও দ্রুত হ্রাস পাচ্ছে। ২০২০ সালে করোনাভাইরাসের কারণে বিশ্বের পর্যটন শিল্পে ২০১৯ সালের তুলনায় প্রায় ৪৯ শতাংশ ক্ষতি হয়েছে। জুনের শুরু থকে কিছু দেশ লকডাউন শিথিল করলেও এখন পর্যন্ত পর্যটনে খরা কমেনি। আর বিশ্বে করোনার প্রভাব কতদিন থাকবে তা এখনও বলা যাচ্ছে না। এর প্রভাবে লকডাউন কার্যক্রম কতদিন থাকবে তাও বলা যায় না। বিভিন্ন রিপোর্টে বলা হয়েছে, এই সময়ে প্রায় ১০০ থেকে ১২০ মিলিয়ন চাকরি ক্ষতির মুখে পড়বে। বাংলাদেশও এইরকম প্রতিকূল অবস্থায় রয়েছে।পর্যটনে এই ক্ষতি কাটিয়ে ওঠার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে প্রয়োজন ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা। আমরা দেখেছি, বাজেটে বরাবরই অবহেলিত থেকে যায় দেশের পর্যটন খাত।
২০১৩-১৪ সালে পর্যটন খাতে বরাদ্দ ছিল ৩০৭ কোটি টাকা, ২০১৪-১৫ সালে ১৫৯ কোটি টাকা, ২০১৫-১৬ সালে ৩৭১ কোটি টাকা, ২০১৬-১৭ সালে ৬৮৬ কোটি টাকা, ২০১৭-১৮ সালে ৬৮৬ কোটি টাকা এবং ২০১৮- ১৯ সালে ১ হাজার ৫০৭ কোটি টাকা। আর ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের পরিচালক ও উন্নয়ন খাতে বরাদ্দ ছিল ৩ হাজার ৪২৬ কোটি টাকা। এই বছর কিছুটা বরাদ্দ বেড়েছে। প্রতি বছর বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে এই খাতের জন্য বরাদ্দ হয়ে আসছে। এই বাজেটে নাম মাত্র পর্যটন জন্য ৫০/৬০ কোটি টাকা বরাদ্ধ পায়, আর বাকি টাকা বরাদ্দ হয় বেসামরিক বিমান পরিবহনের জন্য। ট্যুরিজমের জন্য আলাদা বাজেট এখন সময়ের দাবি। অন্তত বাজেটে বড় ধরনের বরাদ্দ প্রয়োজন এই শিল্পকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনার জন্য।
করোনায় বাংলাদেশের পর্যটনের সঙ্গে সম্পৃক্ত ব্যবসা-বাণিজ্য বন্ধ রয়েছে। এর ফলে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোকে টিকে থাকতে প্রয়োজন সরকারের বিশেষ প্রণোদনা। তাছাড়া পর্যটনের সঙ্গে জড়িত অনেকের কর্মসংস্থান পড়েছে হুমকির মুখে। বিভিন্ন সংস্থার পূর্বাভাস অনুসারে করোনাভাইরাসের প্রভাব থাকবে আরও এক থেকে ২ বছর। ফলে এই লম্বা সময় পর্যটন শিল্পকে টিকে থাকতে হলে সরকারের পক্ষ থেকে সুচিন্তিত পদক্ষেপ দরকার।
তাছাড়া বাংলাদেশের পর্যটন খাতের সঙ্গে সম্পৃক্ত প্রায় ৩৫ লাখ লোকের চাকরি ঝুঁকির মুখে পড়েছে। সকল ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পড়েছে চরম ঝুঁকিতে। তাই পর্যটন সম্পৃক্ত সকলের টিকে থাকার জন্য প্রয়োজন বিশেষ প্রনোদনা। আর্থিক সহায়তার পাশাপাশি নীতি নির্ধারণী পর্যায়ে বিভিন্ন সহায়তা যেমন ঋণের সুদ মওকুফ, স্বল্প সুদে আর্থিক সহায়তা, কর্মীদের বেতন দেওয়ার জন্য ব্যবস্থা করা যেতে পারে। সরকার বিভিন্ন শিল্পের জন্য প্রণোদনা ঘোষণা করেছে। সেখানে পর্যটনের মত বৃহৎ শিল্পটি রয়ে গেছে অবহেলিত হিসেবে। অথচ পর্যটন শিল্পের সঙ্গে জড়িত আছে কয়েক লাখ ক্ষুদ্র, মাঝারি ও বৃহৎ শিল্প, যার বেশিরভাগ আছে ঝুঁকির মুখে। এই সকল শিল্পকে সহায়তা না করা গেলে টিকে থাকতে পারবে না। ফলে তৈরি হবে চরম অনিশ্চয়তা।
