এখনো মুক্তিযোদ্ধার সন্তানের খোঁজে শাবি

শাবি প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৪ মার্চ ২০২২ | ০৬:২৮ | আপডেট: ১৪ মার্চ ২০২২ | ০৯:৫৩
চলতি বছরের ৪ জানুয়ারি শুরু হয়েছিল শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবি) স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তি কার্যক্রম। দীর্ঘ দুই মাসের বেশি সময় ধরে চলা ভর্তি কার্যক্রম প্রায় শেষের পথে। আগামী ২০ মার্চ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে প্রথম বর্ষের নবীনবরণ। কিন্তু এখনো শর্তপূরণ না হওয়ায় শাবির অর্থনীতি বিভাগের ২৩টি সিট ফাঁকা রয়ে গেছে। এছাড়া মুক্তিযোদ্ধা কোটায় খালি রয়েছে আরও ১২টি সিট।
জানা গেছে, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবি) মুক্তিযোদ্ধা কোটায় শুধুমাত্র মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের ভর্তির সুযোগ রয়েছে। কিন্তু আসনের তুলনায় নির্দিষ্ট সংখ্যক মুক্তিযোদ্ধার সন্তান না পাওয়ায় এখনো কিছু আসন ফাঁকা রয়েছে। অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ে সন্তানদের পাশাপাশি নাতি-নাতনির ভর্তি হওয়ার সুযোগ থাকলেও শাবিতে এখনো মুক্তিযোদ্ধা কোটার সংস্কার করা হয়নি।
প্রতি বছর স্নাতক প্রথম বর্ষে ভর্তির জন্য মোট সিট বাদে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় তাদের সন্তানদের জন্য ২৮টি সিট নির্ধারিত রয়েছে। কিন্তু এবার ২৮ সিটের বিপরীতে মোট ১৬ জন শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছে। বাকি আসনের জন্য মুক্তিযোদ্ধার সন্তান না পাওয়ায় বাকি সিটগুলো ফাঁকা রয়েছে। এর আগে ২০১৯-২০ সেশনের মুক্তিযোদ্ধা কোটায় মোট ২০জন শিক্ষার্থী ভর্তি হয়। তখনও ৮টি সিট খালি ছিলো।
শাবিতে 'আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান' সংগঠনের সভাপতি শ্বাশত দাস মান্না বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের ৫০ বছর পরে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের মাঝে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান থাকার সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ। বরং অনেক ক্ষেত্রে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়। বিগত বছরগুলোর দিকে তাকালে দেখা যায়, শাবিতে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের জন্য সংরক্ষিত আসনের অনেক আসন খালি রয়ে গেছে। তাই শাবির ভর্তি পরীক্ষায় মুক্তিযোদ্ধার সন্তান না থাকা সাপেক্ষে নাতি-নাতনিদের জন্যও কোটা কার্যকর করার দাবি জানাচ্ছি।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার অব এপিলেন্সের পরিচালক এবং সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যাপক ড. মস্তাবুর রহমান বলেন, মুক্তিযোদ্ধা কোটার ক্ষেত্রে সন্তানদের অগ্রাধিকার অবশ্যই আগে। কিন্তু সিট খালি থাকা এবং মুক্তিযোদ্ধার সন্তান না থাকা সাপেক্ষে নাতি-নাতনিদের জন্য সুযোগ থাকা উচিত কিনা, সেটা একাডেমিক কাউন্সিল এবং সিন্ডিকেট যদি সিদ্ধান্ত নেয় তাহলে অন্য বিষয়।
নবীনবরণ ২০ মার্চ:
শাবির স্নাতক ২০২০-২১ সেশনের শিক্ষার্থীদের ভর্তি কার্যক্রম শুরু হয়েছিল গত ৪ জানুয়ারি। মোট ৯ বার মেধা তালিকা দিয়ে প্রায় দুই মাসে ভর্তি কাযক্রম শেষ হয়। আগামী ২০ মার্চ শিক্ষার্থীদের নবীনবরণ অনুষ্ঠিত হবে বলে সমকালকে জানিয়েছে ভর্তি কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ড. মুশতাক আহমেদ।
তিনি বলেন, এদিন সকাল সাড়ে নয়টায় 'এ' ইউনিটের এবং দুপুর দুইটায় 'বি' ইউনিটের নবীনবরণ অনুষ্ঠিত হবে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে থাকবেন উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ।
শর্তপূরণ না হওয়ায় ২৩ সিট খালি:
এদিকে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের শর্তপূরণ না করায় অর্থনীতি বিভাগে এখনো ২৩টি সিট খালি রয়েছে।
জানা যায়, অর্থনীতি বিভাগে ভর্তির জন্য ভর্তি পরীক্ষায় গণিতে মোট ৪০ শতাংশ নম্বর পেতে হয়। এই শর্ত না পূরণ হওয়ায় এখনো ২৩টি আসন খালি রয়েছে বলে জানান ভর্তি কমিটি সদস্য সচিব সহযোগী অধ্যাপক চৌধুরী আব্দুলতাহ আল হোসাইনি।
তিনি বলেন, এ বছর কিছু করার নেই। কারণ বিভাগ থেকে রেগুলেশন নিয়ে অনুষদের মাধ্যমে একাডেমিক কাউন্সিলে নিয়ম পাশ করা হয়। পরবর্তীতে এটার নতুন কিছু করতে পারে।