ঢাকা শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫

হুমকির মুখে লতিবপুর হাওর স্বেচ্ছাশ্রমে বাঁধ রক্ষার চেষ্টা

হুমকির মুখে লতিবপুর হাওর স্বেচ্ছাশ্রমে বাঁধ রক্ষার চেষ্টা

স্বেচ্ছাশ্রমে ফসল রক্ষা বাঁধের কাজ করে যাচ্ছেন কৃষকরা - সমকাল

তাহিরপুর (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৪ এপ্রিল ২০২২ | ১১:১৩ | আপডেট: ০৪ এপ্রিল ২০২২ | ১১:১৩

উদ্বেগ আর উৎকণ্ঠা নিয়ে পাঁচ দিন ধরে স্বেচ্ছাশ্রমে ফসল রক্ষা বাঁধের কাজ করে যাচ্ছেন লতিবপুর হাওরের কৃষকরা। সরকারি কোনো সহায়তা এখনও তারা পাননি।

তাহিরপুর উপজেলার দক্ষিণ শ্রীপুর ইউনিয়নে লতিবপুর হাওরের অবস্থান। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, এ হাওরে তাদের ২০০ একর জমির ধান চাষ করা হয়। উপজেলার দক্ষিণ শ্রীপুর ইউনিয়নের পাঠাবুকা, লতিবপুর ও আনন্দনগর গ্রামের কৃষকরা এখানে ধান চাষ করে থাকেন। হাওরটিকে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার জন্য দুই যুগ ধরে দাবি জানাচ্ছেন তারা।

উজানের পানিতে পাটলাই নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় হুমকির মুখে পড়েছে হাওরের ধান। সম্প্রতি শ্রীপুর দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও স্থানীয় কৃষকদের সহযোগিতায় ছোট ছোট ক্লোজার নালাগুলো বন্ধ করা হয়েছে। ফসল রক্ষা বাঁধের জন্য সরকারের পর্যাপ্ত বরাদ্দ থাকলেও উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি এ হাওরে।

গত শুক্রবার রাত থেকে সোমবার বিকেল পর্যন্ত পালাবদলে কৃষকরা বাঁধে কাজ করে যাচ্ছেন। তবে পাঁচ দিন ধরে কঠোর পরিশ্রম করলেও কাজের কোনো কূলকিনারা মেলেনি। নদীর পানি আরও বৃদ্ধি হলে দিনের যে কোনো সময়ে হাওরটি পানির নিচে তলিয়ে যেতে পারে।

হাওরের কৃষক পাঠাবুকা গ্রামের রিপছান হাবীব বলেন, নদীতে আগাম পানি আসায় কৃষকদের ফসল তোলা প্রায় অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।

সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের তাহিরপুরের শাখা কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান সেলিম বলেন, লতিবপুর হাওরটি পানি উন্নয়ন বোর্ডের আওতাভুক্ত নয়। তাই তাদের পক্ষে ওই হাওরে কাজ করা সম্ভব হয়নি।

শ্রীপুর দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আলী আহমদ মুরাদ বলেন, হাওরটির জন্য সরকারি কোনো বরাদ্দ নেই। এ অবস্থায় কৃষকদের কান্না দেখে ব্যক্তিগত তহবিল থেকে ৫০ হাজার টাকা দিয়েছি।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রায়হান কবীর বলেন, হাওরটি পানি উন্নয়ন বোর্ডের আওতাধীন নয়। হাওরটির ফসল যাতে রক্ষা করা যায়, সে ব্যাপারে তিনি পানি উন্নয়ন বোর্ডের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলাপ করেছেন।

আরও পড়ুন

×