বেকার হওয়ার ঝুঁকিতে পড়বে লাখ লাখ মানুষ। তাই অন্যান্য শিল্পের মত পর্যটন খাতের জন্য দরকার স্বল্প, মাঝারি ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা। মানুষের সঞ্চয় কমে গেছে। ফলে জীবন যাত্রার মানও কমে গেছে। তাই মানুষ আগের চেয়ে ভ্রমণ কম করবে। তাছাড়া স্বাস্থ্য ঝুঁকির কথা চিন্তা করে সবাই ভ্রমণ পরিকল্পনা করবে। এসব কারণে করোনার প্রভাব ২০২১ সালের মধ্যে শেষ হয়ে গেলেও পর্যটন খাত স্বাভাবিক হতে আরও দুই থেকে তিন বছর লাগতে পারে। সংকটময় সময়ে এই শিল্পকে টিকিয়ে রাখতে হলে প্রয়োজন বিশেষ বরাদ্দ। তবে এই বারের প্রস্তাবিত বাজেটে বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটনখাতের জন্য আলাদা করে কোনো প্রণোদনা বরাদ্দ রাখা হয়নি। অথচ করোনাকালীন মোটা অংকের আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হওয়া এখাত সংশ্লিষ্টরা দীর্ঘদিন ধরে প্রণোদনার দাবি করে আসছেন।
জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস সম্প্রতি বলেছেন, মহামারি কাটিয়ে ওঠার জন্য পর্যটন একটি প্ল্যাটফর্ম হতে পারে। মানুষকে একত্রিত করার মাধ্যমে পর্যটনই পারে সংহতি ও আস্থা বাড়িয়ে তুলতে। জাতিসংঘ বিশ্ব পর্যটন সংস্থা পুনরায় পর্যটন শুরু করার মাধ্যমে টেকসই বিকাশের জন্য ২০৩০-এর এজেন্ডা এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে এবং আমাদের সমাজের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ সদস্যদের সুরক্ষায় এই খাতটির অনন্য ভূমিকা পালন করবে বলে আশা প্রকাশ করেছে। ধারণা করা হচ্ছে, করোনা পরিস্থিতি কাটিয়ে ওঠার পর গৃহবন্দি মানুষ বের হবে বিশ্ব ভ্রমণে। অনিশ্চয়তা কাটিয়ে মানুষ নতুন করে বাঁচার আনন্দ উপভোগ করবে। তাই এই সংকটময় সময়ে পর্যটন শিল্পের সঙ্গে সম্পৃক্ত সবাইকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে।
বিগত এক দশকে পর্যটন শিল্পের জন্য অনেক কর্ম পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়েছে। বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড স্থাপন তার মধ্যে একটি যগান্তকারী পদক্ষেপ। তাছাড়া পর্যটন শিল্পের বিকাশের জন্য দেশের বিভিন্ন স্থানে পর্যটন স্থাপনার উন্নতি সাধন করা হয়েছে। পর্যটনের শিল্পের জন্য তৈরি করা হচ্ছে মহাপরিকল্পনা, যা করোনা মহামারির জন্য বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পর্যটন শিল্পের উন্নয়নের জন্য বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প প্রণয়ন করছেন। বাংলাদেশকে একটি পর্যটন সমৃদ্ধ দেশ হিসাবে গড়ে তোলার জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। এরই ধারাবাহিকতায় উন্নত বিশ্বের আদলে কক্সবাজার, চট্রগ্রাম, খুলনা, সিলেটসহ দেশের পর্যটন এলাকাগুলোতে নানামুখী উন্নয়ন কর্মকাণ্ড চালু আছে। এর মধ্যে দেশের পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত থেকে কক্সবাজারের টেকনাফ পর্যন্ত পৃথিবীর দীর্ঘতম মেরিন ড্রাইভ তৈরির পরিকল্পনা আছে বলে জানা যায়। এই সব পরিকল্পনা পর্যটন শিল্পের জন্য একটি ইতিবাচক দিক। তবে এর সুফল পেতে হলে আমাদের স্বাভাবিক ও করোনামুক্ত সময়ের জন্য অপেক্ষা করতে হবে। বর্তমান করোনাকালীন সংকট থেকে উওরণের জন্য এখন সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে, যাতে পর্যটন সম্পৃক্ত সবাই টিকে থাকতে পারে। একমাত্র সুপরিকল্পনা, সঠিক বাস্তবায়ন ও পর্যাপ্ত বাজেট বরাদ্দই পারে বাংলাদেশের পর্যটনকে বিশ্বমানে উন্নীত করতে।
লেখক: চেয়ারম্যান, ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
- বিষয় :
- পর্যটন শিল্প
- সংকট
- সম্ভাবনা