ঢাকা রবিবার, ০৬ জুলাই ২০২৫

বিজিবি-বিএসএফ রিজিয়ন কমান্ডার পর্যায়ে সীমান্ত সম্মেলন অনুষ্ঠিত

বিজিবি-বিএসএফ রিজিয়ন কমান্ডার পর্যায়ে সীমান্ত সম্মেলন অনুষ্ঠিত

সিলেট ব্যুরো

প্রকাশ: ০২ জুন ২০২২ | ০১:১৩ | আপডেট: ০২ জুন ২০২২ | ০১:১৩

রিজিয়ন কমান্ডার বিজিবি (সরাইল, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার রিজিয়ন এবং ময়মনসিংহ সেক্টর) এবং আইজি বিএসএফ (মেঘালয়, মিজোরাম ও কাচার এবং ত্রিপুরা ফ্রন্টিয়ার) এর মধ্যে ৪ দিনব্যাপী সীমান্ত সম্মেলন সিলেটে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

৩০ মে থেকে শুরু হয়ে ২ জুন পর্যন্ত এ সম্মেলন হয়। সম্মেলনে বাংলাদেশের পক্ষে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তানভীর গনি চৌধুরী রিজিয়ন কমান্ডার, চট্টগ্রাম রিজিয়নের নেতৃত্বে ১৩ সদস্যের প্রতিনিধিদল অংশগ্রহণ করেন।

অপরদিকে ভারতীয় পক্ষে শ্রী সুমিত শরণ, আইপিএস, ইন্সপেক্টর জেনারেল ত্রিপুরা ফ্রন্টিয়ার এর নেতৃত্বে ৬ সদস্যের ভারতীয় প্রতিনিধি দল অংশগ্রহণ করেন। বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলে বিজিবির কর্মকর্তাগণ ছাড়াও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি এবং ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিপ্তরের প্রতিনিধিগণও অন্তর্ভুক্ত ছিলেন।

বিজিবি ডেলিগেশন প্রধান দুই সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে বিদ্যমান বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে সীমান্ত সংক্রান্ত সব সমস্যা সমাধানে উভয় বাহিনীর সম্মিলিত প্রচেষ্টার ওপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে উক্ত সম্মেলনে সীমান্ত হত্যা, সীমান্তে বাংলাদেশী নাগরিকগণের ওপর প্রতিপক্ষ বিএসএফ এবং ভারতীয় নাগরিকগণের হামলা, মাদক পাচার, বিএসএফ-ভারতীয় নাগরিকগণ কর্তৃক অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রমসহ বিভিন্ন বিষয়ে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য বিএসএফকে অনুরোধ জানানো হয়।

এছাড়াও দীর্ঘদিনের বিভিন্ন সমস্যা সংক্রান্ত বিষয়সমূহও উত্থাপন করা হয়। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল বিএসএফের বাধার মুখে দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ থাকা কসবা রেলওয়ে লিংক প্রজেক্টের কাজ পুনরায় শুরু করা এবং যৌথ নদী কমিশন কর্তৃক অনুমোদিত বাংলাদেশ অংশের নদী শাসন-সংক্রান্ত কাজ হতে বিএসএফের বাধা অপসারণ করা।

বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল কর্তৃক উত্থাপিত বিষয়সমূহের পরিপ্রেক্ষিতে বিএসএফ এর পক্ষ থেকে সীমান্ত হত্যা বন্ধে উভয় বাহিনীর সম্মিলিতভাবে জোরালো পদক্ষেপ গ্রহণের বিষয়ে একমত পোষণ করা হয়। অবৈধভাবে ভারত হতে আগত মাদকদ্রব্য পাচার বন্ধেও উভয়পক্ষ একযোগে কাজ করা এবং নিজেদের মধ্যে পারস্পারিক তথ্য বিনিময়ের বিষয়েও একমত পোষণ করা হয়।

বিএসএফের পক্ষ থেকেও কিছু বিষয় আলোচনায় উত্থাপিত হয়, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য বিষয় বাংলাদেশি নাগরিকগণ কর্তৃক অবৈধ সীমান্ত অতিক্রম ও বিভিন্ন অপরাধ সংঘটন, বিএসএফ এবং ভারতীয় নাগরিকগণের ওপর ভারতে অনুপ্রবেশকারী বাংলাদেশি নাগরিকগণের হামলা এবং মাদক, গরু ও অন্যান্য অবৈধ মালামাল পাচার বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ।

উত্থাপিত বিষয়সমূহের প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের প্রধান বিদ্যমান আইন ও বিধিবিধান অনুসরন করে সকল বিষয়ে সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেন।

এছাড়া সীমান্ত নিরাপত্তা জোরদার, চোরাচালান দমন, সীমান্ত এলাকায় শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় এবং পারস্পারিক সম্পর্ক উন্নয়নের লক্ষ্যে একযোগে কাজ চালিয়ে যাওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করে উভয় বাহিনীর উত্তরোত্তর উন্নতি ও সমৃদ্ধি কামনা করে সম্মেলনের পরিসমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।

আরও পড়ুন

×